নিউজ ডেস্ক: বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়েছিলেন কল্যাণীর বাজি কারখানার মালিক খোকন বিশ্বাস। কিন্তু তিনি হাসপাতালে না গিয়ে পালিয়েছিলেন! অবশেষে ৭ ঘণ্টা পর তাঁকে ধরতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। মোবাইল টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরেই খোকেনের সন্ধান পায় তাঁরা।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে ওই দোকানে আতসবাজি বিক্রির অনুমতি ছিল ঠিকই। কিন্তু দোকানের আড়ালেই অবৈধভাবে বাজির কারখানা চলত। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার দায় গিয়ে পড়ে খোকনের ওপর। কিন্তু বিস্ফোরণের পরই সে ‘গায়েব’ হয়ে যায়। বার বার তাঁর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন বদলাচ্ছিল।
সূত্রের খবর, শেষে নিজের ফোন বন্ধও করে দেন খোকেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি। এক সঙ্গীর মাধ্যমেই তাঁর হদিস পায় পুলিশ। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের আশপাশের একটি এলাকা থেকে রাতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
এই ঘটনায় মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ইতিমধ্যে জানিয়েছে নবান্ন। শুক্রবার দুপুরে রথতলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় যে চার জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের নাম বাসন্তী চৌধুরী, অঞ্জলি বিশ্বাস, রুমা সোনার এবং দুর্গা সাহা। এক মহিলা গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর নাম উজ্জ্বলা ভুঁইয়া।