Karnataka votes to elect a new government today as stakes are high for the BJP and higher for the Congress with 2,615 candidates in the fray for 224 assembly constituencies. Polling is scheduled across 58,545 polling stations including auxiliary polling stations and a total of 42,48,028 new voters have been registered to vote for the elections.
Read MoreINDIA Alliance: পরিকল্পনার ৩ দিনের মধ্যেই বাতিল বিরোধী জোটের প্রথম সমাবেশ! কটাক্ষ বিজেপির
নিউজ ডেস্ক: শুরুতেই তাল কাটল বিরোধী জোট INDIA Alliance-এ। পরিকল্পনার পরই বাতিল হয়ে গেল INDIA জোটের প্রথম জনও সমাবেশ। তেড়েফুঁড়ে একের পর এক বৈঠক করার পর গত বুধবার দিল্লিতে শরদ পাওয়ারের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয় জোটের প্রথম কোঅর্ডিনেশন কমিটির বৈঠক। এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয় আগামী অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহেই মধ্যপ্রদেশের ভোপালে আয়োজিত হবে একটি পাবলিক র্যালি এবং সমাবেশ। কিন্তু এই পরিকল্পনার ৩ দিনের মধ্যেই বাতিল করে দেওয়া হল সমাবেশের পরিকল্পনা।
আজ, শনিবার মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা কমলনাথ জানান আপাতত বাতিল করা হয়েছে এই পরিকল্পনা। এরপরে কবে কোথায় অনুষ্ঠিত হবে এই র্যালি, তা সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়ে দেবেন জোটের সদস্যরা, এমনটাই খবর সূত্রে। উল্লেখ্য, জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠক হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত নীতি নিয়েই সংশয় জোট সদস্যদের। এরমধ্যে একাধিক দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে জোট নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে এখনও কথাই হয়নি শীর্ষ নেতৃত্বের।
এদিকে, পরিকল্পনার মাত্র ৩ দিনের মধ্যে INDIA জোটের প্রথম পাবলিক র্যালি বাতিল হয়ে যাওয়া নিয়ে টিপ্পনী কাটতে ছাড়েনি পদ্ম শিবির। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। বিরোধী জোটকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, , 'গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিতে খুব গণ্ডগোল। পোস্টার ব্যানারে কার ছবি থাকবে, কার থাকবে না, তা নিয়েও ওদের মধ্যে ঝামেলা চলছে।' এই প্রসঙ্গে সদ্য আলোচিত সনাতন ইস্যুর আবেগকেও উসকে দিয়ে তাঁর বক্তব্য, যারা সনাতন ধর্মকে অপমান করে, তাদের সমাবেশ বাতিল হওয়াটাই স্বাভাবিক।
West-Bengal | Updated: 18:11 PM, Sat Sep 16, 2023
India Alliance: গলার কাঁটা জোট, তৃণমূলের সঙ্গে ঘর করা নিয়ে নিজের ঘরেই চাপে CPM
নিউজ ডেস্ক: INDIA মহাজোট যে গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে সিপিএম-এর জন্য, তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপিকে সরাতে গিয়ে বাংলায় আদায় কাঁচকলায় থাকা তৃণমূলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে দল, এই অভিযোগ উঠেছে সিপিএম-এর নিচু তলা থেকেই। আর এই বিষয় নিয়েই উপরের স্তরে জোট করে কার্যত ল্যাজেগোবরে দল। ফায়দা লুঠছে বিজেপি। তৃণমূল-সিপিএম সেটিং তত্ত্বের অভিযোগে মুখ পুড়ছে পার্টির বঙ্গ নেতৃত্বেরও। এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা চলেছে সদ্য সমাপ্ত সিপিএম-এর রাজ্য কমিটিতে। এদিকে এই আবহে আজ শনিবার থেকে আগামীকাল রবিবার পর্যন্ত দিল্লিতে বসছে ২ দিনের পলিটব্যুরো বৈঠক। এই বৈঠকে বঙ্গ নেতাদের জোট সংক্রান্ত বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে বলে খবর।
এদিকে গত বুধবার দিল্লিতে NCP প্রধান শরদ পাওয়ারের বাসভবনে বসেছিল INDIA জোটের সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠক। আর এখনও পর্যন্ত সমন্বয় কমিটির জন্য সিপিএম-এর মুখ নির্বাচিত না হওয়ার কারণে বৈঠকে অংশ নেননি ইয়েচুরিরা। অবশ্য বৈঠকের পরেরদিন পাওয়ারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ করে আসেন ইয়েচুরি নিজে। জোটের ভবিষ্যৎ রণকৌশল নিয়েই কথাবার্তা হয়েছে তাঁদের মধ্যে বলে জানা যায়। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্বের বাধার কারণেই জোটে এখনও সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে পারছে না দল বলে খবর।
সূত্রের খবর, জোট নিয়ে ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেছে সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজ্যের নিচুস্তরের সাধারণ কর্মী সমর্থকদের মধ্যে এখনও মেটেনি তৃণমূলের সঙ্গে একই ছাতায় থাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব। সবেচেয়ে বড় কথা, এবারের পঞ্চায়েত ভোটে হওয়া রাজনৈতিক হিংসার বলি হতে হয়েছে দলের বহু কর্মীকে। এরপরেও শুধুমাত্র বিজেপিকে সরাতে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলানোকে ভালোভাবে দেখতে পারছেন না দলের কর্মীরা। তবে সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অবশ্য জোটের জন্যই আগ্রহী। কিন্তু কর্মীদের ক্ষোভে লাগাম টানতে প্রথমে জোটের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বোঝানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। এই কারণে আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হাওড়ায় রাজ্য কমিটির বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে, এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্রে।
