নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। করাচিতে স্বাগতিক পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচের মধ্য দিয়ে শুরু হবে টুর্নামেন্টটি। আর বৃহস্পতিবার ভারত টুর্নামেন্ট শুরু করবে দুবাইয়ে বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে। পারফরম্যান্সস-এ বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে ভারত। ওয়ানডে ফরম্যাটে দুই দলের ৪১ বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশ ভারতের বিরুদ্ধে জিতেছে মাত্র ৮টিতে।
বৃহস্পতিবার ম্যাচটি হবে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এই স্টেডিয়ামে দুটি ম্যাচ হয়েছিল। দুটিতেই আগে ব্যাট করে হেরেছে টাইগাররা। ২০১৮ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে আগে ব্যাট করে ২২২ রানে অলআউট হয়েছিল টাইগাররা। টানটান উত্তেজনার সেই ম্যাচ ভারত জিতেছিল ৩ উইকেটে। একই টুর্নামেন্টে এর আগের ম্যাচে ১৭৩ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। ৮২ বল বাকি থাকতেই সেই ম্যাচ ৭ উইকেটে জেতে ভারত। ভারতের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন বিরাট কোহলি। অর্থাৎ, টাইগার বোলারদের সামনে বিরাট হতে পারে বড় চ্যালেঞ্জ। ১৬ ম্যাচে মোট ৯১০ রান করেছেন কোহলি। রয়েছে ৫টি সেঞ্চুরি, ৩টি হাফ-সেঞ্চুরি।
এরপরেই আছেন রোহিত শর্মা। বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৭ ম্যাচ খেলে করেছেন ৭৮৬ রান। এর মধ্যে রয়েছে ৩টি সেঞ্চুরি ও হাফ-সেঞ্চুরি। তবে শূন্য রানে আউট হয়েছেন তিনবার। এই দুজনেই এবার ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে আছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে কে.এল রাহুলের পরিসংখ্যানটাও খারাপ নয়। ৬ ম্যাচ খেলে রান করেছেন ২২৫। রয়েছে দুটি হাফ-সেঞ্চুরি। শুভমান গিল টাইগারদের বিপক্ষে খেলেছেন মাত্র দুটি ম্যাচ। আর দুই ম্যাচেই তাঁর মোট রান ১৭৪। একটি করে সেঞ্চুরি ও হাফ-সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর।
রবীন্দ্র জাদেজাকে খেলা একটু মুশকিল হতে পারে। টাইগারদের বিপক্ষে ১৩ ম্যাচে তিনি উইকেট নিয়েছেন ১৪টি। জসপ্রীত বুমরাহ ৫ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ১২টি। তবে তিনি এবার খেলছেন না। মোহাম্মদ শামি বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪ ম্যাচ খেলে উইকেট নিয়েছেন ৯টি। ওয়াশিংটন সুন্দর ৩ ম্যাচ খেলে উইকেট নিয়েছেন ৬টি। অর্থাৎ এই বোলাররা যে টাইগার ব্যাটারদের ওপর চাপ তৈরি করবে,তা বলা যায়।
আর ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে বেশি রান করেছেন সাকিব আল হাসান। ২২ ম্যাচে তার রান ৭৫১। কোনও সেঞ্চুরি নেই, হাফ-সেঞ্চুরি রয়েছে ৯টি। এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নেই এই ক্রিকেটার। এর পরেই রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ভারতের বিপক্ষে ২৬ ম্যাচ খেলে মোট রান করেছেন ৭০৩। এক সেঞ্চুরির সঙ্গে আছে ৩টি হাফ-সেঞ্চুরি। তিন নম্বরে আছেন তামিম ইকবাল। ১৯ ম্যাচে ৫৯৬ রান আছে তার। তিনিও নেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভারতের বিপক্ষে খেলেছেন ১৮টি ওয়ানডে। ৩ ফিফটি ও ৩৬ গড়ে তার মোট রান ৪৭৬। লিটন দাস ১১ ম্যাচ খেলে করেছেন ৩৭১ রান। মেহেদী হাসান মিরাজ ভারতের বিপক্ষে ৭ ম্যাচ খেলে করেছেন মোট ২৩১। হাফ-সেঞ্চুরি নেই, আছে একটি সেঞ্চুরি।
ভারতের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ২২ ম্যাচে ২৯ উইকেট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি মোস্তাফিজুর রহমান। ১২ ম্যাচ উইকেট নিয়েছেন ২৫টি। তাসকিন আহমেদ ৭ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ১৪টি।