নিউজ ডেস্ক: সেক্টর ফাইভ এবং হাওড়ার মধ্যে মেট্রো রেলপথে কাঁটা বউবাজার। মেট্রোর কাজে বারবার বউবাজারে বিপত্তি এসেছে। মাটির নীচে মেট্রোর সুড়ঙ্গে জল ঢুকেছে। উপরে ফাটল ধরেছে। ধস নেমেছে। এই সমস্যা মেটাতে এবার কংক্রিটের সুড়ঙ্গের ভিতর বাড়তি সুরক্ষা বলয় থাকছে। বিশেষ ধরনের লোহার চাদর বসাচ্ছে কেএমআরসিএল। জানা গিয়েছে, বউবাজারের রুটে কংক্রিট সুড়ঙ্গের মধ্যে তৈরি হচ্ছে আরেকটি লোহার সুড়ঙ্গ। একটি টানেলে ১০৮ মিটার জায়গায়, অপর টানেলে ৯২ মিটার জায়গায় বসানো হচ্ছে বিশেষ স্টিলের রিং। মেট্রোর প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ারদের কথায়, এই রিং লাগানোয়, বাকি কাজ শেষ করতে অনেক সুবিধা হবে। গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে এই কাজ।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি এই কাজ শেষ হতে এক মাস লাগবে। কৌশিক মিত্র, মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক, মেট্রো রেল জানিয়েছেন, টানেল সুরক্ষিত আছেই৷ এই কাজের ফলে অতিরিক্ত সতর্কতা গ্রহণ করা হল। এই বিষয়ে, বিশ্বজিৎ সোম, স্ট্রাকচারাল এঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন, এটাকে বলাকে বলা হয় স্টিল লাইনার। এতে ভাল কাজ হবে। এটার শক্তি বাড়ছে। শক্তি বাড়ছে মানে স্টিফ হচ্ছে। যত স্টিফ হবে তত তার ভাইব্রেশন কমবে। এই লোহার রিং বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই শিয়ালদহ-এসপ্ল্যানেড জুড়ে দেওয়া যাবে বলেই দাবি তাঁদের। অর্থাৎ সবকিছু ঠিক থাকলে, নতুন বছরেই জুড়ে যাবে শিয়ালদহ-এসপ্ল্যানেড। ইতিমধ্যেই এসপ্ল্যানেড-হাওড়া ময়দানের রুটও সচল। যাত্রীদের মধ্যেও ইতিবাচক সাড়া মিলছে নতুন রুটে। শিয়াদহ-এসপ্ল্যানেড রুট জুড়ে গেলে, হাওড়া থেকে শিয়ালদহও পৌঁছে যাওয়া যাবে কয়েক মিনিটেই।
এই গোটা প্রক্রিয়ায় তিনটে জিনিস আছে। একটা সোর্স। একটা ট্রান্সমিশন। আরেকটা হচ্ছে রিসিভার। ওপরে যা স্ট্রাকচার আছে। তিনটের মধ্যে একটা হাতে আছে। যাতে ভাইব্রেশন কম হয় সেভাবেই কর্তৃপক্ষ তৈরি করবে। কারণ এখানে বেশিরভাগই পুরনো বাড়ি। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাই বাড়িগুলির রিসিভ করার ক্ষমতা আছে কিনা সেগুলো একবার দেখে নিতে হবে। সেটা ট্রায়ালও করা দরকার।। ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্য়ে বউবাজারে বার বার মেট্রোর কাজ থমকে গিয়েছে। সুড়ঙ্গে ক্রস প্যাসেজ তৈরি করতে গিয়ে বিপত্তি বাধে। তাই এবার আরও সতর্ক মেট্রো কর্তৃপক্ষ।