নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ১৪ জুলাই কাউন্টডাউন শুরু হয়েছিল ইসরোর চন্দ্রযান ৩-এর। গোটা বিশ্বকে সাক্ষী রেখে উৎক্ষেপণ সফল হলো ‘চন্দ্রযান-৩’-এর। বাহুবলী LVM-3 সঠিকভাবে পালন করল তার কর্তব্য। সূত্রের খবর, ইসরোর নির্ধারিত ১৬ মিনিটের আগেই পৃথিবীর বাইরের কক্ষপথে পাড়ি জমিয়েছে চন্দ্রযান। ক্রায়োজনিক ইঞ্জিন কাজ শুরু করার পর রকেটের গতিবেগ হয়েছে ঘণ্টায় প্রায় ৩৭০০০ কিলোমিটার। চাঁদের কক্ষপথের দিকে দ্রুতবেগে এগিয়ে চলেছে চন্দ্রযান। আর চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছানোর আগেই হঠাৎ পুরীর সমুদ্রতটে দেখা মিলল চন্দ্রযানের। হ্যাঁ, অবাক হওয়ার মতই ঘটনা। আর সেই বিস্ময়কর ঘটনার কৃতিত্ব সম্পূর্ণরূপে ভারতীয় স্যান্ড-আর্টিস্ট সুদর্শন পট্টনায়েকের। সমুদ্রতটে বালি দিয়েই সুদর্শন গড়ে তুললেন আস্ত একটা চন্দ্রযান ৩।
ওড়িশার পুরীর সমুদ্রতটে ২২ ফুট দীর্ঘ একটি চন্দ্রযানের মডেল বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সুদর্শন পট্টনায়েক। ৫০০টি স্টিলের বাটি আর থালা-প্লেট ইত্যাদি দিয়ে সাজানো এই শিল্পকর্মটি উৎসর্গ করে সুদর্শন লেখেন, ‘বিজয়ী ভবঃ’। চন্দ্রযানের সফল উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ভারত সফলভাবে মহাকাশযান উৎক্ষেপণকারী চতুর্থ দেশের মর্যাদায় উন্নীত হল। চন্দ্রযানের উৎক্ষেপণের সাফল্যে সুদর্শনের এই শিল্পকর্ম ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে দেশজুড়ে। সফল উৎক্ষেপণের পর থেকে দেশ-বিদেশ থেকে আগত শুভেচ্ছাবার্তার বন্যায় ভেসে যাচ্ছে ISRO। ফ্রান্স সফর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানান, চন্দ্রযান-৩ ভারতের মহাকাশ-বিজ্ঞানে একটি নতুন অধ্যায় রচনা করছে। এটি প্রত্যেক ভারতীয়ের স্বপ্ন এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষার ফসল। এই গুরুত্বপূর্ণ কীর্তি আমাদের বিজ্ঞানীদের নিরলস নিষ্ঠার প্রমাণ। আমি তাঁদের এই নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগকে সম্মান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: Kolkata Heritage: পড়ুয়াদের জন্য মুক্ত পাঠাগার! নজির গড়ল ১৩৭ বছরের পুরনো কলেজস্ট্রিটের বইয়ের দোকান
শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মুও। ISRO কে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, এই সাফল্য মহাকাশ বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিতে অগ্রগতির জন্য সমগ্র জাতির অটল প্রতিশ্রুতির প্রমাণ দেয়। চন্দ্র অভিযানের সাফল্যের জন্য আমার শুভেচ্ছা।’ উৎক্ষেপণের পর ইসরো-প্রধান এস সোমনাথ জানান, সমস্ত কিছু যদি ঠিকঠাক থাকে, তাহলে আনুমানিক ২৩ আগস্ট বিকেল ৫.৪৭ মিনিটেই চাঁদের মাটিতে পা রাখবে ল্যান্ডার। আপাতত, আগামী ২৩ আগস্ট তারিখের দিকে অধীর আগ্রহে চেয়ে থাকবে ভারতবাসী, সেই সঙ্গে গোটা বিশ্ব।