নিউজ ডেস্ক: শীতে ত্বকের মতো চুলও রুক্ষ হয়ে পড়ে। দু’দিন অন্তর শ্যাম্পু করলেও, ঝলমলে ভাব উধাও হতেও সময় নেয় না। ঠান্ডায় চুল ক্রমশ রুক্ষ, উসকোখুসকো হয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে খুশকির সমস্যা তো আছেই। মাথার ত্বক জুড়ে খুশকির দাপটেও নাজেহাল হওয়ার জোগাড়। বিশেষ করে চুলের ধরন অত্যন্ত রুক্ষ হলে, এই সময় ঝক্কি বাড়ে। কন্ডিশনার ব্যবহার করেও মসৃণ হয় না চুল। তাই অনেকেই সব ছেড়ে নারকেল তেলের কাছে সমর্পণ করেন চুল। সমস্যা যত গভীরই হোক, নারকেল তেলের জাদুতে শীতেও চুল ফুরফুর করবে বসন্তের বাতাসের মতো। তবে শীতকাল বলে নয়, সারা বছর কেশচর্চায় নারকেল তেলের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু উত্তুরে হাওয়া দিতে শুরু করলে চুলের চাই বাড়তি যত্ন। তখন নারকেল তেলই হতে পারে চুল ভাল রাখার একমাত্র চাবিকাঠি।
অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকার জানান, চুলের সমস্যার সামাল দিতে হেয়ার সিরাম, হেয়ার মাস্ক বা কন্ডিশনার ব্যবহার করলেও স্থায়ী সমাধানের জন্য নিয়মিত চুলের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। চুলে তেল দেওয়ার চল প্রায় উঠে যেতেই বসেছে। কিন্তু চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে চুলে তেল মাখা অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিন না সম্ভব হলেও সপ্তাহে অন্তত দু’দিন শ্যাম্পু করার আগে চুলে তেল দিতেই হবে। রুক্ষ ও শুষ্ক চুলের জন্য কন্ডিশনার একান্তই জরুরি। শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। এতে চুল মসৃণ ও কোমল থাকে।
চুলের রুক্ষতা দূর করতে নিয়মিত হেয়ার সিরাম ব্যবহার করা প্রয়োজন। বাইরে বেরনোর আগেও চুল ধুলোবালি থেকে সুরক্ষিত রাখতে হেয়ার সিরাম ব্যবহার করুন। ব্লো ড্রায়ারে বেশি চুল শুকোলে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। ভেজা চুল রোদে বা পাখার তলায় শুকোনোই ভাল। ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার করলেও হিট মোড ব্যবহার করা উচিত নয়।