নিউজ ডেস্ক: নর্থ ইস্ট কাউন্সিল তথা এনইসির বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র আসাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে রাজধানী আগরতলা ও সন্নিহিত এলাকা। শুক্রবার দুদিনের রাজ্য সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার থেকেই বিমানবন্দর, প্রজ্ঞা ভবন, একাধিক বেসরকারি হোটেল, উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ এবং রাজ্য অতিথি শালার নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে পুলিশ। প্রায় দশ হাজার নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ করা হয়েছে। এদিন রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে জানালেন রাজ্য পুলিশের ডিজি অমিতাভ রঞ্জন।
২০ ডিসেম্বর থেকে রাজধানী আগরতলায় নর্থইস্ট কাউন্সিল তথা এনইসির বৈঠক বসছে। এই বৈঠকে পৌরহিত্য করবেন এনইসি’র চেয়ারম্যান তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবার তিনি দুদিনের সফরে রাজ্যে আসছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজ্য সফরকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে রাজধানী আগরতলা শহর। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে প্রজ্ঞা ভবন, একাধিক বেসরকারি হোটেল, উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ, রাজ্য অতিথি শালা এবং বিমানবন্দর থেকে স্বামী বিবেকানন্দ ময়দান পর্যন্ত ভিআইপি রোডের দু’ধারের উঁচু ভবনগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্ব বৃহস্পতিবার থেকেই নিয়ে নিয়েছে রাজ্য পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট স্থানগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সাথে। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশক জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর ঘিরে সীমান্ত সংলগ্ন বর্ডার আউট পোস্টগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সীমান্তে নিরাপত্তার টহলদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিমানবন্দর থেকে স্বামী বিবেকানন্দ ময়দান পর্যন্ত ভিআইপি রোডের দু’ধারে অবস্থিত উঁচু ভবনগুলির নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে পুলিশ। প্রায় দশ হাজার নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি জানান কেবলমাত্র রাজধানী আগরতলা এবং সন্নিহিত এলাকায় প্রায় সাত হাজার নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে।পাশাপাশি ভিআইপি রোডের সাথে সংযোগ সড়কগুলিতে নাকা পয়েন্ট সৃষ্টি করা হয়েছে বলে জানান রাজ্য পুলিশের ডিজি অমিতাভ রঞ্জন।
রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশক জানান, নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রাজ্য পুলিশ, টিএসআর, বিএসএফ, সিআরপিএফ এবং আসাম রাইফেল জওয়ানদের নিয়োগ করা হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশ পেট্রোলিং সহ প্রিভেন্টিভ একশন নেওয়া হয়েছে।