Friday, September 20, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

assam

Love Jihad: 'লাভ জিহাদে'র মামলায় দোষীকে যাবজ্জীবন! নতুন আইন আনতে চান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা


নিউজ ডেস্ক: এবার 'লাভ জিহাদ'-এর (Love Jihad) মামলায় আরও কড়া অসম সরকার। দোষীকে দেওয়া হবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা। নয়া আইন আনছে অসমের বিজেপি সরকার। জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এদিন তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচনের সময় ‘লাভ জিহাদের’ কথা বলেছিলাম। শীঘ্রই সেই আইন আনা হচ্ছে, যাতে এই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় দোষীর।” একই সঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, অসমে ‘জমি জেহাদ’ রুখতে আরও কঠোর হচ্ছে সরকার। এবার থেকে রাজ্যে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে জমি কেনা বেচা আর সহজ হবে না। 

রবিবার গুয়াহাটিতে ছিল রাজ্য বিজেপির বৈঠক। সেখানেই নিজের বক্তৃতায় 'লাভ জিহাদ' (Love Jihad) নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। লাভ জিহাদ ছাড়াও অসম সরকার আরও বেশ কিছু বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করছে বলেও এদিন জানান তিনি। এরমধ্যে অন্যতম হল হিন্দু এবং মুসলিমদের মধ্যে সম্পত্তি বিক্রি। এবার থেকে রাজ্যে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে জমি কেনা বেচা করতে গেলে সরকারের কাছ থেকে আগে অনুমোদন নিতে হবে। হিমন্ত বলেন, ''সরকার এই ধরনের লেনদেনে বাধা দিতে পারে না। তবে সরকার ঠিক করেছে এই ধরনের লেনদেনের আগে সরকারি অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হবে।'' অর্থাৎ সরকার অনুমতি দিলে তবেই একজন হিন্দু তাঁর জমি একজন মুসলিমকে অথবা একজন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁর জমি হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়াও অসমের সরকারি চাকরি কারা পাবেন তা নিয়েও সরকার একটি নতুন নীতি (Assam law) প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে বলে জানান হিমন্ত।

এদিন এই বক্তৃতার মাঝেই হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ''প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে অসমের মানুষ সুসংবাদ পাচ্ছে। কংগ্রেসের কাছে ছাড়াইদেও মৈদামকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু তারা তা করেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে ছাড়াইদেও মৈদাম বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অসম নতুন ইতিহাস গড়তে সক্ষম হয়েছে।'' এছাড়াও তিনি বলেন, ''বিজেপি রাজ্যের মানুষের হৃদয়ে রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, তিনি সবসময় অসমের উন্নতির চিন্তা করেন। সামনেই পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমি আশা করি যে আমরা ৫টি আসনের মধ্যে অন্তত ৪টিতে জিতব। গত ৩ বছর ধরে আমরা অসমের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ২০২৬ সালে অসমে বিজেপি (BJP) ক্ষমতায় আসবেই, কেউ এটা আটকাতে পারবে না।''

Sweta Chakrabory | 11:54 AM, Mon Aug 05, 2024

Wild Animals Died: বন্যার জলে ভাসছে কাজিরাঙা! মৃত্যু শয়ে শয়ে পশুর


নিউজ ডেস্ক: বন্যায় (Assam Flood) বিপর্যস্ত অসম। ভাসছে কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্ক। কাজিরাঙার একটা বড় অংশই এখন জলমগ্ন। ডুবেছে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশও। ইতিমধ্যেই গন্ডার, বুনো মহিষ, বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ-সহ অন্তত ২০০ বন্যপ্রাণীর মৃত্যু (Wild Animals Died) হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। তাদের মধ্যে অন্তত ১০টি একশৃঙ্গ গন্ডার রয়েছে।

সোমবার বনদফতর একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, বন্যায় (Assam Flood) ১৯৮টি বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১০টি একশৃঙ্গ গণ্ডার, ১৭৯টি বিলুপ্তপ্রায় প্যারা হরিণ, বারশিঙ্গা হরিণ, একটি ম্যাকাও, দুটি অন্য প্রজাতির পাখি, একটি পেঁচা এবং ২টি সাম্বর হরিণ। তবে জানা গিয়েছে, ২টি বরা হরিণের মৃত্যু জলে ডুবে হয়নি। বন্যার কবল থেকে বাঁচার জন্য জঙ্গলঘেঁষা জাতীয় সড়ক পার হওয়ার সময় গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে। প্রতি বারই এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় উদ্যানের বন্যাপ্লাবিত অঞ্চল থেকে কার্বি পাহাড় পাড়ি দেয় বন্যপ্রাণীরা। তাদের অনেকে জাতীয় সড়কে গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারায়। অন্যদিকে বন্যপ্রাণীদের উদ্ধারে অসমের বিভিন্ন বন্যপ্রাণপ্রেমী সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকেরা ইতিমধ্যেই হাজির হয়েছেন কাজিরাঙায়।

