নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানে কনকনে শীতের দাপট আগামী ৪ দিন অব্যাহত থাকবে। এই সময়ে তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে। আকাশ সম্পূর্ণ পরিষ্কার থাকবে, যার ফলে উত্তর থেকে আসা হাওয়ার প্রভাব বজায় থাকবে। তবে ২৮ জানুয়ারি থেকে শীত কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবার সকালে জয়পুর, উদয়পুর, চুরু-সহ একাধিক জেলায় তুষারপাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। গ্রামাঞ্চলে শিশিরের ফোঁটা জমে বরফে পরিণত হয়েছে। পশ্চিম থেকে আসা হাওয়া সক্রিয় হলে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে। আবহাওয়াবিদদের মতে, এই বছরের কনকনে শীতের এটি শেষ পর্যায় হতে পারে। এরপর শীতের প্রকোপ ধীরে ধীরে কমে যাবে।
জয়পুরের আবহাওয়া বিজ্ঞান কেন্দ্র জানিয়েছে, ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজস্থানে তীব্র শীত অনুভূত হবে। ২৮ জানুয়ারি থেকে উত্তর হাওয়ার জায়গায় পশ্চিমী হাওয়া প্রবাহিত হতে পারে। এর ফলে রাজ্যের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত হালকা শীত অনুভূত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের জয়পুর, উদয়পুর, যোধপুর, আজমের, বিকানের-সহ একাধিক জায়গায় পরিষ্কার আকাশ ও রোদ ঝলমলে দিন ছিল। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২২ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রেকর্ড করা হয়। এর মধ্যে জালোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া জয়সলমেরে ২৪.২, যোধপুরে ২৫.৪, বাডমেরে ২৫.৭, চিত্তৌরগড়ে ২৫.৬, আজমেরে ২৪.৫, জয়পুরে ২৪, পিলানিতে ২৫, কোটা ২৩.৫, উদয়পুরে ২২.২, বিকানেরে ২৪.২ এবং চুরু ও শ্রীগঙ্গানগরে ২৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
শীতের প্রকোপে আজমের, জয়পুর, ভিলওয়াড়া, টঙ্ক, কোটা, কারৌলিসহ বিভিন্ন জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি পর্যন্ত কমে গিয়েছে। শুক্রবার রাজ্যের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল ফতেহপুরে, ৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জয়পুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাডমেরে ১০.৬, কোটা ১০.৪, জোধপুরে ১৩.২, ফলোদিতে ১০.৬, ডুংগরপুরে ১২.৮, জালোরে ১১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজ্যের বাকি সমস্ত শহরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল।