নিউজ ডেস্ক: সরস্বতী পুজো উপলক্ষে রাঢ়বঙ্গের গৃহিণীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন শিল ষষ্ঠী পুজোয়। সরস্বতী পুজো শেষ হওয়ার পরের দিন পালিত হয় ষষ্ঠী পুজো, এটি একটি প্রাচীন রীতি।
এদিন পুজোর পাশাপাশি পান্তা ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, আর আগের দিন রাতে রান্না করা ভাত তরিতরকারি দিয়ে এই দিন ভোজন হয়। গৃহিণীরা শিলনোড়াকে নতুন কাপড়ে সাজিয়ে পূজা করেন এবং সঙ্গে দল, শামুক, বাঁশ পাতা ইত্যাদি নিবেদন করেন। এরপর পুজোর দিন সকালে পুরোহিত শিল নোড়াকে হলুদ, দই–সহ পুজো করেন। বাড়ির পুরুষরাও এই কাজে সহায়তা করে।
‘শিল ষষ্ঠী’ পুজোয় শিল নোড়াকে দেবতা মেনে পরিবারের মঙ্গল কামনায় পুজো করা হয়। এই পুজোকে কেন্দ্র করে বাজারগুলোতে শামুক (গেঁড়ি গুগলি) ও জলজ দল অত্যন্ত চড়া দামে বিক্রি হতে দেখা যায়। এগুলি দেবী ষষ্ঠীর প্রিয় এবং পবিত্র হিসেবে বিবেচিত। স্থানীয় শিক্ষাবিদ তপন চৌধুরী জানান, শামুক ও জলজ দলকে পরিবারের কল্যাণকর ও পবিত্র হিসেবে মানা হয়। এছাড়া, শিল নোড়ায় ষষ্ঠী ঠাকুরের ৬০ ছেলে-মেয়ের ছবি আঁকা হয়, যা গৃহবধূরা নিজের হাতে আঁকেন। রাঢ়বঙ্গের এই শিল-নোড়া পুজোর সময়ে এক অনন্য উৎসব পরিবেশ তৈরি হয়, যা সবার মধ্যে আনন্দ এবং ঐতিহ্যের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যায়।