West-Bengal | Updated: 12:33 PM, Sat Sep 16, 2023
I.N.D.I.A Alliance: জোটের প্রথম জনসভা ভোপালে, সিদ্ধান্ত সমন্বয় কমিটির বৈঠকের
নিউজ ডেস্ক: পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা এবং ’২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশজুড়ে জনসভা করবে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। আর প্রথম জনসভাটি হবে ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। বুধবার সমন্বয় কমিটির বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধীদের মহাজোটের শরিকরা।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে মধ্যপ্রদেশে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে অক্টোবরে জনসভা করতে চলেছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট(I.N.D.I.A)। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব সহ বিজেপি বিরোধী একাধিক ইস্যুতে এই জনসভা হবে বলে খবর। জনসভার আয়োজকের ভূমিকায় রয়েছে কংগ্রেস। তবে অন্যান্য শরিকি দলের উপস্থিত থাকারও কথা রয়েছে। এরপর দেশের অন্যান্য প্রান্তে এ ধরণের জনসভা হবে বলে খবর।
সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে জাতিগত সমীক্ষা নিয়েও আলোচনা করেন জোটের নেতারা। ইন্ডিয়া জোটের দখলে থাকা বিহারে ইতিমধ্যেই জাতি সমীক্ষা শুরু হয়েছে। আগামীদিনে এই সমীক্ষাকে জাতীয় স্তরে ইস্যু করতে পারে ইন্ডিয়া জোট বলে সূত্রের খবর।
এছাড়া কিছু কিছু মিডিয়া সঞ্চালককে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে বলে খবর। এক্ষেত্রে কোন কোন সঞ্চালককে বয়কট করা হবে, তা ঠিক করবেন জোটের প্রচার কমিটি। সেই সঞ্চালকদের অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়া জোটের কোনও নেতা অংশগ্রহণ করবেন না বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
West-Bengal | Updated: 17:44 PM, Thu Sep 14, 2023
India Vs Bharat: 'INDIA' না 'ভারত', কে নেবে জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন?
নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি রাষ্ট্রপতির একটি চিঠিতে ইন্ডিয়ার স্থলে ভারত শব্দটি ব্যবহার করায় গোটা দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। অনেকেই মনে করছেন এই চিঠিটা ডেমো মাত্র! খুব শীঘ্রই ইন্ডিয়া হতে চলেছে ভারত। এদিকে বিরোধী জোটের সদস্যরা বলছেন, তাদের জোটের নামে ভয় পেয়ে দেশের নাম বদলে দিচ্ছে মোদী সরকার। যদিও এই নাম বদল আদৌ হবে কিনা, তা নিয়ে কিন্তু কোনওরকম বিবৃতি আসেনি সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এখানে, সত্যিই কি দেশের নাম বদল করা হবে, যদি ইন্ডিয়ার পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় ভারত? রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে দেখা যাক কী বলছে দেশের মহামান্য সংবিধান এবং ইতিহাস।
প্রথমে আসা যাক দেশের সংবিধানে। সংবিধানের ১ নম্বর ধারাতেই কিন্তু রয়েছে এই সমস্যার সমাধান! সেখানে পরিষ্কারভাবে লেখা হয়েছে-'India, that is Bharat, shall be a Union of States। সাংবিধানিকভাবে বলাই রয়েছে দেশের উভয় নামই গ্রহণযোগ্য এবং Interchangable অর্থাৎ বিনিময়যোগ্য। অর্থাৎ কোনও সরকার দেশের নাম ইন্ডিয়া থেকে ভারত করে দিলে তা কোনওভাবেই সংবিধানবিরোধী বলে গণ্য হবে না।
এবার ইতিহাসের পাতায় ডুব দিয়ে দেখা যাক ইন্ডিয়া এবং ভারত নামের উৎপত্তি কী। India নামের উৎপত্তি 'সিন্ধু' শব্দ থেকে। পার্সীরা সিন্ধুকে হিন্দু উচ্চারণ করতে থাকে। এরপর গ্রীকরা সেই শব্দকে 'ইন্ডোস'। সেখান থেকেই INDIA নাম আসে। পরবর্তীকালে ব্রিটিশরা এই বিকৃত হয়ে যাওয়া শব্দকেই দেশের নাম হিসেবে গ্রহণ করে।
আসা যাক ভারত প্রসঙ্গে। 'ভারত' নামটি পাওয়া যায় হাজার হাজার বছরের প্রাচীন শাস্ত্রে। মহাভারত ছাড়াও বিষ্ণু পুরাণে রয়েছে ভারত নামক রাষ্ট্রের বর্ণনা- 'উত্তরং য়ৎ সমুদ্রস্য হিমাদ্রেশ্চৈব দক্ষিণম্/ বর্ষং তৎ ভারতং নাম ভারতী য়ত সন্ততিঃ।' অর্থাৎ 'যে দেশটি সমুদ্রের উত্তরে এবং তুষারময় পর্বতের দক্ষিণে অবস্থিত, তাকে ভারত বলা হয়, কারণ সেখানে মা ভারতীর বংশধরেরা বাস করে।' মহাভারতের আদি পর্ব অনুসারে চন্দ্র বংশীয় রাজা ভরতের নাম থেকে 'ভারত' উৎপত্তি। রাজা ভরত ছিলেন অখণ্ড ভারতের রাজ চক্রবর্তী, তাঁর বংশধর হিসেবেই ভারতের অধিবাসীদের বলা হয়েছে ভারতীয়।
এবার প্রশ্ন হচ্ছে, দেশের নাম হিসেবে কোনটি অধিক প্রাসঙ্গিক। এ কথা অনস্বীকার্য, কোনও জাতিকে সম্পূর্ণরূপে বিনাশ করার প্রথম পদক্ষেপ তাকে আত্মবিস্মৃত করে তোলা। তার সাহিত্য-ইতিহাস-সংস্কৃতিকে নষ্ট করে দেওয়া। আর তার পরিবর্তে নতুন শিক্ষা-সংস্কার-রীতি তার উপর চাপিয়ে দেওয়া। ভারত শব্দটি শুধুমাত্র দেশের ঐতিহ্য, সংস্কার, কৃষ্টিকে নয়, সেই সঙ্গে অখণ্ডতাকেও স্মরণ করিয়ে দেয়। অন্যদিকে বিকৃত উচ্চারণ থেকে আসা শব্দ 'ইন্ডিয়া'র জন্ম ১৯৪৭-এ ইংরেজদের হাতেই। এক কথায় ইন্ডিয়া শব্দটি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা, দেশের পরাধীনতার কথা স্মরণ করায় আমাদের। এমনটাই তো চেয়েছিল ইংরেজ!
