নিউজ ডেস্ক: স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে শুক্রবার থেকে শুরু হলো “স্বামী বিবেকানন্দ মিলন মেলা”। কালী সিংহী পার্কে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে এই মেলার সূচনা করেন বিশিষ্ট অতিথিরা। বিবেকানন্দ পাঠচক্র ও সংস্কার ভারতীর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই মেলা পাঁচদিন ধরে চলবে। সাধারণ মানুষের জন্য এখানে অবাধ প্রবেশের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সংঘাধ্যক্ষ গিরিশানন্দ মহারাজ, স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক আবাসের সম্পাদক স্বামী জ্ঞানলোকানন্দ মহারাজ, বিবেকানন্দ পাঠচক্রের সভাপতি কর্নেল (প্রাক্তন) সব্যসাচী বাগচী এবং বিশিষ্ট আইনজীবী অনিন্দ্য কুমার মিত্র।
স্বামী জ্ঞানলোকানন্দ মহারাজ তাঁর ভাষণে বলেন, “বিবেকানন্দ মিলন মেলা মানে সকলের মধ্যে মেলবন্ধনের এক উপলক্ষ। স্বামীজির জীবন ও ভাবধারা প্রতিটি মানুষের জীবনে নতুন দিশা দেখায়।” রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সহ-সংঘাধ্যক্ষ গিরিশানন্দ মহারাজ জানান, “স্বামীজির জ্ঞান এবং আধ্যাত্মিক আদর্শ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।”
আইনজীবী অনিন্দ্য কুমার মিত্র বলেন, “স্বামীজির ভাবধারা ও আদর্শকে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটি অনন্য মাধ্যম এই মিলন মেলা।” কর্নেল সব্যসাচী বাগচী বলেন, “স্বামী বিবেকানন্দের জন্মভূমি আমাদের কর্মভূমি। তাঁর আদর্শকে সকলের সামনে তুলে ধরাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।” বিবেকানন্দ পাঠচক্রের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ দত্ত জানান, “এই মেলার মূল উদ্দেশ্য হল স্বামীজির নামে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে একত্রিত করা।” সহ-সভাপতি এবং সংস্কার ভারতী পশ্চিমবঙ্গের কার্যকরী সভাপতি সুভাষ ভট্টাচার্য বলেন, “১৯৭০ সাল থেকে আমরা এই জন্মজয়ন্তী পালন করে আসছি। গত ১৫ বছর ধরে একে মেলার রূপ দেওয়া হয়েছে যাতে স্বামীজীর ভাবধারা আরও বৃহৎ পরিসরে ছড়িয়ে পড়ে।”
পাঁচদিনব্যাপী এই মিলন মেলায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বক্তৃতা, এবং প্রদর্শনীর মাধ্যমে স্বামী বিবেকানন্দের জীবন ও দর্শনকে তুলে ধরা হবে। সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে এই মেলা এক মিলনক্ষেত্র হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।