নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখরে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাজ্জাক আলামকে গুলি করে মারল পুলিশ। শনিবার সকালে এনকাউন্টারে পুলিশের গুলিতে সাজ্জাকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সাজ্জাক সীমান্ত পার করে বাংলাদেশ পালানোর ছক করেছিল।
গত বুধবার বিকেলে পুলিশকে গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার পর সাজ্জাকের খোঁজ চলছিল। তার সন্ধান পেতে রীতিমতো চিরুনি তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। শনিবার পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, গোয়ালপোখরের কিচকতলা এলাকায় সে রয়েছে। এরপরই সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। সাজ্জাককে ধরতে গেলে সে ফের পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশের পাল্টা ছোড়া গুলিতে সে গুরুতর জখম হয়। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সাজ্জাকের শরীরে ক্ষত অনেকটাই বেশি ছিল। তাছাড়া রক্তক্ষরণও হয়েছিল তার। শনিবার সকালে চোপড়া সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করার সময়ে তাঁকে আটকাতে গুলি চালায় পুলিশ।
সাজ্জাক বিচারাধীন বন্দি ছিল। ২০১৯ সালে করণদিঘির পোলট্রি কারবারি সুবেশ দাস নামে এক ব্যক্তিকে খুন ও কয়েক লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্যাংস্টার সাজ্জাকের বিরুদ্ধে মামলা চলছিল। বুধবার মামলার শুনানি শেষে প্রিজন ভ্যানে চাপিয়ে সাজ্জাক-সহ মোট তিনজনকে রায়গঞ্জ সেন্ট্রাল জেলে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পাঞ্জিপাড়ায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে একরচালা কালী মন্দিরের কাছে এসে শৌচাগারে যাওয়ার জন্য পুলিশ কর্মীদের জানায় সাজ্জাক। শৌচকার্য সেরে ফিরে আসা মাত্রই সে গায়ে জড়ানো কম্বল সরিয়ে পিস্তল বের করে পুলিশ কর্মীদের লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালায়। এরপরই সেখান থেকে সে চম্পট দেয়।