নিউজ ডেস্ক: চলছে রাজ্যের ৬ কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সিতাই, মাদারিহাট, নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর, তালডাংরা, এই ছয় আসনের বিধায়ক গত লোকসভা নির্বাচনে জিতে সাংসদ হওয়ায় উপনির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের অনুরোধেই সকালে বন্ধ রাখা হয়েছে বড়মার মন্দিরের দরজা। স্বাভাবিকভাবেই দূর দূরান্ত থেকে বহু ভক্ত এসেছিলেন পুজো দিতে। কিন্তু মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকায় তারা ভেতরে ঢুকতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে নৈহাটির তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে মন্দিরের পিছনের দরজা দিয়ে ভিতরে ঢুকে পুজো দিয়ে আসেন। আর তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অন্য ভক্তরা।
পুজো দিয়ে বেরোনোর সময় ভক্তদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন নৈহাটি উপনির্বাচনে, তৃণমূলের প্রার্থী সনৎ দে। দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্তদের অভিযোগ আজ নির্বাচনের কারণে মন্দির বন্ধ রাখা হয়েছে। সেখানে কীভাবে তৃণমূল প্রার্থী গিয়ে পুজো দিতে পারলেন। এরপরই মন্দির খোলার দাবিতে প্রার্থীর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। মন্দির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন ভক্তরা। তৃণমূল প্রার্থীর গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বহু ভক্ত। বিষয়টি নিয়ে নৈহাটির বড়মার মন্দিরের সামনে বুধবার সকালের দিকে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রীতিমতো ভিড় জমে যায় গোটা রাস্তায়। বেশ কিছু ভক্ত তর্ক জুড়ে দেন তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে।
আসলে, ভোটের কারণে বুধবার সকালে বড়মার মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। সেটা না জেনেই বহু দর্শনার্থী সেখানে হাজির হন। শোরগোল চলছিলই। এরই মাঝে নৈহাটির তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে-কে মন্দিরের ভিতরে ঢুকে পুজো দিতে দেখেন ভক্তরা। এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। ঘটনার খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। পরবর্তীতে পুলিশের হস্তক্ষেপে মন্দির ছাড়েন সনৎবাবু। মন্দির থেকে বেরিয়ে ভোট কেন্দ্রে যান তিনি।
অন্যদিকে, ভোট শুরুর আগে নৈহাটির মালঞ্চ হাইস্কুলের ৬৩ নম্বর বুথে উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপির এজেন্টকে বলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি প্রার্থী রূপক মিত্র নিজে গিয়ে মহিলা এজেন্টকে বুথে বসান। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা মেরে ভাগিয়ে দেয় তাঁর এজেন্টকে। ই-মেল করে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানান বিজেপি প্রার্থী। মিথ্যা অভিযোগ করছেন বিজেপি প্রার্থী, পাল্টা দাবি করে তৃণমূল।