নিউজ ডেস্ক: বারুইপুর থানার অন্তর্গত আগনা কাটা খাল এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। মৃতদেহ একটি বাগানের মধ্যে পড়ে ছিল। কয়েকদিন ধরেই দেহ পড়েছিল বলে দাবি পুলিশের। পচা গন্ধ বের হতেই এলাকার মানুষের নজরে আসে মৃতদেহটি। তারাই বারুইপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে কলকাতার আনন্দপুর থানা এলাকার বাসিন্দা সানু রামের দেহ এটি। বৃহস্পতিবার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাচ্ছে বারুইপুর থানার পুলিশ।
২৮ বছর বয়সী জুতোর দোকানদার সানু রাম ৩১ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ওইদিন কসবা এলাকায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথেই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। সেই থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় থানায় নিখোঁজ থাকার অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের তরফে, পরে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে সোনুর একাউন্ট থেকে রহস্যজনকভাবে এক লক্ষ টাকা ট্রান্সফার হয়েছে সোনারপুর অমিত নষ্করের একাউন্টে। অমিত পুলিশি জেরায় স্বীকার করে অনুপ মন্ডল ও দিও হালদার এই টাকা ট্রান্সফার করেছিল। অনুপকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে খুনের কথা স্বীকার করে ও মৃতদেহ লোকানোর কথা স্বীকার করে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ মোট ৫ অভিযুক্তের নাম পায়, এদের মধ্যে অনুপ মন্ডল, দীপ হালদার, খোকন বৈদ্য ও প্রদীপ ন্যায়বান নামে চারজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনায় আরেক অভিযুক্তর রঞ্জিন চক্রবর্তীর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি সঠিক কী কারণে খুন করা হল ওই ব্যবসায়ীকে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার হয় বুধবার। বৃহস্পতিবার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাচ্ছে বারুইপুর থানার পুলিশ।