Wednesday, October 04, 2023

Odisha-365

ঐতিহ্য

  • Uttam Kumar Death Anniversary

    Uttam Kumar Death Anniversary: সারারাত বাথরুমেই কাটিয়েছিলেন মহানায়ক, কিসের ভয়ে লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল উত্তমকুমারকে?  

    নিউজ ডেস্ক: বয়স যেন বাড়তেই চায় না তার, তিনি আজও বাঙালির কাছে ‘ম্যাটিনি আইডল’। ভুবনভোলানো হাসিতে তার বয়সটা যেন ঠিক যৌবনের গোড়াতেই আটকে গেছে। মহানায়ক হলেও তার চেহারায় যে মধ্যবিত্ত ছোঁয়া খুঁজে পেয়েছিল আপামর বাঙালি, বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সেই ‘মধ্যবিত্ত আবেদন’-এর জোয়ারেই কত কত মানুষের হৃদয় ভাসিয়েছেন তিনি। বাঙালির আড্ডা হোক বা বিতর্ক বা দ্বন্দ্ব ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের মত উত্তম না সৌমিত্র এই তর্কও চলবে। আর এই মহানায়ককেই কিনা একটা গোটা রাত কাটাতে হয়েছিল বাথরুমের মধ্যে! কিন্তু কেন? কার ভয়ে বাথরুমে লুকিয়েছিলেন মহানায়ক?

    সুচিত্রা সেনের সঙ্গে উত্তমকুমারের জুটিকে নিয়ে যতটা চর্চা হয়, তার সঙ্গে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্ক নিয়ে অতটা কথাবার্তা শোনা যায় না। কিন্তু এই সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যেই অমোঘ এক আকর্ষণের উৎস খুঁজে পেয়েছিলেন উত্তমকুমার। আদর করে ‘সাবু’ বলে ডাকতেন উত্তম। ‘ধন্যি মেয়ে’, ‘মৌচাক’, ‘দুই ভাই’, ‘নিশিপদ্ম’ ইত্যাদি ছবিতে উত্তমের সঙ্গে তার জুটি আজও বাঙালির কাছে ছবির ফ্রেমে বন্দি। স্নেহ, প্রেম, বন্ধুত্ব, ভালোবাসা সাবিত্রীর সঙ্গে উত্তমের সম্পর্কের নিরিখের তল ছিল না! সম্পর্কের সংজ্ঞা ছিল না। এদিকে সাবিত্রী চিরকাল ঘরোয়া, রান্না করতে ভালোবাসেন, বাবাকে প্রচণ্ড ভয় পান। আর তার দোর্দণ্ডপ্রতাপ বাবার ভয়ে কাঁপতেন স্বয়ং উত্তমকুমারও। বাড়ির কড়া নিয়ম ছিল রাত দশটার পর যেন কোনো পুরুষ তার সঙ্গে দেখা করতে না আসেন। আর একদিন একপ্রকার অজান্তেই উত্তমকুমার এসে পড়েন সাবিত্রীর বাড়িতে। ঘড়িতে তখন ইতিমধ্যেই দশটা বেজে পেরিয়ে গিয়েছে, সেটা খেয়ালই ছিল না। আর যখন খেয়াল পড়ল, সাবুর বাবার ভয়ে কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না উত্তম। মহানায়কের তখন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা। বাড়িতে ঢুকে তো পড়েছেন, কিন্তু চট করে বেরোতে গেলেই ধরা পড়ে যাবেন যে! গানের কলি ধার করে বলা যায়, তার অবস্থা তখন ‘ভয়েরই খাঁড়াতে হয়ে গেলাম পাঁঠাবলি’।

    আরও পড়ুন: Flurys: হেরিটেজের তকমা পেল পার্ক স্ট্রিটের ফ্লুরিস, স্বীকৃতি দিল 'ইনটাক'

    কিন্তু উপায় কী! একটা কিছু বুদ্ধি বের করতে হবে! নাহলে সাবিত্রীর বাবার সামনে একবার পড়লে সাবু-উত্তম দুজনেরই কপালে ঘোরতর দুঃখ! রাত ঠিক দশটায় নিজের বাড়ির গেটে তালা দিতেন সাবিত্রীর বাবা। আর তার দাপটের সামনে কারো কথা বলার জো ছিল না। আর তাই বাবার ভয়ে সারারাত বাথরুমে বন্দি হয়েই কাটালেন মহানায়ক। চাইলে সাবিত্রীর বাবার সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে যেতেই পারতেন, কিন্তু তিনি নিজে যেহেতু যৌথ পরিবারের ছেলে তাই এই কড়া নিয়মনীতিগুলো বেশ ভালোই বুঝতেন। অনেক পরে হাল আমলে টেলিভিশনের একটি রিয়েলিটি শো-তে এসে এই ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন সাবিত্রী। নায়িকার বাথরুমে উত্তমের রাত্রিযাপন! মহানায়কও তাহলে ভয় পেতেন! 

