নিউজ ডেস্ক: ছাত্রদের দুই গোষ্ঠীর সঙ্ঘর্ষে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হল বর্ধমান রাজ কলেজে। ঘটনাস্থলে পৌঁছল বর্ধমান থানার পুলিশ। উল্লেখ্য শুক্রবার বর্ধমান রাজ কলেজে ভর্তি হওয়া প্রথম বর্ষের ছাত্র ছাত্রীদের উৎসাহ করতে এস এফ আইয়ের পক্ষ থেকে কলেজ গেটের সামনে ফ্ল্যাগ ফেস্টুন নিয়ে হেল্প ক্যাম্প খোলা হয়। এমতাবস্থায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্র ছাত্রীরা তাদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেন এস এফ আই এর প্রাক্তণ জেলা সম্পাদক অনির্বান রায় চৌধুরী।
অন্যদিকে টিএমসিপির শহর সভাপতি স্বরাজ ঘোষ জানান,অশান্তি কিছু হয়নি। কিছু বহিরাগত ছেলেরা এসে অশান্তি সৃষ্টি করতে এসেছিল। কিন্তু সময় মতো পুলিশ পৌঁছে পুরো বিষয়টি শান্ত করে। তবে এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যদি ছাত্র ছাত্রীদের সুবিধার্থে ক্যাম্প করতে হয় তাহলে এরকম বাধা আসে তাহলে আগামীদিনে এইরকম বাধা উপহার থাকবে। সার্বিকভাবে এসএফআই ও টিএমসিপির অশান্তি সৃষ্টি তা নিয়ে রীতিমত শোরগোল বর্ধমান রাজ কলেজ জুড়ে।
অন্যদিকে এবিভিপি ও টিএমসিপি সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় উত্তাল হল নদীয়ার মাজদিয়া সুধীর রঞ্জন কলেজ ক্যাম্পাস। কলেজ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার কলেজে প্রথম বর্ষের ভেরিফিকেশন চলছিল। সেই সময় কোন কারণবশত দুটি ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি হয়। এরপর উভয় পক্ষ জড়িয়ে পড়ে হাতাহাতি মারামারিতে। যার ফলে উভয় পক্ষেরই পাঁচজন জখম হয় বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কৃষ্ণগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের দাবি, ভেরিফিকেশন চলাকালীন অকারণে দুজন ছাত্রীর ওপর চড়াও হয় এ বিজেপির বহিরাগত সমর্থকেরা। অভিযোগ, সেই সময় উপস্থিত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা এবিভিপির সমর্থকদের বাধা দিতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে বচসার সৃষ্টি হয়। পরে মারামারি বেঁচে যায় উভয় পক্ষের মধ্যে। যদিও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তোলা এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবিবিপির সদস্যদের দাবি, বিনা কারণে তাদের এক সমর্থককে মারধর করে টিএমসিপি-র সদস্যরা। তারই প্রতিবাদ করতে গেলে বিবাদের সৃষ্টি হয় উভয় পক্ষের মধ্যে।। যদিও এই প্রসঙ্গে কলেজের প্রিন্সিপাল জানান, এদিনের ঘটনা কোন রাজনৈতিক বিষয় নয়। অজ্ঞাত কোন কারণবশত নিজেদের মধ্যে ছাত্ররা বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।