নিউজ ডেস্ক: ট্যাব কেলেঙ্কারিতে ধৃতের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। রবিবার শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানা এলাকা থেকে কলকাতার পুলিশের জালে তিন। তাঁদের একজন প্রাথমিকের শিক্ষক বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় বলে খবর। সোমবার পুলিশ সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, এই চোপড়া থেকেই ট্যাব দুর্নীতি কাণ্ডের সূত্রপাত। ধৃতদের জেরা করছেন কলকাতা পুলিশের তৈরি সিটের আধিকারিকরা। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকিদেরও খোঁজ চলছে। তাদের নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতায়।
সরশুনার একটি স্কুলে ৩১ জন পড়ুয়া ট্যাবের টাকা পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল। রাজ্যের আরও নানা প্রান্তের স্কুল থেকেই এমন অভিযোগ এসেছে। কলকাতা এবং মালদা পুলিশ বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্তে নেমেছে। পৃথক তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডিও। সূত্রের খবর, স্কুলের সার্ভার হ্যাক করে কিংবা পোর্টালের পাসওয়ার্ড চুরি করে এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এর মধ্যে স্কুলের কেউ জড়িত বলেও প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের। সেসবের কিনারা করতে অপারেশন শুরু করে কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল ‘সিট’। আর তাতেই শিলিগুড়ি থেকে প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষক-সহ ধরা পড়েন ৩ জন। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জড়িতদের খোঁজ করছে পুলিশ।
শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে তিনজনকে। তাদের আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারেন তদন্তকারীরা। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য রাজ্য সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের আওতায় ট্যাবের টাকা দেওয়া হয়। পড়ুয়াদের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে সেই টাকা পৌঁছে যায়। এখন সেই টাকা নিয়েও দুর্নীতির জাল বিস্তৃত হয়েছে। যার মূল উৎস্য উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া। সেখানেই প্রথম ট্যাবের টাকা তছরূপের হদিশ মেলে। গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়েই এই জাল ছড়িয়েছে। গ্রেফতারও হয়েছে অনেকে।