নিউজ ডেস্ক: এমনিতেই নিম্নচাপের বৃষ্টিতে জল থৈ থৈ অবস্থা। একাধিক জেলা প্লাবিত। এই পরিস্থিতির মধ্যেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। ধূপগুড়িতে নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সম্প্রতি তিনজন নতুন করে আক্রান্ত হয়ে ধূপগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ধূপগুড়ি ব্লকের নিরঞ্জন পাঠ, মল্লিকপাড়া এবং ডাউকিমারি এলাকায় অনেকেই ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যাঁদের রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গির উপস্থিতিও পেয়েছে স্বাস্থ্যদফতর।
জানা গিয়েছে, নিরঞ্জন পাঠ এলাকার বাসিন্দা জবা রায়, পশ্চিম মল্লিক পাড়ার গৌতম রায় এবং ডাউকিমারির নন্দখালি পাড়া এলাকার বাসিন্দা জীবন সরকার ধূপগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্বাভাবিকভাবেই পুজোর মুখে ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি উদ্বেগে রাখছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে। তবে স্বাস্থ্য দফতর সুত্রে খবর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও তাঁরা সকলেই সুস্থ রয়েছেন।
সূত্রের খবর, ধূপগুড়ি পুরএলাকায় এই ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি সেই গ্রামের বেশ কয়েকজন ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে রয়েছেন বলে খবর। এ প্রসঙ্গে নিরঞ্জন পাঠ এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ রায় বলেন, “সাতদিন ধরে জ্বর। তিনদিন আগে রক্ত পরীক্ষা করার পর হাসপাতাল থেকে জানানো হয় ডেঙ্গি হয়েছে। আমাদের পাড়ায় অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে ভুগছেন। আমাদের সন্দেহ তাঁদের রক্তের পরীক্ষা করলেও হয়তো ডেঙ্গি ধরা পড়বে।”
আসলে বর্ষা এলেই তার পিছু পিছু হাজির হয় মশাবাহিত ডেঙ্গি (Dengue)। হু হু করে বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রাণ যায় বহু ডেঙ্গি আক্রান্তের। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার আগেভাগে সতর্ক করেছিল কলকাতা পুরসভা। বর্ষা আসার আগেই প্রায় ১৬০০ আবাসনকে চিঠি দিয়ে পুরসভা জানিয়েছিল আবাসনগুলিতে জল জমে রয়েছে কি না খতিয়ে দেখবে পুরসভার টিম। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, আবাসনের ছাদ, জলের ট্য়াঙ্ক কিম্বা বারান্দায় রাখা ফুলের টব, কোথাও জল জমছে কিনা, তা খতিয়ে দেখবেন পুর কর্মীরা। যদি এরকম কিছু চোখে পড়ে সতর্ক করা হবে।