১৯৮টি বন্যপ্রাণীর মৃত্যুর পাশাপাশি ঘরছাড়া বহু পশু। প্রতি বছরই নিয়ম করে বন্যায় ওলটপালট হয়ে যায় অসমের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের ‘জীবনচক্র’। এ বারের বর্ষাতেও তার ব্যতিক্রম হল না। দুকূল ছাপিয়ে চলে আসা ব্রহ্মপুত্রের জলে ডুবেছে জঙ্গলের বিস্তীর্ণ এলাকা। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ও ব্যাঘ্রপ্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত দুদিনে বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে বনকর্মীদের ৪৬টি ক্যাম্প এখনও জলের তলায়। ১৩০০ বর্গ কিলোমিটারের কাজিরাঙা বিশ্বে একশৃঙ্গ গন্ডারের সবচেয়ে বড় আবাসভূমি। সংখ্যায় তারা আড়াই হাজারেরও বেশি। সেই সঙ্গে ১৩৫টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারও রয়েছে অসমের এই অরণ্যে। বন্যায় তাদের অনেকেই ঘরছাড়া।

অন্যদিকে বন্যার (Assam Flood) ফলে ব্রহ্মপুত্রের পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক নদীতে বাড়ছে জলস্তর। এর ফলে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে একাধিক এলাকা। বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে কাছাড়ের বরাক নদী। সব মিলিয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসমের ২৯টি জেলা।

Sweta Chakrabory | 10:56 AM, Thu Jul 18, 2024

Assam Flood 2024: ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে অসমের বন্যা পরিস্থিতি! ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ


নিউজ ডেস্ক: ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে অসমের বন্যা পরিস্থিতি (Assam Flood situation)। লাগাতার বৃষ্টির জেরে ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার উপনদীগুলোর জল বেড়ে ফুলে ফেঁপে উঠেছে । ফলে ব্রহ্মপুত্রের জল অসমের বিভিন্ন এলাকাগুলিতে প্রবেশ করেছে৷ এর ফলে বহু গ্রাম এখনও জলের তলায়। রাজ্যে বন্যার কবলে পড়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ প্রাণহানি হয়েছে পশুদেরও৷ এছাড়া বহু মানুষ ঘরছাড়া। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। 

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অসমে বন্যা পরিস্থিতির (Assam Flood situation) আরও অবনতি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং কয়েক হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২জন প্রাণ হারিয়েছেন। বন্যার দ্বিতীয় পর্যায়ে রাজ্যের ৩৫টি জেলার মধ্যে ৩০টি জেলা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ৩০টি জেলার ৩৬১৮টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যায় তলিয়ে গিয়েছে। রাজ্যজুড়ে সবমিলিয়ে ২৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যা কবলিত জেলাগুলি হল কামরূপ, করিমগঞ্জ, ধেমাজি, দারাং, ধুবরি, ডিব্রুগড়, কাছাড়, তিনসুকিয়া, লখিমপুর ইত্যাদি। এখনও পর্যন্ত ৪৭ হাজার মানুষকে স্থানান্তরিত করে ত্রাণশিবিরে পাঠানো গিয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। 

গ্রামের পাশাপাশি কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের পরিস্থিতিও শোচনীয়। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, উদ্যানের অন্তত ৭০ শতাংশ জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। আতঙ্কে উদ্যান ছেড়ে পালাচ্ছে পশুরা। সরকারি হিসাব বলছে, কাজিরাঙায় চলতি মরসুমে গন্ডার, হরিণ-সহ ৭৭টি পশুর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে অন্তত ৬২টি হগ ডিয়ার (পারা হরিণ)। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে, ১৫ হাজারের বেশি পশু বন্যায় (Assam Flood situation)ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে ৯৪টি পশুকে। তার মধ্যে ৫০টিকে নিরাপদে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ১১টি পশু চিকিৎসা চলাকালীন মারা গিয়েছে। রাজ্যের শহরাঞ্চলগুলিও গত ৯ দিন ধরে জলের তলায়। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এ প্রসঙ্গে (Assam Flood 2024) বলেছেন, ''ক্ষতির মোকাবিলা করতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। মানুষের সমস্যার কথা শুনে সকলে মিলে তার সমাধানের চেষ্টা করছি।''

