নিউজ ডেস্ক: ৬ মাসে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড: বাংলার আদালত যৌন নির্যাতন ও নৃশংস হত্যার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ২০২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ ফেব্রুয়ারি—শিশু ও নারীদের উপর অপরাধে দ্রুত ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত। পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণ ও হত্যার অপরাধে শেষবার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল প্রায় দুই দশক আগে, কিন্তু গত ছয় মাসে রাজ্যের বিভিন্ন আদালত ছয়জন দোষীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। পকসো আইনের অধীনে নাবালিকা হত্যা ও ধর্ষণের সাতটি মামলার মধ্যে ছটিকে আদালত বিরলতম মামলা হিসেবে বিবেচনা করেছে এবং দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
এক নজরে –
১. ৭ মাসের শিশুর উপর জঘন্য অপরাধের জন্য রাজীব ঘোষের মৃত্যুদণ্ড
তারিখ: ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
অপরাধ: সাত মাস বয়সী শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা
রায়: কলকাতার একটি বিশেষ পকসো আদালত রাজীব ঘোষকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির আদেশ দেয়। আদালত শিশুটির পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
২. হুগলি জেলায় নৃশংস তিন খুনের জন্য প্রমথেশ ঘোষালের মৃত্যুদণ্ড
তারিখ: ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
অপরাধ: বাবা, মা এবং বোনকে হত্যা
রায়: হুগলির চুচুরা আদালত প্রমথেশ ঘোষালকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়। অভিযুক্ত তার বাবা অসীম ঘোষাল, মা শুভ্রা ঘোষাল এবং বোন পল্লবী চট্টোপাধ্যায়কে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
৩. ফারাক্কা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দীনবন্ধু হালদারের মৃত্যুদণ্ড
তারিখ: ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
অপরাধ: ৯ বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যা
রায়: মুর্শিদাবাদের আদালত দীনবন্ধু হালদারকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর অভিযুক্ত শুভজিৎ হালদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। বিশেষ তদন্ত দল (SIT) মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করে।
৪. কুলতলী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মুস্তাকিন সরদারের মৃত্যুদণ্ড
তারিখ: ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
অপরাধ: ৯ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যা
রায়: বারুইপুর আদালত মুস্তাকিন সরদারকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। মাত্র ৬১ দিনের মধ্যে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। অভিযুক্ত মেয়েটিকে অপহরণ করে, ধর্ষণ করে ও হত্যা করে।
৫. শিশু ধর্ষণ ও হত্যার জন্য অশোক শর মৃত্যুদণ্ড
তারিখ: ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
অপরাধ: ৭ বছর বয়সী এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যা
রায়: আলিপুর জেলা ও দায়রা আদালত অশোক শকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। বিচারক এই ঘটনাকে “বিরলতম” বলে আখ্যায়িত করেন।
৬. জঘন্য ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে এমডি আব্বাসের মৃত্যুদণ্ড
তারিখ: ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
অপরাধ: নাবালিকা ধর্ষণ ও হত্যা
রায়: শিলিগুড়ির আদালত এমডি আব্বাসকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ৩৩ জন সাক্ষীর বক্তব্যের ভিত্তিতে অতিরিক্ত দায়রা জজ এই রায় ঘোষণা করেন।