নিউজ ডেস্ক: শৈশবে বর্ণপরিচয়ে সকলেই পড়েছেন গোপাল অতি সুবোধ বালক। কিন্তু আজকের ঘটনার পর আর সেকথা কতোটস সঙ্গত হবে বলা মুশকিল। এমনই এক ঠগ, প্রতারক গোপালের কথা সামনে এসেছে। যিনি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন নিজের বাড়িতে এক যুবতীকে রেখে সহবাস করে পরে তাড়িয়ে দিলেন। তিনি পেশায় রেলকর্মী। নাম গোপালচন্দ্র বিশ্বাস। বাড়ি কল্যাণীর সীমান্ত এলাকায়। বয়স আনুমানিক ৬০ বছর।
অভিযোগ, বছর তিনেক আগে ২০২০ সালে গোপাল পায়রাডাঙার বাসিন্দা বছর ২৬-এর সুস্মিতা সেনকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। তাঁকে নিয়মিত সহবাসেও লিপ্ত থাকত গোপাল। কিন্তু বিয়ের কথা বললেই সুস্মিতাকে মারধর করা হতে থাকে। সম্প্রতি বিয়ের বায়না করায় চলতি মাসের ২ তারিখ তাঁকে মারধরের পর জোর করে গাড়িতে চাপিয়ে পায়রাডাঙার বাড়িতে ছেড়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার সুস্মিতা কল্যাণীর বাড়িতে আসেন তাঁর প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস নিতে। কিন্তু তা তাঁকে দেওয়া হয়নি। উল্টে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। বাধ্য হয়েই সুস্মিতা দ্বারস্থ হন কল্যাণী থানার। পুলিশ গিয়ে সুস্মিতাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ‘রাজ্যে কুস্তি, দিল্লিতে দোস্তি’র বিরুদ্ধে সোচ্চার মমতা
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় গোপালের আরও নানা কীর্তির কথা। ১৯৯১ সালে কল্যাণীরই ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুজাতা মণ্ডলের সঙ্গে গোপাল বিশ্বাসের বিয়ে হয়। তাঁদের দুজনের সহবাসের দরুন গর্ভবতী হয়ে পড়েন সুজাতাদেবী। গোপাল বার বার তাঁকে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দিতে থাকেন বলে অভিযোগ সুজাতার। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় সাতমাসের গর্ভবতী সুজাতার পেটে লাথি মারেন গোপাল। যার জেরে ১৯৯৩ সালে এক প্রতিবন্ধী সন্তানের জন্ম দেন সুজাতা। তারপর বেশ কয়েকবার সেই প্রতিবন্ধী সন্তানকে মেরে ফেলারও চেষ্টা করেন গোপাল। এমনই অভিযোগ সুজাতার। শেষমেশ স্বামী-শ্বশুরের বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে এসে ওঠেন তিনি। বিস্তারিত এসব তথ্য উল্লেখ করে কল্যাণী থানার দ্বারস্থও হন সুজাতা। কল্যাণী আদালতের অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগেও স্থানীয় এক মহিলার সঙ্গে গোপালের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিলো। তাঁকে পুড়িয়ে মেরে ফেলারও ঘটনা ঘটেছিলো। পাশাপাশি মেয়ে বিক্রির সঙ্গেও জড়িত এই বর্ষীয়ান রেলকর্মী গোপালচন্দ্র বিশ্বাস।