নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় বর্ষের এক কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব, সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মারধর, অভিযোগ ৩ যুবকের বিরুদ্ধে। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তরুণীকে কলেজ থেকেই তুলে নিয়ে গিয়েই বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়ে বেরোনো মাত্রই তিন যুবক দু’টি স্কুটিতে এসে ছাত্রীটির মুখ চেপে অপহরণ করে। তারপর তাকে মারধর করে বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে বারুইপুর থানার অন্তর্গত বেতবেড়িয়া অঞ্চলে। ওই ছাত্রী চম্পাহাটির সুশীল কর কলেজে পরীক্ষা দিতে আসে, তারপর বেতবেড়িয়া রামকৃষ্ণ পল্লী অঞ্চলের তিনটি ছেলে তাকে তুলে নিয়ে যায়। প্রথমে কলেজের পাশে মারধর করে পরে গৌড়দহ এলাকায় নিয়ে গিয়ে প্রচন্ড মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপর বাড়ির সামনে নিয়ে গিয়ে ফেলে দিয়ে চলে যায় অভিযুক্তরা। ওই ছাত্রীকে নানাভাবে উত্যক্ত করত অভিযুক্তরা, বিয়ে করার প্রস্তাবও দিয়েছিল। কিন্তু ছাত্রীটি না মানায় তাকে মারধর করে শাশ্বত বৈদ্য নামে অভিযুক্ত যুবক। সঙ্গ দেয় তার দুই সঙ্গী।গৌড়দহ চার্চ সংলগ্ন মাঠে ওই তরুণীকে সোমবার মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তারপর সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে গিয়ে ফেলে দেওয়া হয় ওই কলেজ ছাত্রীকে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে চোট লেগেছে। ওই তরুণী চম্পাহাটি সুশীল কর কলেজের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। বাড়ি বেলেগাছি পঞ্চায়েতের রামকৃষ্ণ পল্লী এলাকায়। রাতেই যুবতীর পরিবারের লোকজন তাকে জখম অবস্থায় বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। বারুইপুর থানায় অভিযুক্ত যুবক শাশ্বত বৈদ্য-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার পরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ওই তরুণী-সহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তরুণীর অভিযোগ, কলেজে পরবর্তী পরীক্ষা দিতে এলে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে অভিযুক্ত শাশ্বত বৈদ্য।
সোমবারও কলেজে যাওযার সময় তরুণীর পিছু নিয়েছিল সে। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত তরুণী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। বারুইপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত শাশ্বত বৈদ্য ও তার এক সঙ্গী রাকেশ দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য আরেক অভিযুক্ত পলাতক। তার খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।