নিউজ ডেস্ক: গোয়া উপকূলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। নৌসেনার ডুবোজাহাজের ধাক্কায় ডুবল মৎস্যজীবীদের নৌকা। দুর্ঘটনার সময় নৌকায় ছিলেন ১৩ জন মৎস্যজীবী। তাঁদের মধ্য থেকে ১১ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও ২ জনের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁদের সন্ধানে জোরকদমে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। নৌসেনার সঙ্গে তল্লাশি অভিযানে যোগ দিয়েছে মুম্বইয়ের মারিটাইম রেসকিউ কোঅর্ডিনেটর সেন্টার (MRCC)। যে ডুবোজাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে সেটি স্করপেন শ্রেণির। নৌসেনার অত্যন্ত শক্তিশালী এই ডুবোজাহাজ। যা নজরদারি চালানোর পাশাপাশি সমুদ্রে যুদ্ধ চালাতে ভীষণরকম পারদর্শী। নিঃশব্দে হামলা চালাতে এই জুড়ি মেলা ভার।
জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার গোয়া উপকূল থেকে প্রায় ৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে সমুদ্রে মারথোমা নামে এক নৌকায় মাছ ধরছিলেন মৎস্যজীবীরা। তখনই ডুবোজাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লাগে নৌকাটির। জোরালো ধাক্কায় টুকরো টুকরো হয়ে যায় জেলেদের নৌকা। উত্তাল সমুদ্রে পড়ে যান মৎস্যজীবীরা। সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজে নামে নৌসেনা। ১১ জনকে দ্রুত উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর ২ মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় ওই দুজনের খোঁজ পেতে জোরকদমে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে নৌসেনার এক মুখপাত্র জানান, নিখোঁজ ওই দুই মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করতে কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না। তল্লাশি অভিযানে উপকূলরক্ষী বাহিনী থেকেও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। উদ্ধার অভিযানে নৌবাহিনী ছয়টি জাহাজ এবং নজরদারি হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।