প্রাক-স্বাধীনতার সময়ের ইতিহাস ঘাঁটলেও দেখা যায়, দেশের মনীষী তথা স্বাধীনতা সংগ্রামীরা কিংবা ইন্ডিয়া নয়, ভারতের বন্দনাই করেছেন সর্বত্র। বঙ্কিমচন্দ্রের 'আনন্দমঠ'-এ বন্দনা করা হয়েছে ভারত মায়ের। অস্বীকার করা যায় না বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথকেও।' ভারত তীর্থ' কবিতায় তিনি লেখেন,'এই ভারতের মহামানবের সাগর তীরে'। আর তাঁর লেখা জাতীয় সঙ্গীতে তো স্পষ্ট উল্লেখ,'ভারত ভাগ্যবিধাতা'। স্বামী বিবেকানন্দের মতে,''যদি এই পৃথিবীতে এমন কোন দেশ থাকে, যাকে ‘পুণ্যভূমি’ নামে বিশেষিত করা যেতে পারে, যদি এমন কোন স্থান থাকে...যেখানে মানুষের ভেতর ক্ষমা, দয়া, পবিত্রতা, শান্তভাব প্রভৃতি সদ্ গুণের বিকাশ সবচেয়ে অধিক পরিমাণে হয়েছে, যদি এমন কোন দেশ থাকে, যেখানে সর্বাপেক্ষা অধিক আধ্যাত্মিকতা ও অন্তর্দৃষ্টির বিকাশ হয়েছে, তবে নিশ্চিতভাবে বলতে পারি সে আমাদের মাতৃভূমি এই ভারতবর্ষ।'' (স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা,৫ম খণ্ড)। এমন কি নেতাজি সুভাষ বসু তাঁর মাকে চিঠিতে লিখছেন,' ভারতবর্ষ ভগবানের বড় আদরের স্থান।' ভারতের জাতীয়তাবোধ, স্বাভিমানের প্রতি ছত্রে ছত্রে রয়েছে ভারত ভূমির উল্লেখ। তাই ভারত শব্দটিতেই লুকিয়ে দেশের গর্ব।
১৯৪৭-এ স্বাধীনতার দিনে শ্রী অরবিন্দ দুঃখ করে বলেছিলেন,'ভারত আজ স্বাধীনতা লাভ করল ঠিকই। তবে একত্ব লাভ করেনি। যে কোনওভাবেই হোক, এই খণ্ডতাকে ছাপিয়ে যেতেই হবে মহাভারতের মহৎ ভবিষ্যতে।' নীতিগতভাবে ইন্ডিয়া খণ্ডিত ভারতের অংশ। কিন্তু এই পুণ্যভূমি যে দেশের অখণ্ডতাকেই স্মরণ করে তার প্রমাণ আমাদের জাতীয় সঙ্গীত। আজও আমরা জাতীয় সঙ্গীতে গেয়ে উঠি,' পাঞ্জাব সিন্ধু গুজরাত মারাঠা'। এইসব কারণে বলা যায়, দেশের মনীষী তথা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কণ্ঠে বারে বারে উঠে এসেছে ভারতেরই বন্দনা।
West-Bengal | Updated: 12:35 PM, Thu Sep 07, 2023
Lok Sabha Election 2024: বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলায় আসন সমঝোতা! কী ইঙ্গিত দিল কংগ্রেস?
নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুতে সৌহার্দ্যপূর্ণ নৈশ ভোজের পর মুম্বইয়ে আরও কাছাকাছি, আরও ঘনিষ্ঠ হতে দেখা যায় বিজেপি তথা মোদী-বিরোধী INDIA জোটকে। ২৪-এ বিজেপিকে হারানোর উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি এই মহাজোটের শুরু থেকেই আসন সমঝোতা আর প্রধান মুখ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। জোটের প্রধান দল কংগ্রেস, অনেক দল তা স্বীকার করে নিলেও স্বীয় রাজ্যে স্বয়ং কংগ্রেসের সঙ্গেই কুস্তি লড়তে দেখা যাচ্ছে সেই দলের নেতাদের। এর জলজ্যান্ত উদাহরণ পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, পাঞ্জাব। তাই বাংলায় তৃণমূল আর দিল্লি-পাঞ্জাবে আপের সঙ্গে কীভাবে আসন সমঝোতা সম্ভব, এই নিয়েই সরগরম জোটের ভবিষ্যৎ।
এই অবস্থায় কিছুটা মধ্যপন্থা নীতি নিল কংগ্রেস হাইকমান্ড। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কিংবা দিল্লি ও পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টির সঙ্গে একান্তই আসন সমঝোতা না হলে কিছু আসনে হতেই পারে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই! কংগ্রেসের বক্তব্য, আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপিকে হারাতে বাংলাতে তৃণমূল-বাম-কংগ্রেসের প্রকাশ্য মহাজোট হোক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত না হলে বেশ কিছু আসন একে অপরকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবা হবে। জানা যাচ্ছে, এই নিয়ে ইতিমধ্যেই এক কদম এগিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত লোকসভায় কংগ্রেসের জেতা বহরমপুর এবং মালদা-দক্ষিণ ছেড়ে দিতে পারে তৃণমূল। অন্যদিকে পাঞ্জাবে আপের সঙ্গে আসন নিয়ে সমঝোতা না হলেও দিল্লিতে কেজরিওয়ালের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লড়াই করতে সমস্যা হবে না কংগ্রেসের বলে খবর।
এদিকে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে কথা হওয়ার পর বামেদের সঙ্গেও আলোচনা হবে আসন সমঝোতা নিয়ে। তবে বাম-কংগ্রেস দুই শীর্ষ নেতৃত্বই চিন্তিত বাংলার রাজ্য নেতা-কর্মীদের নিয়ে। ইতিমধ্যেই রাজ্য কংগ্রেসে তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে প্রকাশ্যে শুরু হয়েছে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। সেটিং স্ট্যাম্প ঘাড়ে নিয়ে লেজেগোবরে অবস্থা বামেদেরও। এই অবস্থায় কংগ্রেসের মধ্যস্থতায় বামেদের সঙ্গেও আসন সমঝোতা নিয়ে নাকি কথা বলবে তৃণমূল! যদিও কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়্গে আর সিপিএম-এর সীতারাম ইয়েচুরি উভয়েই রাজ্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে রণকৌশল ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে আগামী লোকসভার রণকৌশলের উপরই যে পশ্চিমবঙ্গে বাম-কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ নির্ভর করতে চলেছে, তা এক কথায় নিশ্চিত।
West-Bengal | Updated: 15:20 PM, Tue Sep 05, 2023
INDIA Meet: আদৌ ঠিক হবে বিশেষ অধিবেশনের রণকৌশল? INDIA জোটের বৈঠক ঘিরে উঠছে প্রশ্ন
নিউজ ডেস্ক: আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সংসদের বিশেষ অধিবেশনের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সদ্য সমাপ্ত বাদল অধিবেশনের পর কেন্দ্রের হঠাৎ ডাকা এই বিশেষ অধিবেশন নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে চলছে বিস্তর জল্পনা। কী কারণে এই অধিবেশন, তা এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি কেন্দ্র। তবে অধিবেশনের রণকৌশল স্থির করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া(I.N.D.I.A)। ডাকা হয়েছে বৈঠক।
সূত্রের খবর, ৫ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবার দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে সকল বিরোধী সাংসদদের নিয়ে হবে এই বৈঠক। বিশেষ অধিবেশনে কী হতে পারে? বিজেপি-এর পাল্টা হিসাবে বিরোধীদের রণকৌশল কী হবে? বছরের শেষে ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে? আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের স্ট্র্যাটেজিই বা কী হবে? প্রভৃতি বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার হওয়ার কথা রয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: I.N.D.I.A Alliance: ১৩ সদস্যের কমিটি তৈরি ‘ইন্ডিয়া’র, নেই আসন বন্টনের রফাসূত্র
শুক্রবারই তৃতীয় বৈঠক সম্পন্ন করেছে বিরোধী জোট। বৈঠকের পর জোটের একাধিক কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছে। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে আসন রফা বা জোটের লোগো নিয়ে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। অন্যদিকে আবার জোটের নেতাদের এক একজনের বক্তব্যের পরই সভা ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন তারা। এমনকি জোটের আহ্বায়ক কে হবেন? তা এখনও ঠিক করে উঠতে পারেনি বিরোধী শিবির। সুতরাং জোটের এই অনিশ্চিত আবহে দিল্লির বৈঠকে নতুন কী পরিকল্পনা গৃহীত হবে, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের। বিশ্লেষক মহলের একাংশের দাবি, তিনটে হাইভোল্টেজ বৈঠকের পরেও অনিশ্চিত জোটের সমীকরণ। এই আবহে দিল্লির বৈঠকে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আদৌ কী কোনও সমাধান খুঁজে পাবে বিরোধী শিবির?
লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে এনডিএ(NDA) জোটের আসন সংখ্যা ৩৫৩টি। যার মধ্যে শুধুমাত্র বিজেপির আসন সংখ্যাই হল ৩০৩টি। সুতরাং, এই লক্ষ্যভেদ করতে যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হবে বিরোধী শিবিরকে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এই মুহূর্তে জোটের মধ্যে রয়েছে বিস্তর মতানৈক্য। ফলে আসন্ন ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোট কিংবা লোকসভা ভোটে বিজেপি বিরোধি লড়াই খুব একটা সহজ হবে না বলেই দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলের।
West-Bengal | Updated: 13:10 PM, Mon Sep 04, 2023
I.N.D.I.A Alliance: ১৩ সদস্যের কমিটি তৈরি ‘ইন্ডিয়া’র, নেই আসন বন্টনের রফাসূত্র
নিউজ ডেস্ক: তবে কী মিটল জোটের ঘোট! মুম্বইয়ে তিনদিনের ম্যারাথন বৈঠকের পর শুক্রবার দুপুরে অবশেষে ১৩ জনের কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠন করল বিজেপি বিরোধী ২৮টি দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’(I.N.D.I.A)। দেশের প্রধান বিরোধী দলগুলির প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে এই কমিটিতে। ’২৪-এর নির্বাচনের বিভিন্ন কর্মসূচি ও দৈনিক বিভিন্ন কাজকর্ম পরিচালনা করবে এই কমিটি। যদিও এই কমিটিতে নেই রাহুল গান্ধী, সনিয়া গান্ধী কিংবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে জোটের নীতিনির্ধারণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন এই সমস্ত নেতারাই।
কে কে আছেন এই কমিটিতে? জানা গিয়েছে, ১৩ জনের সমন্বয় কমিটিতে রয়েছেন শরদ পওয়ার(এনসিপি), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(টিএমসি), কেসি বেণুগোপাল(কংগ্রেস), এমকে স্ট্যালিন(ডিএমকে), তেজস্বী যাদব(আরজেডি), হেমন্ত সোরেন(জেএমএম), মেহবুবা মুফতি(পিডিপি), ওমর আবদুল্লা(ন্যাশনাল কনফারেন্স), সঞ্জয় রাউত(শিবসেনা-উদ্ধব), লালন সিং(জেডিইউ), জাভেদ আলি খান(সমাজবাদী পার্টি), ডি রাজা(সিপিআই) এবং রাঘব চড্ডা(আপ)। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কমিটিতে নেই সিপিএমের কোনও নেতা।
গত ২৩ জুন পাটনায় ১৭টি বিরোধী দলের প্রথম বৈঠক হয়। ১৭-১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুতে জোটের শরিকিদের সংখ্যা বেড়ে হয় ২৬ হয়। সেই সঙ্গে, জোটের নাম দেওয়া হয় ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স(I.N.D.I.A)। শুক্রবার এই জোটের আনুষ্ঠানিক স্লোগানও ঘোষিত হয়েছে-‘জুড়েগা ভারত, জিতেগা ইন্ডিয়া’। কিন্তু এত জাঁকজমক সত্ত্বেও জোটের প্রতীকী এবং আসন বন্টন নিয়ে তৃতীয় বৈঠকের পরও মেলেনি কোনও সমাধান।
আর মিলবেই বা কী করে! ‘মুম্বইয়ে দোস্তি, রাজ্যে কুস্তি’ মনোভাব নিয়ে চলছে একাধিক আঞ্চলিক দল। তার মধ্যে অন্যতম হল পশ্চিমবঙ্গ। জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির বিরোধিতায় রাহুল, মমতা, ইয়েচুরির মধ্যে ‘বন্ধুত্ব’এর ছবি ধরা পড়লেও, বাংলায় সম্পূর্ণ উল্টো ছবি। তৃণমূলকে পরাস্ত করতে সুর চড়াচ্ছে সিপিএম ও কংগ্রেস। সুতরাং, এ রাজ্যে প্রশ্নের মুখে তিনদলের আসন বন্টন প্রক্রিয়া। অবশ্য দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের প্রচেষ্টায় ঘোট বাধতে গিয়েও বাধেনি।
অন্যদিকে আবার লোগো নিয়েও শুরু হয়েছেন তুমুল বিতর্ক। প্রতিটি আঞ্চলিক দলের নিজস্ব পরিচিতি রয়েছে। ফলে একটিমাত্র প্রতীক নির্বাচন করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। প্রতীকের কী ট্যাগলাইন লেখা হবে, তা নিয়ে এদিনের বৈঠকের শুরুতেই মতানৈক্য তৈরি হয়। অবশেষে লোগো উন্মোচন স্থগিত করে দেয় ‘ইন্ডিয়া’। রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলের দাবি, সবমিলিয়ে ’২৪-এর নির্বাচনে এই জোট কতটা সফল হবে? তা নিয়ে এখনও রয়েছে বিস্তর অনিশ্চিয়তা।
West-Bengal | Updated: 18:28 PM, Fri Sep 01, 2023
CM Mamata Banerjee: ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকের আগে ‘জলসা’য় বচ্চন পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনা মমতার
নিউজ ডেস্ক: বিরোধীদের মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’(I.N.D.I.A)এর বৈঠকে যোগ দিতে বুধবার মুম্বই যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুধু রাজনীতি নয়, ব্যক্তিগত কাজও রয়েছে তাঁর। দেখা করতে পারেন অমিতাভ বচ্চন এবং জয়া বচ্চনের সঙ্গে বলে খবর। শুধু তাই নয়, অভিনেতা যুগলের বাংলো ‘জলসা’য় মেগাস্টারের হাতে রাখি বেঁধে রাখিপূর্ণিমা পালনের সম্ভাবনার কথাও উঠে আসছে।
এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার এবং শিবসেনা(ইউবিটি) নেতা উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে আগামী ৩১ অগাস্ট এবং ১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ইন্ডিয়া জোটের তৃতীয় বৈঠক। বৈঠকে যোগদানের জন্যে ৩০ অগাস্ট, বুধবার বাণিজ্য নগরীর উদ্দেশে রওনা দেবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, সেদিন বিকেলে বচ্চন পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তাঁর। কলকাত চলচ্চিত্র উৎসবে এসে জয়া বচ্চনই তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে গিয়েছিলেন। এবার সেই আমন্ত্রণ রক্ষার্থে ‘জলসা’য় যাবেন মমতা বলে খবর। তবে বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর শাখরুখ খানের সঙ্গে তিনি দেখা করবেন কিনা, তা এখনও অনিশ্চিত।
তবে এই সাক্ষাত নিছক আমন্ত্রণ রক্ষা বলে মনে করছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। তাদের দাবি, ২০২৪’এর এপ্রিলে রাজ্যসাভায় মেয়াদ শেষ হচ্ছে উত্তরপ্রদেশ থেকে সমাজবাদী পার্টির(Samajwadi Party) সাংসদ জয়া বচ্চনের। এদিকে, একই সময়ে মেয়াদ শেষ হচ্ছে বাংলার ৪ সাংসদেরও। জল্পনা, বাংলা থেকে জয়াকে রাজ্যসভায় জায়গা করে দেওয়া হতে পারে। উল্লেখ্য, গত বিধানসভায় তৃণমূলের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে দেখা গিয়েছিল অমিতাভ জায়াকে। সুতরাং, উড়ন্ত জল্পনা সত্যিও হয়ে যেতে পারে বলে দাবি বিশ্লেষক মহলের।
West-Bengal | Updated: 16:39 PM, Mon Aug 28, 2023
INDIA Alliance: কে হবেন বিরোধী জোটের প্রধান, জানিয়ে দিলেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা
নিউজ ডেস্ক: ২৬ টি বিরোধী দলের INDIA জোট আগামী লোকসভায় মোদীর নেতৃত্বাধীন NDA জোটকে টেক্কা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে নামলেও এ পর্যন্ত ঘোষণা করতে পারেনি জোটের মুখ। ইতিমধ্যে NDA জোট পরিষ্কার করে দিয়েছে আগামী লোকসভা নির্বাচনেও মোদীই থাকছেন প্রধান। এদিকে কংগ্রেসের পৌরোহিত্যে INDIA জোট গঠিত হলেও কংগ্রেস খোদ ধন্ধে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে। জোটের শুরুর দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে রাহুল গান্ধীকেই ফেভারিট জানিয়েছিলেন। কিন্তু বাধ সেধেছিলেন নীতীশ। এখনও নাকি INDIA জোটের নাম না-পসন্দ বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর, আর জোটের মুখ নিয়ে তো তিনি একেবারে স্পিকটি নট।
এবার মুম্বই বৈঠকের আগে বিরোধী জোটের প্রধান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করলেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা প্রমোদ তিওয়ারি। তিনি জানান, যে দলের কাছে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সাংসদ হবে, সেই দলের নেতাই প্রধানমন্ত্রী হবেন। তবে ভোটের আগে বিরোধী শিবিরের প্রচারের মুখ কে হবেন, তা নিয়ে উত্তর দিতে পারেননি তিনি। তবে এর আগে মল্লিকার্জুন খাড়্গে জানিয়েছিলেন, ১১ জনের একটি কোঅর্ডিনেশন কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে, জোটের মুখ কিংবা প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কাকে করা হবে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হোক কি জোটের মুখ, সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে দ্বিধাবিভক্ত খোদ কংগ্রেসই। কংগ্রেসের একাংশের মতে, আগের বারের মতো রাহুল গান্ধীকেই করা হোক প্রচারের মুখ। তবে অন্য অংশ অবশ্য প্রজেক্ট করতে চাইছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাকে। সূত্রের খবর, ২০২৪ লোকসভায় বেনারস থেকে মোদীর বিপক্ষে দাঁড়াতে পারেন প্রিয়াঙ্কা। তাই আগামী ভোটে বেনারসের দিকে নজর থাকবে গোটা দেশের। এই পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি মোদীর বিরুদ্ধেই জোটের মুখ হিসেবে অনেকে চাইছেন তাঁকে। তবে শেষ অবধি জোটের মাথারা কতজন একটি নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে একমত হতে পারেন, সেটাই দেখার!
West-Bengal | Updated: 12:30 PM, Sat Aug 26, 2023
Lokmanya Tilak Award: নিষেধ সত্ত্বেও মোদীর সঙ্গে হাত মেলালেন পাওয়ার, মুখ পুড়ল বিরোধীদের
নিউজ ডেস্ক: এক মঞ্চে মোদী পাওয়ার! বিগত সপ্তাহখানেক ধরে জল্পনা চলছিল এই নিয়ে। যার ফলে চাপা পড়ে গিয়েছিল মূল অনুষ্ঠানের খবর। কিন্তু জল্পনাকে সত্যি করে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেই মঞ্চ ভাগ করে নিতে দেখা গেল NCP প্রধান তথা মোদী-বিরোধী জোটের অন্যতম মুখ শরদ পাওয়ারকে। আর এতেই মুখ পুড়ল সদ্য ২৬ টি বিজেপি-বিরোধী দলের তৈরি জোট I.N.D.I.A-র।
উল্লেখ্য, আজ ১ লা আগস্ট আবির্ভাব দিবস প্রখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলকের। পুনের একটি অনুষ্ঠানে লোকমান্য তিলক সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। এই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শরদ পাওয়ার। আর মোদীর সঙ্গে তাঁর একই মঞ্চে উপস্থিতি নিয়ে তৈরি হয়েছিল এই জল্পনা। মোদী-বিরোধী শিবির বারেবারে পাওয়ারকে নিষেধ করেন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে, এতে বিরোধী শিবিরে যেতে পারে ভুল বার্তা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সতীর্থদের নিষেধকে পাত্তা না দিয়েই মোদীর সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নিতে দেখা গেল পাওয়ারকে।
বস্তুত, মোদীর লোকমান্য সম্মান প্রাপ্তির চেয়ে তাঁর সঙ্গে পাওয়ারের এক মঞ্চে থাকাটাই লাইমলাইটে ছিল রাজনৈতিক মহলের। শরিকদের নিষেধ সত্ত্বেও অনুষ্ঠানে পাওয়ারের যোগ দেওয়ায় সদ্য গঠিত INDIA জোটের দলগুলির মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া নিয়ে তৈরি হলো সংশয়। এদিকে অবশ্য পাওয়ারের বক্তব্য অনুষ্ঠানের সূচী করে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ৩ মাস পূর্বেই। আর মঞ্চে উপস্থিত হওয়ার কথাও দিয়েছিলেন তিনি।
অন্যদিকে, মঞ্চে কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডেও ছিলেন মঞ্চে। বিজেপির কটাক্ষ শরদ পাওয়ারকে মানা করার আগে কংগ্রেসের নিজের ঘরের লোকে মানা করা উচিত ছিল। যে যাই বলুক, সম্ভাষণ-বিনিময়ের সময় যেভাবে মোদী-পাওয়ারকে হাসি মুখে পরস্পরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কথা বলতে দেখা যায়, এমনকি মোদীর পিঠ চাপড়ে দিতেও দেখা যায় পাওয়ারকে, এরপর INDIA জোট কতটা সদর্থকভাবে মোদী-বিরোধিতায় শরদ পাওয়ারকে পাশে পাবে, সেই প্রশ্নও তুলে দিল এই অনুষ্ঠান।
West-Bengal | Updated: 16:25 PM, Tue Aug 01, 2023
No Confidence Against Modi: বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে কবে হচ্ছে ফ্লোর টেস্ট?
