নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১১ নভেম্বর তাঁর দার্জিলিং পৌঁছনোর কথা। এবারই প্রথম দার্জিলিংয়ে সরস মেলা হচ্ছে পঞ্চায়েত দপ্তরের উদ্যোগে। ম্যালের চৌরাস্তায় টানা ১১ দিন চলবে। ১২ তারিখ উদ্বোধন করবেন মমতা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের হস্তশিল্পীরা মেলায় যোগ দেবেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর নিয়ে পাহাড়ে ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত উন্মাদনা শুরু হয়েছে। কারণ সরস মেলাসহ একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে এবার পাহাড়ে যাচ্ছেন মমতা। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল জিটিএ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক। একই সঙ্গে, দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা প্রশাসনের সঙ্গেও বৈঠক হবে তাঁর।
সোমবার দমদম বিমানবন্দর থেকে বাগডোগরা রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন,”সিতাই, মাদারিহাট, মেদিনীপুর, নৈহাটি, হাড়োয়া, তালড্যাংরায় ১৩ তারিখ উপনির্বাচন। সিতাইয়ে সঙ্গীতা, মাদারিহাটে জয়প্রকাশ, মেদিনীপুরে সুজয়, নৈহাটিতে সনৎ, হাড়োয়ায় রবিউল আর তালড্যাংরায় ফাল্গুনী সিংহবাবু লড়ছে আমাদের দল থেকে। ওঁরা সবাই খেটেছে। আমি সকল মা-বোনকে বলতে চাই, আমাদের প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করুন। এমনিতে আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ যে আপনারা সবসময়ে আমাদের পাশে থেকেছেন, ভরসা রেখেছেন। এবারও প্রার্থীদের জেতান। উন্নয়নের কাজ আরও ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করুন।” এছাড়াও এদিন উত্তরবঙ্গ সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ”অনেকদিন পর দার্জিলিংয়ে যাচ্ছি। নানা কারণে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। এমনকী লোকসভা নির্বাচনের সময়ও যেতে পারিনি। কার্শিয়ং পর্যন্ত গিয়েছিলাম। ওখানে অনীতরা (অনীত থাপা) সব কাজ করেছে।”
প্রসঙ্গত, বর্তমানে জিটিএ পরিচালনার ক্ষেত্রে অনীত থাপার গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চাকে যাবতীয় সহায়তা দিচ্ছে তৃণমূল। অনীতদের প্রস্তাব মেনে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প চলছে রাজ্যের উদ্যোগে। ফলে জিটিএ এবং প্রশাসনিক বৈঠকে ঠিক হবে আগামী দিনে উন্নয়নের রূপরেখা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষবার পাহাড় সফর করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সেবার একেবারে ব্যক্তিগত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কার্শিয়াং থেকেই ফিরে আসেন তিনি। এবার ১১ তারিখেই তিনি সোজা দার্জিলিং পৌঁছবেন। ১৪ তারিখ কলকাতায় ফেরার কথা মমতার। এবারের লোকসভা নির্বাচনেও তৃণমূলকে নিরাশ করেছে পাহাড়। তারপর এটাই মমতার প্রথম পাহাড় সফর। ফলে রাজনৈতিকভাবেও তাঁর এই সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।