    West-Bengal | Updated: 11:03 AM, Mon Jul 24, 2023

  • Flurys History INTACH honored the shop with Heritage Plaque

    Flurys: হেরিটেজের তকমা পেল পার্ক স্ট্রিটের ফ্লুরিস, স্বীকৃতি দিল 'ইনটাক'

    নিউজ ডেস্ক: পার্কস্ট্রিটে পা রাখলেই রবিবারের সকালে ব্রেকফাস্ট হোক কিংবা অফিস-ফেরত হালকা ডেজার্ট, একটাই নাম চোখের সামনে ভেসে ওঠে- 'ফ্লুরিস'। এক সময় বহু মানুষের অলস বিকেলটা কেটে যেত এখানেই, হাতে দার্জিলিং চায়ের কাপ নিয়ে কাচের ওপারে ব্যস্ত শহরটাকে দেখতে দেখতে। শহরের সবথেকে বিলাসবহুল, ঐতিহ্যবাহী রাস্তা পার্ক স্ট্রিট। একসময় কলকাতায় থাকতেন বা এখনও থাকেন এমন কেউ নেই যারা বড়দিনের আমেজে এই দোকানের বাইরে লাইন দেননি কিংবা এর বিখ্যাত 'রামবল' (Rumball) নিজে চেখে দেখেননি। বরেণ্য চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের 'প্রতিদ্বন্দ্বী' এবং 'জন অরণ্য' ছবির শুটিংও হয়েছিল এখানেই। কথা হচ্ছে কলকাতার অন্যতম প্রাচীন কনফেকশনারি 'ফ্লুরিস'কে নিয়ে।

    সম্প্রতি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচার হেরিটেজ সংক্ষেপে 'ইনটাক' (INTACH) ঐতিহ্য এবং প্রাচীনত্বের বিচারে পার্ক স্ট্রিটের ফ্লুরিসকে হেরিটেজ ফলক দিয়ে স্বীকৃতি দিয়েছে। ১৯২৭ সালে সুইস দম্পতি জোসেফ এবং ফ্রিডা ফ্লুরি ১৮, পার্ক স্ট্রিট ঠিকানায় শুরু করেন তাদের এই কনফেকশনারি। আর এই দোকান ধীরে ধীরে ব্রিটিশ এবং অভিজাত কলকাতাবাসীদের কাছে প্রসিদ্ধ চায়ের ঠেকে পরিণত হয়।  

    আরও পড়ুন: Kolkata Heritage: পড়ুয়াদের জন্য মুক্ত পাঠাগার! নজির গড়ল ১৩৭ বছরের পুরনো কলেজস্ট্রিটের বইয়ের দোকান

    অনেক ঐতিহাসিক বলেন, একসময় সুইজারল্যান্ড থেকে কুইন্তো সিনজিও ট্রিংকা নামের এক ভদ্রলোক ফ্লুরি-দম্পতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে ঐ একই ঠিকানায় শুরু করেছিলেন 'ফ্লুরি অ্যান্ড ট্রিঙ্কা' নামে একটি দোকান। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে সেই অংশীদারি ব্যবসা আর চলে না, ১৯৩৯ সালে ট্রিঙ্কা ফ্লুরি দম্পতির থেকে আলাদা হয়ে গিয়ে রাস্তার ঠিক উলটো পারেই তৈরি করেন 'ট্রিঙ্কাস'। ফ্লুরিসের ভিতরে ঢুকলে আজও যেন মনে হবে সেই পুরনো ইউরোপিয়ান টি-সালোঁর ঘরানা বজায় আছে। সুদৃশ্য ঝাড়লণ্ঠন, ভাস্কর্যের সমাহারে একটা প্রাচীনত্বের ছোঁয়া যেন ধরা দেয় ফ্লুরিজের গায়ে গায়ে। ১৯৬৫ সালে এই দোকানের মালিকানা হস্তান্তরিত হয় এপিজে গ্রুপের হাতে। জোসেফ ফ্লুরির কাছ থেকে এই ব্যবসাটি কিনে নেন জিত পল। কল্লোলিনী তিলোত্তমার বুকে কালের কল্লোল এভাবেই ধরে রেখেছে ফ্লুরিস। পার্ক স্ট্রিটের পিচের সড়কে আজও যেন বেজে চলে ফ্লুরি দম্পতির হেঁটে চলা, অভিজাত কলকাতাবাসীদের আমেজভরা বিকেলের সুখের গান। 

    West-Bengal | Updated: 13:38 PM, Fri Jul 21, 2023

  • not found

    UGC proposes to make four-year UG courses must for degree with honoursunique363unique363

    Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry.

    West-Bengal | Updated: 10:15 AM, Wed May 31, 2023

  • not found

    UGC proposes to make four-year UG courses must for degree with honoursunique358unique358

    Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry.

    West-Bengal | Updated: 13:27 PM, Tue May 30, 2023

  • not found

    UGC proposes to make four-year UG courses must for degree with honoursunique357unique357

    Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry.

    West-Bengal | Updated: 13:23 PM, Tue May 30, 2023

  • not found

    UGC proposes to make four-year UG courses must for degree with honoursunique355unique355

    Jos Buttler, Sidra Ameen win ICC Player of the month awards

    West-Bengal | Updated: 11:35 AM, Tue May 30, 2023

  • not found

    UGC proposes to make four-year UG courses must for degree with honoursunique354unique354

    Jos Buttler, Sidra Ameen win ICC Player of the month awards

    West-Bengal | Updated: 11:34 AM, Tue May 30, 2023

  • not found

    UGC proposes to make four-year UG courses must for degree with honoursunique353unique353

    Jos Buttler, Sidra Ameen win ICC Player of the month awards

    West-Bengal | Updated: 11:32 AM, Tue May 30, 2023

সংস্কৃতি

বিশেষ নিবন্ধ

  • Satyajit Ray Classic US Co
    Satyajit Ray Classics: সত্যজিতের ছবি কিনবে মার্কিন কোম্পানি! 

    নিউজ ডেস্ক:  সত্যজিৎ রায়ের তিনটি ছবির স্বত্ব কিনতে চাইছে মার্কিন চলচ্চিত্র পরিবেশক সংস্থা। সেই ছবিগুলির তালিকায় আছে ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ এবং ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’। কলকাতা-কেন্দ্রিক যে সংস্থা এই তিনটি ছবি প্রযোজনা করেছিল, সেই সংস্থার কর্ণধার জানাচ্ছেন ছবিগুলির আসল নেগেটিভ সংরক্ষণ করা এরখন দুষ্কর হয়ে উঠেছে। আর তাছাড়া বেশ কয়েক বছর ধরের প্রায়ই কোনোরকম স্বীকৃতি কিংবা রয়্যালটি ছাড়াই ছবি প্রদর্শনের জন্য প্রচুর অনুরোধ এসেছে যা এককথায় তাকে বেশ বিরক্তই করেছে। আর তাই কি মার্কিনি সংস্থার কাছে স্বত্ব বিক্রি করে দিতে চলেছেন তিনি? 

    বলাই বাহুল্য ছবি তিনটির প্রযোজনা করেছিলেন অরিজিত দত্তের পূর্বপুরুষ। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অরিজিত দত্ত জানান, ইতিমধ্যেই মার্কিন মুলুকের জানুস ফিল্মসের সঙ্গে তার কথা হয়ে গিয়েছে। এই জানুস ফিল্মস মূলত আন্তর্জাতিক স্তরের সবরকম আর্টহাউস ঘরানার ছবিকে মার্কিন দর্শকদের কাছে পরিচিত করে তোলে। মাইকেলেঞ্জেলো আন্তোনিওনি, ইঙমার বার্গম্যান, ফেদেরিকো ফেলিনি প্রমুখ খ্যাতনামা চিত্র পরিচালকদের ছবির স্বত্ব নিয়ের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে এই প্রযোজনা সংস্থার। তিনি বলেন প্রথম যখন সত্যজিৎ রায়ের ছবির স্বত্ব বিক্রি করার প্রস্তাব আসে এক মাস আগে, সিদ্ধান্ত নিতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল তাকে। নিজের বাড়িতে ছবির আসল নেগেটিভ সংরক্ষণ করতে সমস্যা হচ্ছিল অনেকদিন ধরেই। তাঁর কথায়, ’২৪ ঘন্টা ডাবল এয়ার কন্ডিশনিং ব্যবস্থায় সেই নেগেটিভগুলিকে রাখতে হয়। আগে বম্বে ল্যাবরেটরিতে সেই নেগেটিভগুলি সংরক্ষণ করা হত। ১৯৯০ সালে সেই ল্যাব বন্ধ হওয়ার পরে তাকে নিজেকেই সেই সংরক্ষণের দায়িত্ব নিতে হয়। অরিজিত বলেন যে, ‘গুপী গাইনের শেষ রিলটি ছিল রঙিন। কিন্তু সেটা হারিয়ে গিয়েছে। যেহেতু আমার কাছে একটা মাস্টার পজিটিভ ছিল সেই জন্যে ছবিটিকে পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। নাহলে ছবিটা চিরদিনের মত হারিয়েই যেত।’ 

    আরও পড়ুন: Uttam Kumar Death Anniversary: সারারাত বাথরুমেই কাটিয়েছিলেন মহানায়ক, কিসের ভয়ে লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল উত্তমকুমারকে?  

    আসল নেগেটিভ সংরক্ষণ করা মোটেও সহজ কাজ নয়। যথেষ্ট দুশ্চিন্তা থেকেই যায় আর তাই নিজে তিনি আর সেই দায়িত্ব নিতে চান না। শুধু তাই নয়, স্বীকৃতির জায়গা থেকেও একটা হতাশা ঘিরে ধরেছে তাকে। গত বছর ন্যাশনাল ফিল্ম আর্কাইভ অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে যখন ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ ছবিটির ফোর-কে ভার্সন প্রকাশ করা হয় এবং সেটাই কান চলচ্চিত্র উৎসবে যায়, তখন একপ্রকার বঞ্চিতই হন অরিজিত-পরিবার। তাঁর কথায় জানা যায়, এখন কেবলমাত্র প্রিয়া সিনেমাহলে সত্যজিতের ছবিগুলি প্রদর্শনের অনুমতি রয়েছে তার কাছে।

    ১৯৬৯ সালে যখন ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ মুক্তি পায় পিয়ালি পিকচার্সের পক্ষ থেকে ছবিটির পরিবেশনার দায়িত্ব নেওয়া হয়েছিল। মিনার, বিজলী, ছবিঘর, গ্লোব ইত্যাদি প্রেক্ষাগৃহে রমরমিয়ে ১০২ সপ্তাহ চলেছিল সেই ছবিটি। অন্যদিকে ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ এবং ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ ছবিটিও পরের বছর অর্থাৎ ১৯৭০ সালে মুক্তি পায় চার মাসের ব্যবধানে। সেই ছবিগুলিও বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল সেই সময়।

    West-Bengal | Updated: 11:31 AM, Fri Jul 28, 2023

  • Uttam Kumar Death Anniversary

    Uttam Kumar Death Anniversary: সারারাত বাথরুমেই কাটিয়েছিলেন মহানায়ক, কিসের ভয়ে লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল উত্তমকুমারকে?  

    নিউজ ডেস্ক: বয়স যেন বাড়তেই চায় না তার, তিনি আজও বাঙালির কাছে ‘ম্যাটিনি আইডল’। ভুবনভোলানো হাসিতে তার বয়সটা যেন ঠিক যৌবনের গোড়াতেই আটকে গেছে। মহানায়ক হলেও তার চেহারায় যে মধ্যবিত্ত ছোঁয়া খুঁজে পেয়েছিল আপামর বাঙালি, বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সেই ‘মধ্যবিত্ত আবেদন’-এর জোয়ারেই কত কত মানুষের হৃদয় ভাসিয়েছেন তিনি। বাঙালির আড্ডা হোক বা বিতর্ক বা দ্বন্দ্ব ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের মত উত্তম না সৌমিত্র এই তর্কও চলবে। আর এই মহানায়ককেই কিনা একটা গোটা রাত কাটাতে হয়েছিল বাথরুমের মধ্যে! কিন্তু কেন? কার ভয়ে বাথরুমে লুকিয়েছিলেন মহানায়ক?

    সুচিত্রা সেনের সঙ্গে উত্তমকুমারের জুটিকে নিয়ে যতটা চর্চা হয়, তার সঙ্গে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্ক নিয়ে অতটা কথাবার্তা শোনা যায় না। কিন্তু এই সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যেই অমোঘ এক আকর্ষণের উৎস খুঁজে পেয়েছিলেন উত্তমকুমার। আদর করে ‘সাবু’ বলে ডাকতেন উত্তম। ‘ধন্যি মেয়ে’, ‘মৌচাক’, ‘দুই ভাই’, ‘নিশিপদ্ম’ ইত্যাদি ছবিতে উত্তমের সঙ্গে তার জুটি আজও বাঙালির কাছে ছবির ফ্রেমে বন্দি। স্নেহ, প্রেম, বন্ধুত্ব, ভালোবাসা সাবিত্রীর সঙ্গে উত্তমের সম্পর্কের নিরিখের তল ছিল না! সম্পর্কের সংজ্ঞা ছিল না। এদিকে সাবিত্রী চিরকাল ঘরোয়া, রান্না করতে ভালোবাসেন, বাবাকে প্রচণ্ড ভয় পান। আর তার দোর্দণ্ডপ্রতাপ বাবার ভয়ে কাঁপতেন স্বয়ং উত্তমকুমারও। বাড়ির কড়া নিয়ম ছিল রাত দশটার পর যেন কোনো পুরুষ তার সঙ্গে দেখা করতে না আসেন। আর একদিন একপ্রকার অজান্তেই উত্তমকুমার এসে পড়েন সাবিত্রীর বাড়িতে। ঘড়িতে তখন ইতিমধ্যেই দশটা বেজে পেরিয়ে গিয়েছে, সেটা খেয়ালই ছিল না। আর যখন খেয়াল পড়ল, সাবুর বাবার ভয়ে কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না উত্তম। মহানায়কের তখন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা। বাড়িতে ঢুকে তো পড়েছেন, কিন্তু চট করে বেরোতে গেলেই ধরা পড়ে যাবেন যে! গানের কলি ধার করে বলা যায়, তার অবস্থা তখন ‘ভয়েরই খাঁড়াতে হয়ে গেলাম পাঁঠাবলি’।

    আরও পড়ুন: Flurys: হেরিটেজের তকমা পেল পার্ক স্ট্রিটের ফ্লুরিস, স্বীকৃতি দিল 'ইনটাক'

    কিন্তু উপায় কী! একটা কিছু বুদ্ধি বের করতে হবে! নাহলে সাবিত্রীর বাবার সামনে একবার পড়লে সাবু-উত্তম দুজনেরই কপালে ঘোরতর দুঃখ! রাত ঠিক দশটায় নিজের বাড়ির গেটে তালা দিতেন সাবিত্রীর বাবা। আর তার দাপটের সামনে কারো কথা বলার জো ছিল না। আর তাই বাবার ভয়ে সারারাত বাথরুমে বন্দি হয়েই কাটালেন মহানায়ক। চাইলে সাবিত্রীর বাবার সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে যেতেই পারতেন, কিন্তু তিনি নিজে যেহেতু যৌথ পরিবারের ছেলে তাই এই কড়া নিয়মনীতিগুলো বেশ ভালোই বুঝতেন। অনেক পরে হাল আমলে টেলিভিশনের একটি রিয়েলিটি শো-তে এসে এই ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন সাবিত্রী। নায়িকার বাথরুমে উত্তমের রাত্রিযাপন! মহানায়কও তাহলে ভয় পেতেন! 

    West-Bengal | Updated: 11:03 AM, Mon Jul 24, 2023

  • not found

    UGC proposes to make four-year UG courses must for degree with honoursunique382unique382

    Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry

    West-Bengal | Updated: 11:08 AM, Wed May 31, 2023

  • not found

    UGC proposes to make four-year UG courses must for degree with honoursunique381unique381

    Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry

    West-Bengal | Updated: 11:07 AM, Wed May 31, 2023

  • not found

    UGC proposes to make four-year UG courses must for degree with honoursunique380unique380

    Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry

    West-Bengal | Updated: 11:07 AM, Wed May 31, 2023

বাংলার ইতিহাস

  • Satyajit Ray Classic US Co
    Satyajit Ray Classics: সত্যজিতের ছবি কিনবে মার্কিন কোম্পানি! 

    নিউজ ডেস্ক:  সত্যজিৎ রায়ের তিনটি ছবির স্বত্ব কিনতে চাইছে মার্কিন চলচ্চিত্র পরিবেশক সংস্থা। সেই ছবিগুলির তালিকায় আছে ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ এবং ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’। কলকাতা-কেন্দ্রিক যে সংস্থা এই তিনটি ছবি প্রযোজনা করেছিল, সেই সংস্থার কর্ণধার জানাচ্ছেন ছবিগুলির আসল নেগেটিভ সংরক্ষণ করা এরখন দুষ্কর হয়ে উঠেছে। আর তাছাড়া বেশ কয়েক বছর ধরের প্রায়ই কোনোরকম স্বীকৃতি কিংবা রয়্যালটি ছাড়াই ছবি প্রদর্শনের জন্য প্রচুর অনুরোধ এসেছে যা এককথায় তাকে বেশ বিরক্তই করেছে। আর তাই কি মার্কিনি সংস্থার কাছে স্বত্ব বিক্রি করে দিতে চলেছেন তিনি? 

    বলাই বাহুল্য ছবি তিনটির প্রযোজনা করেছিলেন অরিজিত দত্তের পূর্বপুরুষ। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অরিজিত দত্ত জানান, ইতিমধ্যেই মার্কিন মুলুকের জানুস ফিল্মসের সঙ্গে তার কথা হয়ে গিয়েছে। এই জানুস ফিল্মস মূলত আন্তর্জাতিক স্তরের সবরকম আর্টহাউস ঘরানার ছবিকে মার্কিন দর্শকদের কাছে পরিচিত করে তোলে। মাইকেলেঞ্জেলো আন্তোনিওনি, ইঙমার বার্গম্যান, ফেদেরিকো ফেলিনি প্রমুখ খ্যাতনামা চিত্র পরিচালকদের ছবির স্বত্ব নিয়ের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে এই প্রযোজনা সংস্থার। তিনি বলেন প্রথম যখন সত্যজিৎ রায়ের ছবির স্বত্ব বিক্রি করার প্রস্তাব আসে এক মাস আগে, সিদ্ধান্ত নিতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল তাকে। নিজের বাড়িতে ছবির আসল নেগেটিভ সংরক্ষণ করতে সমস্যা হচ্ছিল অনেকদিন ধরেই। তাঁর কথায়, ’২৪ ঘন্টা ডাবল এয়ার কন্ডিশনিং ব্যবস্থায় সেই নেগেটিভগুলিকে রাখতে হয়। আগে বম্বে ল্যাবরেটরিতে সেই নেগেটিভগুলি সংরক্ষণ করা হত। ১৯৯০ সালে সেই ল্যাব বন্ধ হওয়ার পরে তাকে নিজেকেই সেই সংরক্ষণের দায়িত্ব নিতে হয়। অরিজিত বলেন যে, ‘গুপী গাইনের শেষ রিলটি ছিল রঙিন। কিন্তু সেটা হারিয়ে গিয়েছে। যেহেতু আমার কাছে একটা মাস্টার পজিটিভ ছিল সেই জন্যে ছবিটিকে পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। নাহলে ছবিটা চিরদিনের মত হারিয়েই যেত।’ 

    আরও পড়ুন: Uttam Kumar Death Anniversary: সারারাত বাথরুমেই কাটিয়েছিলেন মহানায়ক, কিসের ভয়ে লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল উত্তমকুমারকে?  

    আসল নেগেটিভ সংরক্ষণ করা মোটেও সহজ কাজ নয়। যথেষ্ট দুশ্চিন্তা থেকেই যায় আর তাই নিজে তিনি আর সেই দায়িত্ব নিতে চান না। শুধু তাই নয়, স্বীকৃতির জায়গা থেকেও একটা হতাশা ঘিরে ধরেছে তাকে। গত বছর ন্যাশনাল ফিল্ম আর্কাইভ অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে যখন ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ ছবিটির ফোর-কে ভার্সন প্রকাশ করা হয় এবং সেটাই কান চলচ্চিত্র উৎসবে যায়, তখন একপ্রকার বঞ্চিতই হন অরিজিত-পরিবার। তাঁর কথায় জানা যায়, এখন কেবলমাত্র প্রিয়া সিনেমাহলে সত্যজিতের ছবিগুলি প্রদর্শনের অনুমতি রয়েছে তার কাছে।

    ১৯৬৯ সালে যখন ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ মুক্তি পায় পিয়ালি পিকচার্সের পক্ষ থেকে ছবিটির পরিবেশনার দায়িত্ব নেওয়া হয়েছিল। মিনার, বিজলী, ছবিঘর, গ্লোব ইত্যাদি প্রেক্ষাগৃহে রমরমিয়ে ১০২ সপ্তাহ চলেছিল সেই ছবিটি। অন্যদিকে ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ এবং ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ ছবিটিও পরের বছর অর্থাৎ ১৯৭০ সালে মুক্তি পায় চার মাসের ব্যবধানে। সেই ছবিগুলিও বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল সেই সময়।

    West-Bengal | Updated: 11:31 AM, Fri Jul 28, 2023

  • Uttam Kumar Death Anniversary

    Uttam Kumar Death Anniversary: সারারাত বাথরুমেই কাটিয়েছিলেন মহানায়ক, কিসের ভয়ে লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল উত্তমকুমারকে?  

    নিউজ ডেস্ক: বয়স যেন বাড়তেই চায় না তার, তিনি আজও বাঙালির কাছে ‘ম্যাটিনি আইডল’। ভুবনভোলানো হাসিতে তার বয়সটা যেন ঠিক যৌবনের গোড়াতেই আটকে গেছে। মহানায়ক হলেও তার চেহারায় যে মধ্যবিত্ত ছোঁয়া খুঁজে পেয়েছিল আপামর বাঙালি, বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সেই ‘মধ্যবিত্ত আবেদন’-এর জোয়ারেই কত কত মানুষের হৃদয় ভাসিয়েছেন তিনি। বাঙালির আড্ডা হোক বা বিতর্ক বা দ্বন্দ্ব ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের মত উত্তম না সৌমিত্র এই তর্কও চলবে। আর এই মহানায়ককেই কিনা একটা গোটা রাত কাটাতে হয়েছিল বাথরুমের মধ্যে! কিন্তু কেন? কার ভয়ে বাথরুমে লুকিয়েছিলেন মহানায়ক?

    সুচিত্রা সেনের সঙ্গে উত্তমকুমারের জুটিকে নিয়ে যতটা চর্চা হয়, তার সঙ্গে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্ক নিয়ে অতটা কথাবার্তা শোনা যায় না। কিন্তু এই সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যেই অমোঘ এক আকর্ষণের উৎস খুঁজে পেয়েছিলেন উত্তমকুমার। আদর করে ‘সাবু’ বলে ডাকতেন উত্তম। ‘ধন্যি মেয়ে’, ‘মৌচাক’, ‘দুই ভাই’, ‘নিশিপদ্ম’ ইত্যাদি ছবিতে উত্তমের সঙ্গে তার জুটি আজও বাঙালির কাছে ছবির ফ্রেমে বন্দি। স্নেহ, প্রেম, বন্ধুত্ব, ভালোবাসা সাবিত্রীর সঙ্গে উত্তমের সম্পর্কের নিরিখের তল ছিল না! সম্পর্কের সংজ্ঞা ছিল না। এদিকে সাবিত্রী চিরকাল ঘরোয়া, রান্না করতে ভালোবাসেন, বাবাকে প্রচণ্ড ভয় পান। আর তার দোর্দণ্ডপ্রতাপ বাবার ভয়ে কাঁপতেন স্বয়ং উত্তমকুমারও। বাড়ির কড়া নিয়ম ছিল রাত দশটার পর যেন কোনো পুরুষ তার সঙ্গে দেখা করতে না আসেন। আর একদিন একপ্রকার অজান্তেই উত্তমকুমার এসে পড়েন সাবিত্রীর বাড়িতে। ঘড়িতে তখন ইতিমধ্যেই দশটা বেজে পেরিয়ে গিয়েছে, সেটা খেয়ালই ছিল না। আর যখন খেয়াল পড়ল, সাবুর বাবার ভয়ে কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না উত্তম। মহানায়কের তখন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা। বাড়িতে ঢুকে তো পড়েছেন, কিন্তু চট করে বেরোতে গেলেই ধরা পড়ে যাবেন যে! গানের কলি ধার করে বলা যায়, তার অবস্থা তখন ‘ভয়েরই খাঁড়াতে হয়ে গেলাম পাঁঠাবলি’।

    আরও পড়ুন: Flurys: হেরিটেজের তকমা পেল পার্ক স্ট্রিটের ফ্লুরিস, স্বীকৃতি দিল 'ইনটাক'

    কিন্তু উপায় কী! একটা কিছু বুদ্ধি বের করতে হবে! নাহলে সাবিত্রীর বাবার সামনে একবার পড়লে সাবু-উত্তম দুজনেরই কপালে ঘোরতর দুঃখ! রাত ঠিক দশটায় নিজের বাড়ির গেটে তালা দিতেন সাবিত্রীর বাবা। আর তার দাপটের সামনে কারো কথা বলার জো ছিল না। আর তাই বাবার ভয়ে সারারাত বাথরুমে বন্দি হয়েই কাটালেন মহানায়ক। চাইলে সাবিত্রীর বাবার সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে যেতেই পারতেন, কিন্তু তিনি নিজে যেহেতু যৌথ পরিবারের ছেলে তাই এই কড়া নিয়মনীতিগুলো বেশ ভালোই বুঝতেন। অনেক পরে হাল আমলে টেলিভিশনের একটি রিয়েলিটি শো-তে এসে এই ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন সাবিত্রী। নায়িকার বাথরুমে উত্তমের রাত্রিযাপন! মহানায়কও তাহলে ভয় পেতেন! 

    West-Bengal | Updated: 11:03 AM, Mon Jul 24, 2023

  • Swami_Vivekananda_On_Geeta

    Swami Vivekananda: সত্যিই কি গীতা পাঠ বন্ধ করে ফুটবল খেলতে বলেছিলেন স্বামীজী?

    নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি স্বামী বিবেকানন্দ এবং রামকৃষ্ণ দেবের করা উক্তি নিয়ে সমালোচনা করে শিরোনামে চলে এসেছেন ইস্কনের সন্ন্যাসী অমোঘ লীলা দাস। উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ পরিচিত ইনি তাঁর প্রবচনের মাধ্যমে। কিন্তু সম্প্রতি স্বামী বিবেনানন্দকে নিয়ে করা তাঁর ব্যঙ্গোক্তির জন্য গোটা দেশের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। যদিও শেষ পর্যন্ত নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন এই সাধু, আর ইস্কন থেকেও তাঁকে ইতিমধ্যেই করা হয়েছে সাময়িক ব্যান। এ তো গেল খবর! কিন্তু স্বামী বিবেকানন্দের মতের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা কি আদৌ যুক্তিযুক্ত? জেনে নেওয়া যাক, কতটা সঠিক বিশ্লেষণ করেছেন তিনি স্বামীজীর উক্তির। 

    প্রথমত, 'গীতা পাঠের চেয়ে ফুটবল খেলা ভালো', বিবেকানন্দের এই উক্তির সমালোচনা করে তিনি বলতে চেয়েছেন, স্বামীজী গীতা পাঠের প্রয়োজন নেই বলেছেন! কিন্তু আসল কথা হলো, উক্তিটি অসম্পূর্ণ। নাস্তিক্যবাদী এবং কমিউনিস্টরা স্বামীজীর অজস্র উক্তির ভুল ব্যাখ্যা করে তা প্রচার করার জন্য এরকম ভ্রান্ত ধারনা পোষণ করা সহজ হয়ে উঠেছে। কিন্তু জেনে নেওয়া যাক স্বামীজীর এ প্রসঙ্গে সম্পূর্ণ উক্তি--' হে আমার যুবক বন্ধুগণ, তোমরা সবল হও—তোমাদের নিকট ইহাই আমার বক্তব্য। গীতাপাঠ অপেক্ষা ফুটবল খেলিলে তোমার স্বর্গের আরও নিকটবর্তী হইবে। আমাকে অতি সাহসপূর্বক এই কথাগুলি বলিতে হইতেছে; কিন্তু না বলিলেই নয়। আমি তোমাদিগকে ভালবাসি। আমি জানি, পায়ে কোথায় কাঁটা বিঁধিতেছে। আমার কিছু অভিজ্ঞতা আছে। তোমাদের বলি, তোমাদের শরীর একটু শক্ত হইলে তোমরা গীতা আরও ভাল বুঝিবে।' (স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা, পঞ্চম খণ্ড)

    উক্তিতে পরিষ্কার, স্বামীজী গীতা পাঠ করতে নিষেধ করেন নি, কিন্তু পরাধীন ভারতবর্ষে প্রাথমিক প্রয়োজন ছিল শারীরিক শক্তি। আর সুস্থ শরীর ছাড়া মানসিক শান্তি অসম্ভব। আর মানসিক শান্তি ছাড়া গীতার গূঢ় শ্লোক অনুধাবন করাও অসম্ভব। যে কারণে, মহাভারত পর্বে শত শত মহারথীর মধ্যেও শুধুমাত্র অর্জুনকে গীতা ব্যাখ্যা করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। কারণ তিনি বুঝেছিলেন, অর্জুনই শারীরিক দৃঢ়তা এবং মানসিক স্থিরতা, উভয়দিক থেকেই শ্রেষ্ঠ। উল্লেখ্য, স্বামীজী তাঁর উক্তিতে সহজভাবেই বলেছেন, ফুটবল খেলে শরীর শক্ত হওয়ার পর সহজে বোঝা সম্ভব হবে গীতা। 

    অন্যদিকে, ইস্কনের এই সন্ন্যাসী বিঁধেছেন 'যত মত তত পথ' উক্তি নিয়েও। যদিও উক্তিটি আসলে রামকৃষ্ণ দেবের, কিন্তু এরও প্রকৃত অর্থ অনুধাবন করতে পারেননি অমোঘ লীলা। আসলে, এই উক্তির মাধ্যমে হিন্দু ধর্মের মধ্যে উপস্থিত সকল মতাদর্শ এবং দর্শনকে মেনে চলেই যে ভগবানকে পাওয়া সম্ভব, তাই বুঝিয়েছিলেন পরমহংসদেব। শৈব, শাক্ত, বৈষ্ণব, ব্রাহ্ম, আকার-নিরাকার, বুদ্ধ কিংবা জৈন বা শিখ মতাদর্শ; যে যাই মেনে চলুন না কেন, সকল পথের লক্ষ্যই যে ঈশ্বর-প্রাপ্তি, এ কথাই এতটা সোজাভাবে বোঝানো হয়েছিল।

    West-Bengal | Updated: 16:56 PM, Sat Jul 15, 2023

  • Kolkata Oldest Bookshop Dasgupta and Co

    Kolkata Heritage: পড়ুয়াদের জন্য মুক্ত পাঠাগার! নজির গড়ল ১৩৭ বছরের পুরনো কলেজস্ট্রিটের বইয়ের দোকান

    নিউজ ডেস্ক: কলকাতার সব থেকে পুরনো বইয়ের দোকান দাশগুপ্ত অ্যান্ড কোং এক নতুন উদ্যোগ নিতে চলেছে। পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে এই দোকানের চত্বরের মধ্যেই একটা অংশে চালু করা হচ্ছে মুক্ত পাঠাগার। বিনামূল্যে এখানে বই পড়তে পারবেন পড়ুয়ারা। যেসব পড়ুয়াদের বই কেনার সামর্থ্য নেই, তাদের কথা ভেবেই মূলত এই উদ্যোগ নিতে চলেছে দাশগুপ্ত অ্যান্ড কোং।

    কলকাতার বুকে এই দোকানটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক ইতিহাস। এখানে ১৮৯০ থেকে ১৯০০ সালের বহু পুরনো বই, ঘড়ি ইত্যাদি দুষ্প্রাপ্য উপাদান রয়েছে, ফলে এর একটা আর্কাইভাল গুরুত্বও রয়েছে। যদিও ২০০৪ সালে একটি অগ্নিকাণ্ডে সেসবের অধিকাংশই পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। জানা গিয়েছে বইয়ের দোকানের দোতলায় সেই পাঠাগার তৈরি হতে চলেছে। দোকানের কর্ণধার ৭১ বছরের অরিন্দম দাশগুপ্ত বলেন যে, আগামী দুর্গাপুজোর মধ্যে প্রায় ১০ হাজার বই নিয়ে চালু হতে চলেছে এই মুক্ত পাঠাগার। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এখানে দুপুর থেকে বিকেল ৬টার মধ্যে এসে বই পড়তে পারবেন পড়ুয়ারা। বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষারই বইপত্র থাকবে এখানে, সব বয়সের মানুষেরাই এখানে এসে বই নেড়েঘেঁটে দেখতে পারবেন। কর্ণধার আরো জানান যে এই পাঠাগারের মাধ্যমে বাংলা মাধ্যম এবং ইংরেজি মাধ্যম উভয় ব্যবস্থার ছাত্র-ছাত্রীরাই উপকৃত হবেন।

    আরও পড়ুন: Panchayat Election in Bengal: সরকার ও নির্বাচন কমিশন- ভোট ও ছাপ্পা! আসলে জনগণকে ধাপ্পা

    ১৮৮৬ সালে কলেজস্ট্রিটে তৈরি হয়েছিল এই বইয়ের দোকানটি যা বর্তমানে হেরিটেজ বুকশপ-এর আখ্যা পেয়েছে। এই বছর ১ জুলাই কলকাতা কর্পোরেশন এই দোকানটিকে গ্রেড ২ এ হেরিটেজের আখ্যায় ভূষিত করেছে। জানা গিয়েছে ২৪ জুলাই দোকানে লাগানো হবে নীল সিলমোহর। কিন্তু কেন বইয়ের দোকানের মধ্যেই পাঠাগার চালু করতে চাইলেন কর্ণধার অরিন্দম দাশগুপ্ত? তাঁর কথায় জানা যায়, এখন যেভাবে শিক্ষার প্রসার ঘটেছে তাতে লকডাউনের সময় তিনি দেখেছেন যে বহু মুসলিম-প্রান্তিক ছেলে-মেয়ে তাদের দোকানে এসে বই কিনত, দেখেই বোঝা যেত তাদের সামর্থ্য ছিল অনেকটাই কম। আর তাই সেই প্রান্তিক ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে এই পাঠাগার চালু করার পরিকল্পনা করেছেন অরিন্দম দাশগুপ্ত।

    ১৮৮৬-তে অরিন্দম পূর্বপুরুষ গিরিশচন্দ্র দাশগুপ্ত যশোরের কালিগ্রাম থেকে এদেশে এসে এই দোকানটি প্রথম চালু করেন। সেই থেকেই বহু ইতিহাসের সাক্ষী কলেজস্ট্রিটের বুকের এই দাশগুপ্ত অ্যান্ড কোং। আজও দিনে প্রায় ৪০০ মানুষ বই কিনতে হাজির হন ইতিহাস-প্রাচীন এই দোকানে। দেওয়ালে দেওয়ালে বইয়ের ধুলোর মধ্যে আজও যেন ইতিহাস কথা বলে।

    West-Bengal | Updated: 15:54 PM, Sat Jul 15, 2023

  • not found

    UGC proposes to make four-year UG courses must for degree with honoursunique382unique382

    Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry

    West-Bengal | Updated: 11:08 AM, Wed May 31, 2023

  • not found

    UGC proposes to make four-year UG courses must for degree with honoursunique381unique381

    Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry

    West-Bengal | Updated: 11:07 AM, Wed May 31, 2023

  • not found

    UGC proposes to make four-year UG courses must for degree with honoursunique380unique380

    Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry

    West-Bengal | Updated: 11:07 AM, Wed May 31, 2023

  • not found

    UGC proposes to make four-year UG courses must for degree with honoursunique379unique379

    Swimmer Aryan qualifies for Worlds, Asian Games Swimmer Aryan qualifies for Worlds, Asian Games

    West-Bengal | Updated: 11:06 AM, Wed May 31, 2023

অজানা কথা

google-add
google-add
google-add

ফিচার

google-add