নিউজ ডেস্ক: এবছর ১৫নভেম্বর শুক্রবার পড়েছে কার্তিক পূর্ণিমা। এই পবিত্র দিনে, ভক্তরা উপবাস পালন করে এবং ভগবান বিষ্ণু এবং ভগবান কৃষ্ণের কাছে প্রার্থনা করে। কার্তিক মাসকে একটি শুভ মাস হিসাবেও বিবেচনা করা হয় এবং এটি ভগবান বিষ্ণুর সম্মানের জন্য উত্সর্গীকৃত। পূর্ণিমার দিনে ভক্তরা সত্যনারায়ণ ব্রত পালন করেন।
হিন্দু ধর্মে পূর্ণিমা তিথির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বছরের ১২টি পূর্ণিমা তিথিগুলির অন্যতম এই কার্তিক পূর্ণিমা। এই পূর্ণিমা তিথির একাধিক কারণে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কারণ প্রত্যেক বছর শুধু মাত্র এই পূর্ণিমা তিথিতেই দেব দীপাবলির উৎসব মহাসমারোহে পালিত হয়। এর পাশাপাশি প্রত্যেক বছর কার্তিক মাসের এই পূর্ণিমা তিথিতে পাঞ্জাবীরা প্রকাশবর্ব মানে প্রথম শিখ ধর্মগুরুর জন্ম জয়ন্তী পালন করা হয়। এবছর এই কার্তিক পূর্ণিমা তিথি ১৫ নভেম্বর সকাল ৬ বেজে ২০ মিনিট নাগাদ শুরু হবে এবং রাত ২টো বেজে ৫৯ মিনিটে শেষ হবে। প্রচলিত ধার্মিক বিশ্বাস অনুযায়ী, এই কার্তিক পূর্ণিমার দিন গঙ্গা স্নান ও দান কাজের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
শাস্ত্র মতে কার্তিক পূর্ণিমার দিন গঙ্গা স্নানের পাশাপাশি গঙ্গা ঘাটে প্রদীপ জ্বালানোর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী কার্তিক পূর্ণিমার দিন যদি কেউ পবিত্র গঙ্গায় ডুব দিয়ে স্নান করে তাহলে ওই ব্যক্তির যাবতীয় পাপ গঙ্গার পবিত্র জলে ধুয়ে যায়। এবং একই সঙ্গে এই পবিত্র স্নানের পরে জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি আসে।