নিউজ ডেস্ক: ২০০৯ সাল থেকে চালানো হচ্ছিল লোকাল ট্রেনটি। রেলের সিদ্ধান্তে ১ জানুয়ারি থেকে ওই লোকাল ট্রেনটি সিঙ্গুরের বদলে চলবে তারকেশ্বর পর্যন্ত। । এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রেল লাইনে আন্দোলনে নামলেন সিঙ্গুরের রেলযাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার সকাল থেকে রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্নার নেতৃত্বে শুরু হয় সেই প্রতিবাদ কর্মসূচি।
‘সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল’ নামে এই ট্রেনটি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চালানো হচ্ছিল। সিঙ্গুরের কৃষিজমি আন্দোলনকে স্মরণীয় করে রাখার জন্যই এই ট্রেন চালু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আচমকা সেই ট্রেন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় রেল। আর তাতেই আপত্তি সিঙ্গুরবাসীর। বেচারাম মান্না বলেন, “এই ট্রেন সিঙ্গুরবাসীর আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। বহু মানুষ এই ট্রেনের জন্য উপকৃত হন, এই ট্রেন পুনরায় চালু করার দাবি জানাচ্ছি।” রেল না মানলে, বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রীর দাবি, পূর্ব রেল চক্রান্ত করে বন্ধ করেছে। তবে বিক্ষোভ দেখালেও কোনও ট্রেন যাতে না আটকায়, তা নিশ্চিত করেছেন বেচারাম মান্না। তিনি জানিয়েছেন, আপ ও ডাউন লাইনের কোনও ট্রেন যাতে না আটকানো হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে আন্দোলনকারীদের।
রেলের দাবি, ট্রেনের রুট বাড়ানো হচ্ছে। সিঙ্গুরের বদলে ট্রেন চলবে তারকেশ্বর পর্যন্ত। স্থানীয় লোকজন বলছেন, এই ট্রেনের সঙ্গে সিঙ্গুর আন্দোলনের ইতিহাস জড়িয়ে আছে। তাই তারা ট্রেন বাতিল করতে দেবে না। বুধবার সকাল ৬. ৪৫ মিনিটে তারকেশ্বরগামী লোকাল ট্রেনটি সিঙ্গুরের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করলে মন্ত্রী বেচারাম মান্নার নেতৃত্বে সিঙ্গুরের মানুষ রেললাইন অবরোধ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও তাও কোনও কাজে আসেনি। বিক্ষোভকারীরা রেলের সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করার দাবি জানান। জনতার প্রতিবাদের কারণে লোকাল ট্রেনটি সিঙ্গুর ছাড়িয়ে হাওড়ায় ফিরে যেতে পারেনি। রেল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার থেকে এই ট্রেন তারকেশ্বর যাবে।
উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি সিঙ্গুর লোকাল চালু করেছিলেন। কৃষকদের সম্মানে ট্রেনটির নামকরণ করা হয়েছে ‘সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল’। তবে রেলওয়ের দাবি, রুট বাড়ানোর ফলে আরও বেশি মানুষ উপকৃত হবেন।