নিউজ ডেস্কঃ মঙ্গলবার দুপুরে ফুরফুরা গ্রাম
পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হবে জানিয়েছিল প্রশাসন। সাড়ে বারোটা বাজলেও পঞ্চায়েতের তালা খোলেনি। একদিকে দাঁড়িয়ে আইএসএফ ও সিপিএম। অন্যদিকে তৃণমূল। কয়েকটি বোমা ফাটে পঞ্চায়েত দপ্তরের সামনে। তৃণমূল ও আই এস এফ একের অপরকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোঁড়ে।
পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। গন্ডগোলের আশঙ্কায় আশপাশের সমস্ত দোকান পাট বন্ধ করে
বাড়ি পালায় ব্যবসায়ীরা। পুলিশকে এদিন শাসাতে দেখা যায় বিধায়ক
নৌশাদ সিদ্দিকীকে। নির্বাচন শেষ হলেও পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরে সঙ্ঘর্ষের আবহ ফুরফুরায়।
আই এস এফের অভিযোগ জোর করে বোর্ড গঠন করতে চাইছে তৃণমূল। পাল্টা
একই অভিযোগ শাসকপক্ষের। এক্ষেত্রে ফুরফুরার পিরজাদা কাশেম সিদ্দিকি
বলেন, “ফুরফুরায় জিতেছে আইএসএফ। জোর করে তৃণমূল বলছে ওরা জিতেছে। আমরা আদালতে গেছি। সেখানে বিচারাধীন আছে। কি করে বোর্ড গঠন
করবে দেখব। ফুরফুরার লোকেরা তা করতে দেবে কেন? ফুরফুরায় গুন্ডামী মস্তানি করত শামিম আহমেদ। ওই
বোমাবাজি করছে”।
ফুরফুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান
শামীম আহমেদ পাল্টা বলেন, “গতকাল
রাত থেকে বোমাবাজি করেছে আইএসএফ। পঞ্চায়েতে একটা তালা
মেরেছে। পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হবেই। ভোট শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। গনণা শান্তিপূর্ণভাবে
হয়েছে। বোর্ড গঠনও শান্তিপূর্ণ ভাবেই
হবে। শান্ত ফুরফুরা সরিফকে অশান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ওরা আদালতের এমন কোনো
অর্ডার দেখাতে পারেনি যেখানে বলা আছে বোর্ড গঠন করা যাবে না”।
ফুরফুরা গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৯ টি আসন। গণনার দিন
অশান্তি হয় জাঙ্গীপাড়ায়। সিপিএম আইএসএফ জোটের দাবী
তারা ২২ টি আসনে এগিয়ে ছিল। গণনা করতে না দিয়ে জোর করে তাদের বের করে দেওয়া হয়। পরে
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেখা যায় ২৪টি আসনে তৃনমূল
জিতেছে।
সিপিএমের অভিযোগ
জাঙ্গীপাড়ার গণনা নিয়ে হাইকোর্ট মামলা রয়েছে। হাইকোর্ট একটা নির্দেশ দিয়েছে। সেই
নির্দেশের কপি প্রশাসনের কাছে পাঠনো হয়। তার পরেও বোর্ড গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।