নিউজ ডেস্ক: আজ কার্তিক পুজো। কার্তিক মাসে পূজিত হন হর-গৌরী পুত্র চিরকুমার দেবসেনাপতি কার্তিকেয়। কার্তিক মাসের সংক্রান্তির দিন পূজিত হন তিনি। বিশেষ করে বন্ধ্যা মহিলারা সুদর্শন উচ্চগুণ সম্পন্ন সন্তান লাভের আশায় পুজো করেন কার্তিকের। কলকাতাতে কার্তিক পুজোর বেশি রমরমা না থাকলেও কাটোয়া এবং বাঁশবেড়িয়ায় বেশ ধুমধাম করে পালিত হয় কার্তিক পুজো।
পুজোর নিয়ম, কার্তিক পুজোর দিন সকালবেলা তুলসী গাছের পুজো করুন। সন্ধ্যাবেলা তুলসী মঞ্চে একটা ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালুন। কার্তিক ঠাকুরের পছন্দের ফুল রক্তকরবী। যদি এই ফুল না পাওয়া যায় তা হলে সাদা বা হলুদ করবী দিয়েও পুজো করতে পারেন। সন্তান লাভের প্রার্থনা থাকলে কার্তিক পুজোর দিন কার্তিক ঠাকুরের সামনে বাচ্চাদের একটা জামা কিনে এনে রাখতে হবে। পুজোর সময় অবশ্যই একটা বাঁশি, তীর-ধনুক এবং ময়ূরের পালক ঠাকুরের কাছে রাখবেন। ঠাকুরের সামনে রাখা ময়ূরের পালক পুজো শেষ হয়ে গেলে আপনার সন্তানের বিদ্যার স্থানে রেখে দিন। এর ফলে পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। কার্তিক পুজোয় ঠাকুরকে পাঁচটা গোটা ফল নিবেদন করুন। এ ছাড়া সম্ভব হলে পায়েস ভোগ নিবেদন করুন।
এই দিন একটা দৃশ্য দেখা যায়। সেটা হল, নব দম্পতির বাড়ির সামনে কার্তিক ঠাকুর রেখে দেওয়া সন্তানপ্রাপ্তি হিসাবে। যাঁর বাড়ির সামনে কার্তিক ঠাকুর ফেলা হয়, তাদের বাড়িতে পুজোর আয়োজনও করতে হয়। পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, এই বছর কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথি ১৫ নভেম্বর সকাল ৬টা ১৯ মিনিট থেকে শুরু হবে এবং পরের দিন অর্থাৎ ১৬ নভেম্বর সকাল ২টো ৫৮ মিনিটে শেষ হবে। এমন পরিস্থিতিতে ১৫ নভেম্বর পালিত হবে কার্তিক পূর্ণিমা। পূর্ণিমা তিথিকে যেকোনো শুভ কাজ শুরু করার জন্য অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এই দিনে স্নান এবং দান করারও অনেক তাৎপর্য রয়েছে। এই দিনে গঙ্গা স্নান করলে সমস্ত পাপ মোচন হয় এবং দান করলে সমস্ত কষ্ট দূর হয়। এছাড়াও এই দিনে সন্তান ধারণের জন্য কিছু বিশেষ ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে এই ধারনা থেকে চালিত হয়ে কার্তিক পুজোর সময়ে নবদম্পতির বাড়ির সামনে কার্তিক প্রতিমা রেখে দেওয়া হয়। বাংলারয় এটি রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। যার বাড়ির সামনে কার্তিক প্রতিমা ফেলে দেওয়া হয় তিনি টেরও পান না। পরে যখন তিনি বুঝতে পারেন, তখন তাঁর বাড়িতে কার্তিক পুজোর আয়োজন করতে হয়।