নিউজ ডেস্ক: চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার খবর নতুন নয়। তবে এবার এই ঘটনায় নাম জড়লো নিশীথ প্রামাণিকের আপ্ত সহায়ক (PA)-র বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে বিধানসভার টিকিট ও চাকরি দেবার নাম করে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
ময়নাগুড়ি মাধব ডাঙা এলাকার বাসিন্দা বিশ্বনাথ শীল। তিনি বিজেপি-র মেখলিগঞ্জ ব্লক সভাপতি। অভিযোগ, বিশ্বনাথ-সহ কয়েকজনকে চাকরি দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণা করেছেন নিশীথ প্রামাণিকের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক পরিমল রায় ৷ প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি ৷ তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩১৬(২) ও ৩১৮(৪) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও নিশীথ প্রামানিক জানিয়েছেন, এই নামে তাঁর কোনও পিএ নেই। কোনওদিন ছিল না।
বিশ্বনাথ শীলের দাবি, পরিমলবাবু কথা দিয়েছিলেন, তাঁর এক ভাগ্নে ও অন্যান্য যুবকদের চাকরি করে দেবেন। শুধু তাই নয়, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিশ্বনাথকে টিকিটও পাইয়ে দেবেন। পরিমলের সেই কথা বিশ্বাস করে অনলাইনে মোটা অঙ্কের টাকা দেন তিনি। বিশ্বনাথ শীল বলেন, “২০১৪ সালে সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যাই। তারপর থেকে বিজেপি করি। এরপর নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর তাঁকে ফোন করে একদিন তাঁর বাড়ি যাই। আমার এক অনাথ ভাগ্নে আছে। তাঁর চাকরির জন্যই বলি। উনি আশ্বাস দিয়ে বলেন দিল্লিতে চাকরি হয়ে যাবে। তবে আমি রাজি হইনি। কারণ ও অনাথ সেই কারণে। এরপর ওই ব্যক্তি অর্থাৎ পরিমল রায় আমায় নিজেকে নিশীথ প্রামাণিকের পিএ পরিচয় দিয়েছে ধাপে ধাপে কখনও পঞ্চাশ লক্ষ, কখনও এক লক্ষ কখনও দুই লক্ষ টাকা নিয়েছে। আমায় টিকিট পাইয়ে দেবেও বলেছিল।”
অভিযোগকারী আরও জানান, চাকরি পাওয়ার আশায় এরপর তাঁর পরিবার ও গ্রামের কয়েকজন পরিমল রায়কে কয়েক দফায় ২০ লক্ষেরও বেশি টাকা দেন৷ এরমধ্যে ১৭ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে দেওয়া হয় অভিযুক্তকে ৷ কিন্তু আজ পর্যন্ত কারও চাকরি হয়নি৷ একাধিকবার টাকা ফেরৎ চাওয়া হলেও কোনও লাভ হয়নি৷ এরপর বিশ্বনাথ শীল নিজের সম্পত্তি বিক্রি করে বাকিদের টাকা ফেরৎ দেন৷ কালীপুজোর আগের দিন পরিমল রায় তাঁর মাকে নিয়ে বিশ্বনাথের বাড়ি আসেন৷ টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন ৷ বিশ্বনাথ শীলের দাবি, “তাঁর মাকে আমার বাড়িতে রেখে পালিয়ে গিয়েছেন৷ ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না তাঁকে৷ শনিবার তাই বাধ্য হয়ে ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলাম৷ এতদিন টাকা ফেরৎ পাব ভেবে চুপ করেছিলাম৷”