নিউজ ডেস্ক: শাস্তি ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি এখনও ফাঁসির দাবিতে অনড়। সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাজ্য হাই কোর্টের দ্বারস্থ হবে বলেও জানান তিনি। সময় এতটুকুও নষ্ট না করে মঙ্গলবার দিনের প্রথমার্ধ্বেই আবেদন নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার।
দোষী সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ ফাঁসির দাবিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত হাই কোর্টে আবেদন জানান। সূত্রের খবর, মামলা দায়েরের অনুমতি মিলেছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে।
সোমবার শিয়ালদহ আদালত দোষীর আমৃত্যু কারাবাসের শাস্তি ঘোষণা করে। শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস নির্দেশনামায় লিখেছেন, আর জি করের ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম হিসাবে বিবেচনা করছেন না তিনি।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী এটিকে বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা বলেই মনে করছেন। মুখ্যমন্ত্রী শুরু থেকেই আর জি কর-কাণ্ডে দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে এসেছেন। গত বছরের ৯ অগস্ট আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর দোষীর ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলেন তিনি।