নিউজ ডেস্ক: কার্তিক মাসের সংক্রান্তি থেকে শুরু হয়ে গোটা অগ্রহায়ণ মাস জুড়ে চলে ইতু পুজো। তারপর অগ্রহায়ণ মাসের সংক্রান্তির দিন ঘট বিসর্জন দিয়ে তবেই শেষ হয় ইতুর ব্রত। এই এক মাস জুড়ে প্রতি রবিবার বাড়ির এয়ো স্ত্রী বা মা-কাকিমারা নিরামিষ খান, নিষ্ঠা ভরে ব্রত পালন করেন। লোকবিশ্বাস নিষ্ঠাভরে এই ব্রত পালন করলে সংসারে শ্রী বৃদ্ধি ঘটে, সুখ-শান্তি বজায় থাকে। ইতু যেহেতু মূলত সূর্য দেবের পুজো আর সূর্য মানেই রবি, তাই প্রতি রবিবার ব্রত পালন করতে হয়।
অগ্রহায়ণ সংক্রান্তিতে ইতুলক্ষ্মীকে অবশ্যই গাঁদা এবং জবা ফুলের মালা নিবেদন করুন। সঙ্গে ধূপ, দীপ, দূর্বা, বেলপাতা, সিঁদুর, মিষ্টি, নৈবেদ্য, কালো তিল, ফলমূল, হরিতকী দিন। পুরোহিত দিয়ে পুজো করালে তাঁকে দক্ষিণা দিন। সূর্যোদয় থেকে ব্রতপালন শুরু হয়। চলে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। ইতুলক্ষ্মীকে সাজিয়ে দিন পাঁচরকমের মরশুমি ফল, পাঁচরকমের শুকনো ফল। পাশাপাশি পুজোয় নিবেদন করুন মিষ্টি, নতুন গুড়, নতুন চালের গুঁড়ো, নতুন গুড়ে পাক দেওয়া খই, পাটালি কাঁচা পিঠে ও নবান্ন। ইতুপুজো এবং বিসর্জনের দিন একেবারই অন্নগ্রহণ নিষিদ্ধ। দিনের বেলা উপোস করে ব্রত পালন করে পুজো শেষে সেই প্রসাদী পায়েস খেয়ে উপোস ভাঙতে পারেন। রাতে ময়দার কোনও খাবার খেতে পারেন। যাই খাবেন সব নিরামিষ হওয়া প্রয়োজন। পোড়া কোনও খাবার চলবে না। সূর্যাস্তের সময় ইতুলক্ষ্মী নিরঞ্জন করুন। তার আগে পান সুপারি দিয়ে বরণ করুন দেবীকে।