তবে নতুন করে ফের আতঙ্কে (Assam Flood situation) দিন গুনছে রাজ্যবাসী। কারণ আঞ্চলিক হাওয়া অফিস ৯ জুলাই পর্যন্ত অসমের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে৷ অসম ছাড়াও অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডেও খুব ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিসের তরফে মঙ্গলবার পর্যন্ত উচ্চ ও নিম্ন অসমের বেশ কয়েকটি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ফলে বৃষ্টি না থামলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় প্রশাসনের।

Sweta Chakrabory | 15:24 PM, Sat Jul 06, 2024

UNESCO World Heritage: অসমের মুকুটে নয়া পালক! চলতি বছরেই ইউনেস্কোর তকমা?


নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের শেষেই অসমের মুকুটে জুড়তে চলেছে নয়া পালক। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের (UNESCO World Heritage) মর্যাদা পেতে চলেছে অহম আমলের 'মায়দাম'(Assam Maidams) বা সমাধিস্থল, জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। আর অসমের এই সমাধিস্থলগুলিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ফলে রাজ্যের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রচারের জন্য আরও ভালো তহবিল পাওয়া যাবে। এছাড়াও সরকারী ও আন্তর্জাতিক সহায়তার ফলে এই সমাধিস্থলগুলি সংরক্ষণ ও সুরক্ষার জন্য প্রযুক্তিগত সহযোগিতাও পাওয়া যাবে।

অনেকটা পিরামিডের মতই আকার। এটি আসলে অহম রাজপরিবারের সমাধিস্থল। অসমে প্রায় ৬০০ বছর শাসন করেছিল অহম রাজবংশ। আজকের অসম আগে পরিচিত ছিল অহম হিসাবে। এবার সেই অহম রাজপরিবারের 'কবরস্থান' বা 'মায়দাম' ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যশালী স্থান ( UNESCO World Heritage Site) তকমা পেতে চলেছে। অনেকে এটিকে আবার 'অসমের পিরামিড'-ও বলে। বিশেষত ইট, পাথর বা মাটি দিয়ে তৈরি ফাঁপা খিলানের উপরে একটি ঢিবি তৈরি করে এই অষ্টভুজাকার সমাধিস্থলগুলি তৈরি করা হত। প্রাথমিকভাবে আসামের ছাড়াইদেও জেলায় এই সমাধিস্থলগুলি পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, ছাড়াইদেওতে ৯০ টিরও বেশি রাজকীয় সমাধির ঢিবির রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ছাড়াইদেও জেলায়, অহম সাম্রাজ্যের 'ঢিপি সমাধি ব্যবস্থা' ( mound burial system) ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যশালী স্থানে তকমা পাওয়ার জন্য প্রথম তালিকাভুক্ত হয়। জানা গিয়েছে, ১২২৮ থেকে ১৮২৬ সাল পর্যন্ত অহম রাজারা অসমে রাজত্ব করেন। ৫৯৮ বছরের শাসনকালে এই বংশে রাজা হিসাবে সিংহাসনে বসেন ৩৯ জন। এরপর ১৮২৬ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তির মাধ্যমে তাঁদের রাজত্বের অবসান হয়। 

আইসিওএসএমওএস (ICOMOS) রিপোর্ট অনুসারে অসমের সমাধিস্থলগুলির (Assam Maidams) ঐতিহ্য সংরক্ষণের প্রচেষ্টার মূল্যায়ন করে ৩২১-পাতার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে এই সমাধিস্থলগুলি সংরক্ষণের জন্য প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আধিকারিকেরা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, প্রতিনিয়ত ভারী বৃষ্টিপাত, মাটির ক্ষয় এই সমাধিস্থলগুলির ধ্বংসের কারন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই সমাধিস্থলগুলির সংরক্ষণে মাটির ক্ষয় রোধ করার জন্য কাজ চলছে। উল্লেখ্য, অসমের এই সমাধিস্থলগুলকে মিশরীয় ফারাওদের পিরামিডগুলির সাথে তুলনা করা হয়। আর এবছর ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান (UNESCO World Heritage) হিসেবে এই সমাধিস্থল নির্বাচিত হলে, আসামে তিনটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান থাকবে। বাকি দুটি কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান এবং মানস জাতীয় উদ্যান।