নিউজ ডেস্ক: সীমিত সংখ্যা, তা সত্ত্বেও লোকসভায় মোদী-সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে বিরোধী জোট। আর সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন স্পিকার ওম বিড়লাও। কিন্তু এখনও আয়োজিত হয়নি ফ্লোর টেস্ট। উল্লেখ্য, আজ বাদল অধিবেশনের অষ্টম দিনেও বিরোধীদের অশান্তির জেরে মুলতুবি হয়ে যায় দুই কক্ষেরই অধিবশন। এরমধ্যেই বার বার উঠছে প্রশ্ন, কবে হবে এই ভোটাভুটি?
এই বিষয়ে এবার মুখ খুলেছেন সংসদ-বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। তিনি জানান, আগামী ১০ দিনের মধ্যেই আলোচনা করা হবে বিরোধীদের আনা এই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে। যদিও এই অনাস্থা প্রস্তাবের যৌক্তিকতা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। প্রয়োজনীয় সংখ্যার চেয়ে অনেক কম থাকা সত্ত্বেও কেন বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনছে, তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত রাজনৈতিক মহল। যদিও বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে RJD সাংসদ মনোজ ঝাঁ যুক্তি দেখান, এই অনাস্থা প্রস্তাবে সরকার না পড়লেও মণিপুর ইস্যু নিয়ে মুখ খুলতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার, কেন্দ্রের মোদী-সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে স্পিকারকে চিঠি দেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ। এরপর ৫০ জন সাংসদ সাক্ষর করেন ওই চিঠিতে। এরপরই অনাস্থা প্রস্তাবে সায় দেন ওম বিড়লা। তিনি জানিয়েছিলেন, খুব শীঘ্রই নির্ধারিত হবে ফ্লোর টেস্টের তারিখ।
West-Bengal | Updated: 17:21 PM, Mon Jul 31, 2023
PM Modi: মোদীর হাতে লোকমান্য তিলক সম্মান তুলে দেবেন পাওয়ার! সন্ত্রস্ত বিরোধী শিবির
নিউজ ডেস্ক: লোকমান্য তিলক জাতীয় সম্মানে ভূষিত হতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামীকাল পুনের একটি অনুষ্ঠানে বেলা পৌনে ১২ টায় এই সম্মান তুলে দেওয়া হবে প্রধামন্ত্রীর হাতে। উল্লেখ্য, এই বিশেষ সম্মানটি ১৯৮৩ সাল থেকে প্রদান করে আসছে তিলক স্মারক মন্দির ট্রাস্ট। দেশ তথা সমাজের উন্নতির স্বার্থে বিশেষ অবদান রাখেন যারা, তাঁদের মধ্যে বাছাই করে ভূষিত করা হয়ে থাকে এই সম্মানে। প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ৪১ তম তিলক সম্মান প্রাপক। এর আগে ডঃ শঙ্কর দয়াল শর্মা, ইন্দিরা গান্ধী, অটল বিহারী বাজপেয়ী, প্রণব মুখোপাধ্যায়, ডঃ মনোমোহন সিংয়ের মতো বিদগ্ধ ব্যক্তিরা পেয়েছেন এই সম্মানটি।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই সম্মানটিতে প্রধানমন্ত্রীকে সম্প্রদানকালে মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন মহারাষ্ট্রের চাণক্য তথা NCP-র বরিষ্ঠ নেতা শরদ পাওয়ার। শুধু তাই নয়, সূত্রের খবর খোদ পাওয়ারের হাত থেকেই এই সম্মান তুলে দেওয়া হবে মোদীর হাতে। ব্যাপার হলো, এই মুহূর্তে বিরোধী জোটের অন্যতম মুখ শরদ পাওয়ার। আইএনডিআইএ জোটের বৈঠকে বিজেপি-বিরোধিতার অন্যতম মুখ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে তাঁকে। এই অবস্থায় মোদীর সঙ্গে এক মঞ্চে থাকলে বিজেপি-বিরোধী জোটের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে বলে আশঙ্কা রাজনৈতিক মহলের।
ইতিমধ্যে মোদীর সঙ্গে একই মঞ্চে শরদ পাওয়ারের থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিরোধী শিবিরে। প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন খোদ মহারাষ্ট্রের বিরোধী-জোটের প্রধান মুখ উদ্ধব ঠাকরে। তাঁর মতে, এই কাজটি উচিত হচ্ছে না শরদ পাওয়ারে মতো একজন পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদের পক্ষে। আগস্টের শেষ সপ্তাহে মুম্বইতে হতে চলেছে বিরোধী-জোটের পরবর্তী বৈঠক। তার আগে শরদ পাওয়ারের এমন পদক্ষেপ বিজেপি-বিরোধী জোটের ঐক্যে প্রশ্নচিহ্ন তুলে দেবে বলে মত INDIA শিবিরে।
West-Bengal | Updated: 12:47 PM, Mon Jul 31, 2023
Manipur Violence: ইম্ফলে বিরোধী জোটের প্রতিনিধি দল
নিউজ ডেস্ক: পূর্বঘোষিত সূচি মতোই মণিপুরে পৌঁছলেন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র প্রতিনিধিরা। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ১৬টি দলের লোকসভা এবং রাজ্যসভার মোট ২১ জন সাংসদ রওনা দিয়েছেন মণিপুরের উদ্দেশে। কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন এই দলে রয়েছেন ডিএমকে’র কানিমোঝি, সিপিএম’এর এএ রহিম, জেডি(ইউ)’এর লালন সিং, আরজেডি’এর মনোজ ঝা’র মতো বিরোধী সাংসদরা।
