নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার যে আগুন (Bangladesh Secretariat Fire) লেগেছিল, তা কোনও ষড়যন্ত্রের অংশ না কি অন্তর্ঘাত, তা খুব তাড়াতাড়িই জানা যাবে। এমনই জানাল সে দেশের মহম্মদ ইউনূসের (Md Yunus) নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ছ’ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে। জানা গিয়েছে, আগুনের বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে রাত ১টা ৫২ মিনিটে জানানো হয়। ১টা ৫৪ মিনিটেই শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে সকাল ৮টা ৫ মিনিট নাগাদ। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১টা ৫০ মিনিটে পঞ্চম তলায় প্রথমে আগুন দেখা যায়।
পরে ধীরে ধীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ওপরতলায়। সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পরপরই দমকলের প্রায় আটটি ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসে। পরে আরও ১১টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায়। আগুন নেভানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন সোহানুজ্জামান নয়ন নামে এক দমকলকর্মী। রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় তাঁর। যে বিল্ডিংটিতে আগুন লাগে, সেখানেই রয়েছে অর্থমন্ত্রক, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রকের অফিস, যুব ও ক্রীড়া, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়, শ্রম ও কর্মসংস্থানের অফিস। দমকল সূত্রে খবর, সচিবালয়ের ওই ভবনে আগুন লাগায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আট ও নয় তলা। সেখানে থাকা বিভিন্ন নথিপত্র পুড়ে গিয়েছে বলে অনুমান।