Sweta Chakrabory | 12:05 PM, Sat Jul 06, 2024

Assam-Manipur floods: অসম-মণিপুরের লাগাতার ভারী বর্ষণে জনজীবন বিপন্ন! মৃত বেড়ে ৪৮

নিউজ ডেস্ক: অসম ও মণিপুরের (Assam-Manipur floods) বন্যা পরিস্থিতি আরও সংকটজনক! লাগাতার ভারী বর্ষণে উত্তর-পূর্বের এই দুটি রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮। এই দুই রাজ্যে মানুষ প্রাণ যেমন হারিয়েছে, তেমনি বন্যায় ঘরবাড়ি, চাষের জমি এবং গবাদিপশুর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ এবং উদ্ধার কাজে নেমেছে প্রশাসন।

অসমএবং মণিপুর (Assam-Manipur floods) উভয় রাজ্যের নানা জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত এখনও অব্যাহত রয়েছে। ভারতের আবহাওয়া দফতর (IMD) এই সপ্তাহে সমস্ত উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে৷ ইতিমধ্যে নৌকায় করে সেনাবাহিনী, অসম রাইফেলস, রাজ্য পুলিশ, মণিপুর ফায়ার সার্ভিস, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ কর্মীরা সহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা বন্যা-দুর্গত মানুষকে উদ্ধার করার পাশাপাশি প্যাকেটজাত পানীয় জলের বোতল এবং খাবার বিতরণ করছে।

এখনও পর্যন্ত অসমে (Assam-Manipur floods) ৪৬ জন এবং মণিপুরে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার অসমে বন্যায় ডুবে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। অসমের সামগ্রিক বন্যা পরিস্থিতি এখনও সংকটজনক, কারণ ২৯টি জেলার ১৬.২৫ লাখেরও বেশি মানুষ বন্যার কবলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে, মণিপুরের ২০০০ জনেরও বেশি মানুষকে বন্যা কবলিত এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ২৮০০টি গ্রাম এখনও প্লাবিত হয়েছে এবং বন্যার জলে (Heavy Rain) ৩৯৪৫১.৫১ হেক্টর চাষের জমি প্লাবিত হয়ে রয়েছে। আসামে ৩.৮৬ লাখেরও বেশি মানুষকে, ২৪টি বন্যা কবলিত জেলায় প্রশাসনের দ্বারা নির্মিত ৫১৫টি ত্রাণ শিবির কেন্দ্রে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যার জল (Heavy Rain) মণিপুর ও অসম (Assam-Manipur floods) উভয় রাজ্যে শতাধিক রাস্তা, কয়েক ডজন সেতু এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ব্রহ্মপুত্র নদ ও এর উপনদীর জলের স্তর এই সপ্তাহে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে, যার ফলে আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চলছে। ইম্ফল নদীর পশ্চিমের সিংজামেই ওইনাম থিঙ্গেলে তার বাঁধ ভেঙ্গেছে। বৃষ্টির মধ্যে কংবা ইরং এবং ইম্ফল পূর্বের কেইরাওয়ের কিছু অংশে কংবা নদী বন্যার জলে ফুলে ফেঁপে উঠেছে। একই ভাবে উত্তর-পূর্ব রাজ্য যেমন মেঘালয় এবং অরুণাচল প্রদেশও ত্রাণ পাঠিয়ে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

Sweta Chakrabory | 11:58 AM, Fri Jul 05, 2024

Assam ends VIP culture: মুখ্যমন্ত্রীর বড় ঘোষণা! চিন্তার ভাঁজ সরকারি কর্মীদের কপালে


নিউজ ডেস্ক: এতদনি ধরে রাজ্যের বহু সরকারি কর্মীর আবাসনের বিদ্যুতের বিল মেটাত সরকার। তবে এবার থেকে সেই সুবিধা বন্ধ করা হচ্ছে বলে সম্প্রতি ঘোষণা করলেন অসমের (Assam Government) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। রবিবার তিনি ঘোষণা করেছেন যে তিনি এবং মুখ্যসচিব আগামী ১ জুলাই থেকে তাদের বিদ্যুতের বিল দেওয়া শুরু করবেন। এছাড়া একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এতদিন সেই রাজ্যের যে সকল সরকারি কর্মী এই সুবিধা পেতেন, আগামী মাস থেকে তাঁরাও আর এই সুবিধা পাবেন না।

রবিবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এখন সরকার কোনো সরকারি কর্মচারী বা রাজনীতিবিদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করবে না। এবার থেকে তাঁকে নিজেই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বার্তা পোস্ট করে তিনি বলেছেন, “আমাদের মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের বাসভবন বা সচিবালয়ের বাসভবনের বিদ্যুৎ বিল এতদিন ধরে সরকার পরিশোধ করে আসছিল। এটি ৭৫ বছর ধরে চলে আসছে, কোনও নতুন ব্যবস্থা নয়। কিন্তু এবার আমরা ভিআইপি সংস্কৃতি (Assam ends VIP culture) ভাঙছি। করদাতাদের টাকা দিয়ে আমরা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারি না।

এমন পরিস্থিতিতে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে এখন থেকে গোটা রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মচারী ও রাজনীতিবিদদের নিজেদেরই বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করতে হবে।” অর্থাৎ করদাতাদের টাকা দিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের 'ভিআইপি কালচার' খতমের কথা ঘোষণা করলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। আগামী মাস থেকেই এই জরুরি পরিষেবা পাওয়ার জন্য অসমের সরকারি কর্মীদের খসাতে হবে নিজের পকেটের টাকা।

উল্লেখ্য, এদিন মুখ্যমন্ত্রী আসাম (Assam Government) সচিবালয় কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জনতা ভবন সৌর প্রকল্প, ২.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা, গ্রিড-সংযুক্ত ছাদ এবং গ্রাউন্ড-মাউন্টেড সোলার পিভি সিস্টেমের উদ্বোধন করেন। প্রকল্পটি মাসে গড়ে ৩ লক্ষ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে এবং বিনিয়োগের পরিমাণ ১২.৫৬ কোটি টাকা ৪ বছরের মধ্যে পুনরুদ্ধার করা হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর ফলে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা মাসিক সাশ্রয় হবে।

Sweta Chakrabory | 17:52 PM, Wed Jun 19, 2024

IPS Shiladitya Cheti: ক্যানসারে মারা গিয়েছেন স্ত্রী, সহ্য করতে না পেরে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী অসমের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব


নিউজ ডেস্ক: এ যেন সিনেমা। সত্যিকারের ভালোবাসায় মানুষ কী না করে। স্ত্রীকে হারানোর শোকে এবার আত্মঘাতী হলেন অসমের একজন আইপিএস অফিসার। মৃত পুলিশ কর্তার নাম শিলাদিত্য ছেতি (IPS Shiladitya Cheti), তিনি অসম সরকারের স্বরাষ্ট্র এবং রাজনীতি দফতরের সচিব (Assam Home Secretary) ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই চলছিল আইপিএস অফিসার শিলাদিত্য ছেতির স্ত্রী‌র। ক্যানসার একেবারে শেষ পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। সম্প্রতি শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তাঁর স্ত্রী। স্ত্রীর অসুস্থতার জন্য দীর্ঘ চার মাস ধরে তিনি ছুটিতে ছিলেন। এরপর মঙ্গলবার সন্ধেয় মারা যান ছেতির স্ত্রী। সেই শোক সহ্য করতে না পেরে আইসিইউ’‌র ভিতরেই স্ত্রীর দেহের সামনে সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি।

হাসপাতাল সূত্রে খবর,স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি চিকিৎসক ও নার্সকে জানিয়েছিলেন, কিছুক্ষণ স্ত্রীর দেহের সামনে তাঁকে একা থাকতে দিতে। এর কিছুক্ষণ পরেই গুলির আওয়াজ শোনা যায়। ঘরে ঢুকতেই দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তিনি। চিকিৎসকরা চেষ্টা করলেও বাঁচানো যায়নি আইপিএস অফিসারকে।

এ প্রসঙ্গে অসম পুলিশের ডিজি জিপি সিং জানিয়েছেন, স্ত্রীর মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই আত্মঘাতী হন আইপিএস অফিসার (IPS Shiladitya Cheti)। অসম পুলিশের পক্ষ থেকে শিলাদিত্যের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে অসমের স্বরাষ্ট্র এবং রাজনীতি দফতরের সচিব পদে দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি অসমের তিনসুকিয়া এবং সোনিতপুর জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন। বর্তমানে এই আইপিএসের আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Sweta Chakrabory | 13:27 PM, Wed Jun 19, 2024