শনিবার প্রথমে ইম্ফল থেকে কপ্টারে চূড়াচাঁদপুরে যাওয়ার কথা রয়েছে বিরোধী জোটের সাংসদদের। সেখানে দাঙ্গা কবলিত উপত্যকা এবং পাহাড়ি এলাকা পরিদর্শন করবেন তাঁরা। ত্রান শিবিরগুলিতেও যাওয়া পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। হিংসার ঘটনা নিয়ে রবিবার মণিপুরের রাজ্যপাল অনুসূয়া উইকের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে বিরোধী সাংসদদের।
প্রসঙ্গত, হিংসাবিধ্বস্ত মণিপুর নিয়ে বারবার বিরোধীদের কটাক্ষের নিশানায় কেন্দ্র সরকার। বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই মণিপুরের একাধিক হিংসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তাল হয়ে ওঠে দুই কক্ষ। এমনকি, মণিপুর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের বিরুদ্ধে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে বিরোধী জোট।
এই পরিস্থিতিতে দু’দিনের মণিপুর সফরের সিদ্ধান্ত নেয় বিরোধী জোট। ঘটনাচক্রে উত্তপ্ত পরিস্থিতির জন্যে নিরাপত্তার স্বার্থে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সফরে বাধা দেয় মণিপুর সরকার। অতীতের সেই ঘটনার কারণে বিরোধীদের এই সফর নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং জানান, রাজ্যের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখা যাক বিরোধীরা। বলেন, “গণতন্ত্র কাউকে আটকানো যায় না। রাজ্যের কোনও আপত্তি নেই”।
I.N.D.I.A জোটের মণিপুর সফর নিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানান, পশিচমবঙ্গ এবং রাজস্থানেও মহিলারা অসুরক্ষিত। অথচ সেই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিরোধীরা বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। তাঁর কথায়, “মণিপুর ঘুরে আসার পর ২০ জন সাংসদদের কি বাংলায় নিয়ে আনবেন অধীর? রাজস্থানে কি নিয়ে যাবে কংগ্রেস?”
West-Bengal | Updated: 12:49 PM, Sat Jul 29, 2023
No-Trust Motion: বিরোধীদের কটাক্ষে মোদীর হাতিয়ার ‘অনাস্থা প্রস্তাব’
নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ মণিপুর। সংসদে এই প্রসঙ্গে কোনও আলোচনা করছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অভিযোগ বিরোধীদের। বাদল অধিবেশনের শুরু থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার দাবিতে একাধিকবার মুলতুবি হয়েছে অধিবেশন। অবশেষে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনল বিরোধী জোট। বুধবার সেই প্রস্তাব গ্রহণও করে নিয়েছেন স্পিকার ওম বিড়লা। আসলে সংখ্যার বিচারে কোনও রকম বিপদ নেই বিজেপি সরকারের। বরং বিতর্কপর্বে ‘মোদী বনাম বিরোধী’ এই বক্তব্যকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ পাবে এনডিএ।
অনাস্থা প্রস্তাবে মোদী সরকারের যে কোনও ‘ভয়’ নেই, তা ভালোভাবেই জানে বিরোধী শিবির। তা সত্ত্বেও মণিপুর ইস্যুতে কেন্দ্রকে ‘কোণঠাসা’ করার জন্যে এই পদক্ষেপ নিয়েছে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। উল্টো দিকে, নির্বাচনী আবহে কংগ্রেস সহ বাকিদের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে এই সুযোগকেই পাল্টা হিসেবে কাজে লাগাবেন মোদী। অন্তত বুধবার আইটিপিও’এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। বিজেপির তৃতীয় দফাতেও তাঁর নেতৃত্বের কথা বলে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন ২৪’এর লোকসভা নির্বাচনে জেতা নিয়ে এক ফোটাও চিন্তিত নন তিনি। উপরন্ত, নাম না করে ফের একবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘রাজতন্ত্রের’ অভিযোগ তুলেছেন তিনি। আসলে দেশের স্বার্থে নয় ‘মোদীকে হারাতেই’ কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেধেছে বাকি বিরোধীরা। আর সেই বিষয়টিকেই এবার ‘হাতিয়ার’ করতে চলেছে কেন্দ্র সরকার।
আরও পড়ুন: Parliament Monsoon Session: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব বিরোধীদের
বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবে স্পিকার ওম বিড়লা স্বীকৃতি জানালেও, এই বিষয়ে বিতর্কের দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। এই প্রসঙ্গে স্পিকার বিড়লা জানিয়েছেন, সমস্ত দলের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে সেই ঘোষণা করা হবে। অবশ্য ভোটাভুটি হলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে হারের কোনও সম্ভাবনা নেই বিজেপির।