নিউজ ডেস্ক: স্কুলে ফেরাতে হবে শিশু-কিশোরদের। দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে ঠিকভাবে পড়াশোনা করতে পারে, তার জন্য দেশের সরকার নানারকম উদ্যোগ নিয়েছে। কেন্দ্র সরকারের আওতায় শিক্ষা-সহায়ক বৃত্তি তো রয়েইছে, এবার তার পাশাপাশি এক অভিনব উদ্যোগ নিল ত্রিপুরা সরকার। গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে আসার সুবিধের জন্য ত্রিপুরায় চালু হল নৌকা, ফেরি ব্যবস্থা। সাধারণত বেশ কিছু স্কুলে নিজস্ব পুলকার থাকে। স্কুল বাস থাকে। এবার স্কুলবাসের বদলে ত্রিপুরায় চালু হল ‘স্কুল বোট’। গোমতি জেলায় ডুম্বুর দ্বীপে বসবাসকারী গরিব পড়ুয়ারা যাতে নিরাপদে এবং অনেক অম খরচে স্কুলে আসা-যাওয়া করতে পারে, তার জন্যেই এই উদ্যোগ ত্রিপুরা সরকারের।
ডুম্বুর হ্রদের পার্শ্ববর্তী দ্বীপের অধিবাসী ছাত্র-ছাত্রীরা প্রায়ই স্কুলে যেতে সমস্যায় পড়েন, কারণ স্কুলে যাওয়ার জন্য নৌকা করে অনেকটা দীর্ঘ নদীপথ পেরোতে হয় আর সেই নৌকার ভাড়া দেওয়ার ক্ষমতাও তাদের নেই। অন্যদিকে বর্ষাকালে নদীর জল এত বেড়ে যায় এবং এত প্রবল টান থাকে নদীতে যে নৌকা করে নদী পেরনো এক কথায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই ডুম্বুর হ্রদের আশেপাশে প্রায় ৪৮টি দ্বীপ রয়েছে যা রাজধানী এলাকা থেকে প্রায় ১২০ কিমি দূরে। এখানে মাছ ধরেই বেশিরভাগ মানুষ জীবিকা অর্জন করে। এই অঞ্চলে ডামকুমার গোমতি উচ্চ বুনিয়াদি বিদ্যালয়েই প্রায় ১০০ জন পড়ুয়া রয়েছে, কিন্তু প্রত্যেকেরই উপস্থিতির হার বেশ কম। তাদের মধ্যে পঞ্চাশ জন ঐ ডুম্বুরের বিভিন্ন দ্বীপ থেকে পড়তে আসে। নৌকাই তাদের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম যা তাদের অনেকেরই সাধ্যের বাইরে। রবিবার এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজ্য প্রকল্প অধিকর্তা চাঁদনি চন্দ্রন জানিয়েছেন সমগ্র শিক্ষা অভিযানের আওতায় ১.২০ লক্ষ টাকা খরচ করে এই ‘স্কুল বোট’ প্রকল্প চালু করা হয়েছে। তিনিই প্রথম স্কুলের সব ছাত্র-ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকদের সামনে নৌকা চালিয়ে এই প্রকল্পের শুভ সূচনা করেন।
আরও পড়ুন: Re-poll in Bengal: বড় খবর! ফের পঞ্চায়েত ভোট বাংলায়! খুব শীঘ্রই হবে নির্বাচনের দিন ঘোষণা
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং একইসঙ্গে কারবুক ব্লকের ব্লক প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর দামোধর ত্রিপুরাকে ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে কোনো শিক্ষার্থীই শিক্ষার্জন থেকে পিছিয়ে থাকবে না। দেশের সার্বিক উন্নতির জন্য এই প্রকল্প সত্যই প্রশংসাযোগ্য।