Saturday, December 07, 2024

Logo
Loading...
google-add

Digital Bed Vacancy: এনআরএসের পর এবার আরজি করে চালু হল ডিজিটাল বেড ভ্যাকেন্সি


Sweta Chakrabory | 13:06 PM, Thu Nov 07, 2024

নিউজ ডেস্ক: কলকাতার পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজে কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা চালুর পর এবার ডিজিটাল বেড ভ্যাকেন্সি মনিটরিং সিস্টেম। সম্প্রতি এনআরএসে চালু হয় এই সিস্টেম, আর এর পর এবার আরজি কর হাসপাতালে চালু হল ডিজিটাল বেড ভ্যাকেন্সি মনিটরিং সিস্টেম। ১০ দফা দাবিকে সামনে সামনে রেখে মিটিং-মিছিল-কর্মবিরতি-অনশনের রাস্তায় হেঁটেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম হল, অবিলম্বে রাজ্য়ের সমস্ত হাসপাতাল ও মেডিক্য়াল কলেজে কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্য়বস্থা এবং ডিজিটাল বেড ভ্যাকেন্সি মনিটরিং সিস্টেম চালু করতে হবে।

এই ব্যবস্থার ফলে দুই হাসপাতালের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে রেফার করা হবে রোগীকে। রেফারের পর অন্য হাসপাতালে গিয়ে বেডের অভাবে রোগী ও তাঁর আত্মীয়দের দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। সহজে জানা যাবে কোন হাসপাতালে কতগুলি বেড খালি রয়েছে। এই প্রেক্ষিতে গত ১৫ অক্টোবর থেকে প্রথম পর্যায়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে শুরু হয় কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্য়বস্থা। ১লা নভেম্বর থেকে চালু হয় এসএসকেএম সহ ৫টি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। এবার শহরের ২টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চালু হল ডিজিটাল বেড ভ্যাকেন্সি মনিটরিং সিস্টেম।

সূত্রের খবর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস,এসএসকেএম, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে যে যে জেলা হাসপাতাল যুক্ত রয়েছে, সেখান থেকে রোগীকে রেফারের প্রয়োজন পড়লে নির্দিষ্ট পোর্টালের মাধ্যমে রিক্যুইজিশন পাঠানো হবে। কলকাতায় সংশ্লিষ্ট বিভাগে বেড খালি আছে কিনা তা প্রথমে অনলাইনে রোগীর তথ্য দিয়ে দেখবে জেলার হাসপাতাল। পোর্টালে সবুজ সঙ্কেত দেবে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ। এরপর নির্দিষ্ট করা হবে বেড। বেড চিহ্নিত করার পর জেলা থেকে রেফার করা হবে রোগী। যদি বেড খালি না থাকে সেটাও জানিয়ে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে রওনা করানো হবে না জেলা থেকে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, ধাপে ধাপে রাজ্যের সর্বত্র চালু হবে সেন্ট্রাল রেফারাল সিস্টেম।

কিন্তু এত ব্যবস্থার পরেও উঠছে রোগী হয়রানি ও বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ। সমালোচনায় সরব জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। আসানসোলের কুলটির বাসিন্দা উত্তর কুমার সিং(৪০)। কাঠের কাজ করতেন ঝাড়খণ্ডে। রোগীর পরিবারের দাবি, সপ্তাহ দুয়েক আগে সেখানে ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে শিরদাঁড়ায় আঘাত লাগে। অস্ত্রোপচারের জন্য় প্রথমে তাঁকে আসানসোল জেলা হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কাজ না হওয়ায়, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, সেখানে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গিয়েও পরিকাঠামো না থাকার কথা বলে রেফার করা হয় কলকাতায়। এরপর শনিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ এসএসকেএম-এ আনা হয় রোগীকে। অভিযোগ, হাসপাতালের তরফে বেড খালি নেই জানিয়ে দু'সপ্তাহ পর আসার কথা বলা হয়। এই অবস্থায় প্রায় ৩০ ঘণ্টার মাথায় জুনিয়র ডাক্তারদের হস্তক্ষেপে রোগীকে ভর্তি করা হয় ট্রলিতে। এখানেই শেষ নয়, রাতভর তিন-তিনটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ঘুরেও বেড না মেলা এবং শেষ পর্যন্ত চিকিৎসা না পেয়ে রোগীমৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে মঙ্গলবার। এছাড়াও, গড়িয়ার বাসিন্দা সুশীল হালদারের নাক-মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ায়, সোমবার তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হয়। পরিবারের দাবি, বেড নেই বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। রাতভর এনআরএস ও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঘুরেও রোগীকে ভর্তি করা যায়নি। পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার সকালে রোগীকে নিয়ে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান তাঁরা। সেখান থেকে চিঠি লিখে দেওয়ায় রোগীকে ফের এসএসকেএম-এ আনা হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। সব মিলিয়ে, সরকারি হাসপাতালে কেন্দ্রীয় রেফারেল সিস্টেম চালু হলেও, তা কতখানি কার্যকর হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।


google-add
google-add
google-add

সাম্প্রতিক খবর

ভিডিয়ো

google-add

টুকরো খবর

google-add
google-add

স্বাস্থ্য

google-add
google-add