নিউজ ডেস্ক: আলু ‘রফতানি’ নিয়ে আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়েছিলেন, রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে আলু ‘রফতানি’ করা যাবে না। চাহিদার অতিরিক্ত যা উৎপাদন হবে তা কিনে নেবে রাজ্যে। সোমবার বিধানসভাতেও উঠল আলু-পিঁয়াজ ‘রফতানি’ প্রসঙ্গ। এদিন ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “আগে বাংলা পাবে, তার পর বাকিরা।” এদিন বিধানসভাতেও ‘রফতানি’ নিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আলুর দাম বাড়লে আমরা কিনে সুফল বাংলায় সরবরাহ করি। কিন্তু কিছু লোক বাইরে ‘রফতানি’ করছে নিজেদের ব্যবসার জন্য।”
মুখ্যমন্ত্রীর কথায় বাংলার চাহিদার ৭৫% পেঁয়াজ এখানে উৎপাদন হয়। সেখান থেকেও লোকে বাইরে পাঠাচ্ছে। ফলে দাম বাড়ছে। মধ্যবিত্তের সমস্যা বাড়ছে। ব্যাগ ভরে বাজার করে ফিরতে নাভিশ্বাস উঠছে। মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, “আগে বাংলা পাবে, তার পর বাকিরা।” মুখ্যমন্ত্রীর দফতরকে আড়ালে রেখেই হু হু করে আলু রফতানি হচ্ছিল ভিনরাজ্যে। যার জেরে দাম বাড়ছে এ রাজ্যের বাজারে। ফলে পকেটে টান পড়েছে মধ্যবিত্তের। রফতানির অভিযোগ পেতেই মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেন। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে আলু রফতানি নিয়ে যথেষ্ট উষ্মা প্রকাশ করেন। প্রশ্ন তোলেন, কেন তাঁকে না জানিয়ে আলু রফতানি হচ্ছে? তাতে রাশ টানতে দায়িত্ব দেন টাস্ক ফোর্সকে। আর তাঁর নির্দেশ পেয়ে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা।