নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভ শেষ হতে সরকারিভাবে আরও অন্তত ১২ দিন বাকি। কিন্তু বৃহস্পতিবার, এই মেলা শুরুর প্রায় এক মাস বাদে যেন শুরু হয়ে গিয়েছে মেলা ভাঙার খেলা।
পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপুজোর একাদশীর দিন যেমন একটা বিসর্জনের সুর বাজতে থাকে, অনেকটা তেমনই মহাকুম্ভে মাঘীপূর্ণিমার পরদিনের আবহ। একমাস ধরে অগণিত পুণ্যার্থীর চাপ সামলে অনেকটাই যেন বিধ্বস্ত বিভিন্ন আশ্রমের পরিচালকরা। রাতে ঠান্ডা, দিনে রোদের তেজ বা গরম। সেই সঙ্গে খরচের ধাক্কা।
এদিন সকালে মেলাপ্রাঙ্গণের বিভিন্ন ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক সংগঠনের শিবিরে গিয়ে দেখা গেল মন্ডপের কিছু অংশ খোলার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বুধবারই শিবিরগুলো থেকে
মাঘী পূর্ণিমায় স্নান করতে আসা পুণ্যার্থীরা চলে যেতে শুরু করেছেন। কিছু সংগঠনের কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে জানালেন, শিবরাত্রির স্নানের পুণ্যদিন পর্যন্ত তাঁরা আর শিবির চালাতে পারছেন না।
বুধবারের মত ভিড় নেই সঙ্গমঘাট বা আশপাশে। তবে, বৃহস্পতিবার কেউ ওই ঘাটে প্রথমবার গেলে তাঁর কাছে মনে হবে লোকে লোকারণ্য। ভিক্ষাজীবী হরেক রকম। নানা ধরণের পসরা নিয়ে বসা অগুণতি বিক্রেতা, উটের পিঠে চড়ানোর লোক, সাহায্যের প্রত্যাশী সাধু— রীতিমত গমগম করছে ঘাটগুলো।
সঙ্গমঘাটে স্নান করতে আসা প্রায় প্রত্যেকেরই লক্ষ্য তীরে দাঁড়ানো ঘনিষ্ঠকে দিয়ে জীবনের স্মরণীয় মুহূর্তকে মুঠোফোনে ধরে রাখা। মুঠোফোন নিয়ে কেউ কেউ জলে নেমে যাচ্ছেন নিজস্বী তুলতে। দ্রৌপদী মুর্মু, নরেন্দ্র মোদী, দিলীপ ঘোষ, অনিল অম্বানী, হেমা মালিনী, অনুপম খের, নীনা গুপ্ত, ভাগ্যশ্রী, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়— এরকম অজস্র বিখ্যাত বা প্রভাবশালীর পুণ্যস্নানের ছবি সামাজিক মাধ্যমে দেখে আমজনতার মনেও সেভাবে বিখ্যাত হওয়ার ইচ্ছে জাগবে, সেটাই তো স্বাভাবিক।