নিউজ ডেস্ক: আর জি কর (RG Kar incident) মেডিক্যাল কলেজে দুর্নীতির মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর নিরাপত্তারক্ষী আফসর আলি খানকে। এছাড়া বিপ্লব সিংহ এবং সুমন হাজরা নামে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের খুনের ঘটনার পরেই আরজি করে (RG Kar incident) আর্থিক তছরুপের একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দুর্নীতি দমন শাখাই এদিন গ্রেফতার করে সন্দীপকে।
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের পর টানা ১৫ দিন ধরে জেরা করা হচ্ছিল সন্দীপকে। সোমবারও সকাল থেকে টানা জেরা করা হচ্ছিল তাঁকে। জেরায় একাধিক অসঙ্গতি মেলে বলে সূত্রের খবর। এর পর হঠাৎই সন্দীপকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার কর্তারা। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেসে। সন্ধ্যেয় সেখানেই গ্রেফতার করা হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে।
প্রাক্তন অধ্যক্ষ গ্রেফতার হওয়ার খবরে খুশিতে ফেটে পড়েন আরজি করের (RG Kar incident) আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে তাঁদের দাবি, গ্রেফতার করতে হবে সব দোষীকে। এ প্রসঙ্গে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারের তরফে অনিকেত মাহাত বলেন, “আর্থিক তছরুপকাণ্ডে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেডিক্যাল এথিক্সের জায়গা থেকে এখন স্বাস্থ্যভবনের কী করা উচিত, তা বলে দেওয়ার দরকার আছে বলে মনে হয় না।”
অন্যদিকে অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতারির ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বিপ্লব সিনহা, আফসার আলি এবং সুমন হাজরাকে ধরা হয়েছে। সন্দীপের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন এই সুমন। আর বিপ্লব এবং আফসার ছিলেন ভেন্ডর। তাঁরা দু’জন হাসপাতালে জিনিসপত্র সরবরাহ করতেন বলে সূত্রের খবর। তবে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় (RG Kar incident) আপাতত কাউকে গ্রেফতার করেনি সিবিআই।
উল্লেখ্য, আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া তো দূর, উল্টে তাঁকে সমপদে পোস্টিং দিয়েছিল তৃণমূল সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে আরজি কর থেকে সরিয়ে তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের মাথায় বসিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। যদিও হাই কোর্টের নির্দেশে সন্দীপ ঘোষকে ছুটিতে পাঠিয়েছিল স্বাস্থ্যভবন।