নিউজ ডেস্ক: এবার অপরাধ দমনে কাজ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের একটি সাংগঠনিক বৈঠকে এই নিয়ে এক দফার আলোচনায় বসেছিলেন কলকাতা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকেরা। আপাতত কোন কোন এলাকায় এই আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগানো যাবে তা শনাক্ত করার কাজ চলছে।
ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিডি, এসটিএফ এবং ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা। কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে প্রাথমিক ভাবে এআই নিয়ে পুলিশ বিভাগে কাজ হয় এমন বিদেশের কিছু মডেলের উপর গবেষনা করা হবে। সেই তথ্য থেকে কলকাতা পুলিশের কোন কোন বিভাগে এআই কাজ করবে তা স্থির করা হবে।
যদিও কলকাতা পুলিশের একজন উচ্চ পদাধিকারী অফিসার জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করা হবে। এই চ্যাটবটের সাহায্যে দৈনন্দিন কাজের রেকর্ড রাখা হবে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ভিত্তিক রিপোর্টও তৈরি করবে এই চ্যাটবট। টেকনোলজির সাহায্যে ম্যানপাওয়ারের উপর কাজের চাপ কমাতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এই আলোচনাতে উঠে আসে যে এআই ব্যবহারের ফলে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে কাজের সুবিধা হবে। এমনকী দরকারি অ্যানালিসিসগুলি খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। চ্যাটজিপিটির পাশাপাশি ট্রান্সক্রাইবের জন্যেও এআই ব্যবহার করা হবে। ধীরে ধীরে অপরাধ দমন শাখাতেও এআইকে কাজে লাগানো যাবে বলে জানিয়েছে লালবাজার। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে ডেটা ও প্যাটার্ন অ্যানালাইজ করে অপরাধ দমনে সাহায্য হবে বলেও জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।