নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভের শোভাযাত্রায় ভারতের বীরাঙ্গনা নারীশক্তির ঐশ্বরীয় ক্ষমতার প্রদর্শন করলো সংস্কার ভারতী। শোভাযাত্রায় প্রদর্শিত হয় বাংলার রানী রাসমনি, রানী ভবশঙ্করী ও ভগিনী নিবেদিতার গৌরব গাথা।
ভারত নির্মাণে যোগদানকারী নারীশক্তির আদর্শ ও তাঁদের ঐশ্বরিক শক্তির অজানা ইতিহাস সম্বলিত এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজনের মাধ্যমে প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভে সমগ্র বিশ্বের মানুষকে জ্ঞাত করলো সংস্কার ভারতী।
সংস্কার ভারতী পশ্চিমবঙ্গ প্রান্তের তত্ত্বাবধানে তিনজন বঙ্গ মাতৃশক্তি ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের সাথে এক সারিতে শোভাযাত্রায় প্রতিনিধিত্ব করেন। ভগিনী নিবেদিতা, রানী রাসমণি, রানী ভবশঙ্করী দেবী এই তিন চরিত্র উপস্থাপন করেন সংস্কার ভারতীর তিন শিল্পী তনুশ্রী মল্লিক, তনুশ্রী দত্ত রায়, রূপালী রায় চৌধুরী। এছাড়াও সহযোগী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুই প্রদেশ কার্যকর্তা জয়দেব বনিক ও শীর্ষ আচার্য।
সংস্কার ভারতী পশ্চিমবঙ্গ প্রান্তের সাধারণ সম্পাদক তিলক সেনগুপ্ত বলেন, প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভে ভারতের নারীশক্তির গৌরব প্রকাশের জন্য সংস্কার ভারতী রাষ্ট্র রত্না শোভাযাত্রার আয়োজন করে। দেশের দুশো বীরাঙ্গনা নারীশক্তির আদর্শগুলি মডেল আকারে উপস্থাপিত হয়। সেই শোভাযাত্রায় বাংলার তিন মহিয়সী নারীর স্বরূপ দেখতে পেল দেশ। যা অত্যন্ত গৌরবের।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। তিনি বলেন যে, এই অনুষ্ঠানটি কেবল ভারতীয় সংস্কৃতির উদযাপন নয়, এটি মহিলাদের অনন্য অবদানকে সম্মান করার প্রচেষ্টা। এই শোভাযাত্রা দেশবাসীকে নারীর ক্ষমতায়ন এবং নতুন ভারত গড়ার বিষয়ে সচেতন করার বার্তা দেয়।