নিউজ ডেস্ক: ধুবড়ি জেলার অন্তর্গত বিলাসীপাড়া মহকুমাধীন টোকরাবান্ধার নটেয়া গ্রামে উদ্ধার হয়েছে জনৈক গৃবধূর পচাগলা মৃতদেহ। মৃতদেহটিকে মাসখানেক আগে হত্যাকাণ্ডের শিকার রমেনা খাতুনের বলে শনাক্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, গত এক মাস আগে গৃহবধূ রমেনা খাতুনকে নৃশংসভাবে খুন করে টোকরাবান্ধা পাহাড়ে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। আজ গুয়াহাটি, বিলাসীপাড়া এবং চাপর থানার যৌথ পুলিশের দল টোকরাবান্ধা পাহাড়ে এক্সক্যাভ্যাটরের (জেসিবি) সাহায্যে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা করে রমেনা খাতুনের পচাগলা মৃতদেহ।
স্থানীয়দের কাছে জানা গেছে, রমেনা খাতুন দক্ষিণ শালমারা-মানকাচর জেলার অন্তর্গত পাটাকাটার বাসিন্দা। গত প্রায় চার বছর আগে টোকরাবান্ধা গ্রামের জনৈক রফিকুল ইসলাম নামের যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল রমেনার। বিয়ের পর তার নববিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে গুয়াহাটি গিয়ে টোটো (ই-রিকশা) চালাত রফিকুল। লটারি খেলার সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছিল রফিকুল ও রমেনা খাতুন। কিন্তু গত প্রায় একমাস ধরে আচমকা রমেনা নিখোঁজ হয়ে পড়ে। ঘটনা সম্পর্কে গুয়াহাটিতে এফআইআর করেন রমেনার বাপের বাড়ির লোকজন। এফআইআর-এর ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে রমেনাকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়।
এর পর রমেনাকে খুনের অভিযোগে তার স্বামীকে খুঁজতে থাকে পুলিশ। কিন্তু সে পালিয়ে আত্মগোপন করায় পুলিশ তাকে ধরতে না পেরে তার ভাই হাফিজুল ইসলাম সহ কয়েকজনকে আটক করে গুয়াহাটি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের বয়ানের ওপর ভিত্তি করে আজ টোকরাবান্ধা পাহাড়ে জেসিবি নিয়ে রমেনা খাতুনের মৃতদেহ উদ্ধার করতে অভিযানে নামে গুয়াহাটি, বিলাসীপাড়া এবং চাপর থানার যৌথ পুলিশের দল। তবে এখনও হত্যাকাণ্ডের মুল অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম পলাতক।