নিজস্ব প্রতিনিধি, কোলকাতা: শুক্রবার সকাল
থেকেই ৫ টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জেলবন্দি
রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর
ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও প্রোমোটারের বাড়িতে হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার
আধিকারিকরা। নাকতলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির ঠিক উল্টোদিকেই পাঁচতলা বাড়ি
রাজীব দের। সেখানে তল্লাশি অভিযান ইডি-র। এর পাশাপাশি, রাজীব
দে-র শ্রীরাম কনস্ট্রাকশনের অফিসেও তল্লাশিতে নামেন ইডি আধিকারিকরা।
ইডি সূত্রে খবর, বিপুল
পরিমাণ কালো টাকা বাজারে খাটিয়েছেন পার্থ ঘনিষ্ঠ এই প্রোমোটার। তাঁর নামে একাধিক
বেনামি সম্পত্তি রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে ইডি সূত্রে। এর আগেও ৩-৪ বার রাজীব
দে-কে নোটিস পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। এর পাশাপাশি, বালিগঞ্জ
ফাঁড়িতেও চলছে ইডির তল্লাশি অভিযান।
এর আগে গত বছরের নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখ প্রাক্তন
মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর
বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি
মামলার তদন্তের অঙ্গ হিসাবেই তল্লাশি চালানো হয়েছিল ওই
কাউন্সিরলের বাড়িতে। সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ বাপ্পাদিত্যের বাড়ির সামনে পৌঁছে
যান বেশ কয়েক জন সিবিআই আধিকারিক। তাঁরা বাড়ির সদর দরজার সামনে
কড়া নাড়েন।
বাপ্পাদিত্য কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের
কাউন্সিলর। এর পাশাপাশি তিনি পুরসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতকও বটে। পার্থ-ঘনিষ্ঠ
কাউন্সিলর হিসাবেই পরিচিত তিনি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখন প্রেসিডেন্সি জেলে
বন্দি রয়েছেন পার্থ। নিম্ন আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ইডি এবং সিবিআইয়ের আনা অভিযোগের
শুনানিও চলছে। ইতিমধ্যে সেখানে বহু বার জামিনের আবেদন করেছেন পার্থ। সম্প্রতি
দিল্লি থেকে পার্থের হয়ে সওয়াল করতে এসেছিলেন ইডিরই এক প্রাক্তন আইনজীবী। পার্থের
দাবি ছিল,
তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর
কোনও সম্পর্ক নেই। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। হাই কোর্টেও এই একই আর্জি নিয়ে
মামলা করেন পার্থ। এর পর চলতি মাসের ৮ তারিখ তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো
হয়। ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাতে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। সেই জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র
ধরেই এই নয়া অভিযান বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তরফে এখনও
কোন আধিকারিক বিবৃতি আসে নি।