নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোয় বাধা নিয়ে সভায় অমিত শাহর অভিযোগ, সরস্বতী পুজো নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমনাত্মক বক্তৃতা এবং মঙ্গলবারের একটি ঘটনার ছবির ৩ মিনিট ৫ সেকেণ্ডের একটি ভিডিয়ো-সহ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, “ভিডিওটি দেখে হঠাৎ করে সকলের বাংলাদেশের মনে হতেই পারে, কিন্তু সকলের জ্ঞাতার্থে জানাই ভিডিওটি হরিণঘাটা বিধানসভার নগরউখড়ার দাসপোল ডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের ইচ্ছায় বিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজোর উদ্যোগ নিচ্ছিলেন, যে খবরটা চাউর হতেই এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি আলিমুদ্দিন মন্ডল ও তার সহযোগীরা প্রকাশ্যে প্রধান শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং বলেন সরস্বতী পুজো করা যাবে না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রধান শিক্ষক কে বদলি করার হুমকিও দেওয়া হয়।
২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের সময় নির্বাচনী প্রচারে দেশের সম্মানীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জি জনগণের উদ্দেশ্যে প্রকাশ্য জনসভায় অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যে সরস্বতী পুজো করতে দেওয়া হয় না। তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জী সর্বসমক্ষে এই অভিযোগ খন্ডন করে বলেছিলেন “দিল্লির নেতারা বাংলাকে নাকি হিংসা করে আর মিথ্যে কথা বলে” তিনি সম্মানীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর করা ” ইহাঁ স্কুল মে সরস্বতী পুজা করনে নেহি দিয়া যাতা হে” এই মন্তব্যের খিল্লি উড়িয়ে বিকৃত অঙ্গভঙ্গি করে বলেছিলেন এটি নাকি বিজেপির এজেন্ডা।
হরিণঘাটার ঘটনা নতুন কিছু নয়, গত বছর দুর্গাপুজোর সময় বা লক্ষ্মীপুজোয় এই একই ঘটনা রাজ্যের মানুষ চাক্ষুষ করেছেন। মমতা ব্যানার্জীর সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য পশ্চিমবঙ্গ এখন খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে।
ভারতবর্ষের স়ংবিধান দেশের প্রত্যেক নাগরিককে তার নিজের ধর্ম পালনের অধিকার দিয়েছে। কিন্তু অন্য ধর্মের এক শ্রেনীর মানুষ বার বার হিন্দুদের ধর্মাচরণ, পূজা অর্চনায় বাধা দিচ্ছেন। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হল এদের বিরুদ্ধে কোনো রকম আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। প্রশাসন একেবারে নিশ্চুপ। কারণ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কথায় এরা দুধেল গাই, তাই এদের লাথি খেতে হবে।
রাজ্যের সনাতনীদের বলব, এখনো বেশী দেরি হয়নি, সকলে একত্রিত হন। সম্মিলিত ভাবে গণতান্ত্রিক ভাবে এই জেহাদিদের তোষণকারী তৃণমূলকে বঙ্গোপসাগরে ছুঁড়ে না ফেলতে পারলে এই পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশ হতে আর বেশী দেরি নেই।”