নিউজ ডেস্ক: প্রবল চাপে পড়ে অবশেষে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। সোমবারই এই কথা জানিয়েছেন তিনি। শুধুই কানাডার প্রধানমন্ত্রীত্বই নয়, লিবারেল পার্টির নেতার পদ থেকেও পদত্যাগ করেছেন তিনি। আগামী অক্টোবর মাসে কানাডায় নির্বাচন রয়েছে। তার আগে সেদেশের রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্তফাপত্র পেশ করবেন ট্রুডো। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। আর কানাডায় যখন রাজনৈতিক অস্থিরতা, ঠিক তখনই গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কানাডাকে আমেরিকার সঙ্গে জুড়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিলেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম প্রদেশ হিসেবে কানাডাকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবও দিয়েছেন ট্রাম্প।
তাঁর বক্তব্য, ‘কানাডার জনগণ চান তাঁদের দেশ যেন আমেরিকার ৫১তম প্রদেশ হয়ে ওঠে। কানাডাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যে বিরাট ভর্তুকি দেওয়া দরকার তা আমেরিকা আর সহ্য করতে পারছে না। জাস্টিন ট্রুডো এই বিষয়টি জানেন এবং সেই জন্যই তিনি পদত্যাগ করেছেন। কানাডা যদি আমেরিকার সঙ্গে যুক্ত হয় তাহলে তাদের কোনও বাণিজ্য শুল্ক দিতে হবে না। করের পরিমাণ অনেক কমে যাবে। একইসঙ্গে রাশিয়া ও চিনের চোখরাঙানির হাত থেকে রক্ষা পাবে। একত্রে আমরা এক মহান দেশ হয়ে উঠব।’ তবে এই প্রস্তাব প্রথম নয়, গত নভেম্বরেও কানাডাকে আমেরিকার সঙ্গে জুড়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু তখন এই প্রস্তাব খারিজ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।