নিউজ ডেস্ক: ড্রাগের নেশায় পশ্চিমবঙ্গ ব্যাপকভাবে জর্জরিত। তা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার রাজ্যের ৮ টি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলায় ‘নেশা মুক্তি ভারত প্রকল্প’ বাস্তবায়িত করেনি বলে অভিযোগ।
ড্রাগ দুরীকরণে পশ্চিমবঙ্গের স্বেচ্ছাসেবী নানা সংগঠনের (এনজিও) জন্য ₹৪.০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। সাংসদ সৌমিত্র খাঁ অভিযোগ জানিয়ে বলেন, “আমি কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছিলাম পশ্চিমবঙ্গে কতজন মাদকাসক্ত। প্রশ্নের উত্তরে দেখা গিয়েছে, প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষ এই নেশার সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে। মন্ত্রক নিচের তথ্য দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় জবাবের মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণ পরিসংখ্যান—
১. অ্যালকোহলে জর্জরিত – ২৭০০০০০
২. গাঁজার নেশায় জর্জরিত – ১৪৪০০০
৩. আফিমের নেশায় জর্জরিত – ৩৪৩০০০
৪. নানা নেশায় জর্জরিত – ১১২০০০।
সৌমিত্রবাবু বলেন, “এটা আমাদের পক্ষে খুব লজ্জার ব্যাপার। কারণ, যে হারে পশ্চিমবঙ্গে মদের দোকান বাড়ানো হচ্ছে, প্রতি পঞ্চায়েত এলাকায় যেভাবে এরকম দোকান খোলার পরিকল্পনা চলছে, তাতে আগামী দিনে যুব সম্প্রদায় ধ্বংশের পথে এগিয়ে চলেছে। কেন্দ্রের এই তথ্য সঠিক। এ ব্যাপারে প্রত্যেককে সজাগ হতে হবে। প্রতি পঞ্চায়েত এলাকায় নতুন মদের দোকান খোলার বদলে বর্তমান মদের দোকান বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা উচিত।
রাজ্য থেকে ১৫০০০ বিপদাপন্নর আবেদন (ডিস্ট্রেস কল) থেকে বোঝা যায় এই পরিস্থিতি কতটা শোচনীয়।”