নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার রাতে নিজের বাড়ির সামনে প্রাণঘাতী হামলার আশঙ্কার মুখে পড়েন তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ! এই ঘটনার পর শনিবারও আতঙ্ক কাটেনি কসবা এলাকায়। এই অবস্থায় শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। শনিবার দফায় দফায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্তে অগ্রগতির চেষ্টায় পুলিশ। হামলাকারী কারা, তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে কী উদ্দেশে খুনের চক্রান্ত হয়েছিল, সেসবের উত্তর খোঁজা চলছে এখনও।
অন্যদিকে এ ঘটনায় এবার পুলিশকে কড়া বার্তা দিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বললেন, ‘অ্যাক্ট নাও’। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ হাকিম কসবায় শুটআউট প্রসঙ্গে বলেন, ”এনাফ ইজ এনাফ। উত্তরপ্রদেশের কালচার এখানে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। বাংলা সংস্কৃতির জায়গা। পুলিশকে বলব, অ্যাক্ট নাউ। পুলিশ কোথায়? সুশান্তের পরিবারের পাশে আছি।” সুশান্তকে পিস্তল তাক করে গ্রেফতার হওয়া যুবরাজ পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তাঁর উপর খুনের ‘ভার’ ছিল না। কাউন্সিলরকে ভয় দেখানোর দায়িত্ব ছিল তাঁর উপরে। তাঁর পিছনে আরও দুই সঙ্গী ছিলেন। কিন্তু ওই তরুণের পিছনে আর কাউকে দেখা যায়নি বলে জানাচ্ছে পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে সিপি সাংবাদিকদের বলেন, “বিহার থেকে ৩ জন এসেছিল। একজন ট্যাক্সি চালকও ছিল। ২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” কসবায় তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের ওপর হামলার ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত মহম্মদ ইকবালকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। তাকে লালবাজারে নিয়ে গিয়ে জেরা শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে, ধৃত যুবরাজ সিংয়ের বয়ানের ভিত্তিতে ইকবালের স্কেচ আঁকা হয়েছিল। সেই সূত্রে একাধিক এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে তাকে পাকড়াও করেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা দমন শাখার কর্তারা।