Largest Indian Family: ১২০০ সদস্য ৩৫০ ভোটার হলেও সরকারী সুবিধে থেকে বঞ্চিত সর্ববৃহৎ পরিবার

নিউজ ডেস্ক: এক পরিবারে ১২০০ সদস্য। সেই বাড়িতে সাড়ে ৩৫০ জন ভোটার। বর্তমান যুগের ছোট্ট পরিবারের সংজ্ঞা উলটাপালট করে দিচ্ছে এই পরিবার। এই যুগে এমনটা ভাবাই যায় না। একান্নবর্তী পরিবারও হাজারের বেশি সদস্য অতীত সময়ের জন্য ছিল এক আশ্চর্য ঘটনা। এমনই ঘটনা ঘটিয়েছেন অসমের (Assam) সোনিতপুর (Sonitpur) লোকসভা কেন্দ্রের ফুলগুড়ি নেপালি পাম এলাকার বাসিন্দা রন বাহাদুর থাপা।

কয়েক পুরুষ যাবত এই এলাকাতেই তাঁদের বাস। দেশের সবচেয়ে বেশি ভোটার থাকার রেকর্ডধারী এই পরিবার। জানা গেছে রন বাহাদুর থাপা ইতিমধ্যে এই প্রয়াত হয়েছেন। রেখে গেছেন ১২টি ছেলে এবং ৯টি মেয়ে। শুধু তাই নয় তার স্ত্রী সংখ্যাও পাঁচ জন। চলতি মাসের ১৯ তারিখ অসমের সোনিতপুর লোকসভা ভোটের (LOksabha Seat) প্রথম দফার নির্বাচন হবে। এদিনই নিজেদের ভোট দেবেন থাপা পরিবারের সাড়ে ৩৫০ জন সদস্য। রন বাহাদুরের ১৫০ জনের বেশি নাতি নাতনি। প্রয়াত রন বাহাদুর থাপার ছেলে তিল বাহাদুর ছাপা জানিয়েছেন তার বাবা ১৯৬৪ সালে এখানে বাড়ি তৈরি করেছিলেন। বাবার পাঁচ স্ত্রী ছিলেন এবং তারা ১২ ভাই এবং ৯ জন বোন। সবমিলিয়ে ৬৫ জন নাতি নাতনি ছিল। সংখ্যা তত্ত্বের বিচারে রেকর্ড গড়া এই পরিবার আজও রাজ্য কিংবা কেন্দ্র সরকারের কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সেই কারণে বলে আফসোস করেন এই পরিবারের সদস্যরা।

যেহেতু রন একাধিক বিবাহ করেছিলেন তাই এই পরিবারের সদস্যরা সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তিল বাহাদুর জানিয়েছেন পরিবারের ছেলে মেয়েরা উচ্চশিক্ষা পেলেও সরকারি চাকরি পাননি। তিনি বলেন, “আমাদের পরিবারের অনেক সদস্য রাজ্য ছেড়ে বাইরে চলে গেছেন। কিছু সদস্য বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) চলে গেছেন। সেখানে প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছেন কেউ কেউ। আবার দিনমজুরের কাজ করছেন অনেকে। কিন্তু সরকারি চাকরি কেউই করতে পারেনি।” জানা গেছে এই পরিবারের আদিপুরুষ রন বাহাদুর থাপা ১৯৯৭ সালে একটি বিশাল পরিবার রেখে মারা যান। তার ছেলেরাও বাবার পথের পথিক হয়েছেন। এখন ৬৪ বছর বয়সী সারকি বাহাদুর থাপার ৩ স্ত্রী ও ১২ জন সন্তান রয়েছেন।

তবে এই পরিবারের কেউই বিয়ে করার ব্যাপারে রনের রেকর্ড ভাঙতে পারেনি। মোট ৯ টি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে গঠিত সোনিতপুর লোকসভা কেন্দ্রে। ১৬ লক্ষ ২৫ হাজারের বেশি ভোটার রয়েছে এই কেন্দ্রে। রয়েছে ১৬.২৫ লাখেরও বেশি ভোটার। অসমের মাত্র ১৪ টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। মোট তিন দফায় ভোতগ্রহণ হবে। ১৯ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল এবং ৭ মে হবে নির্বাচন। অসমে করিমগঞ্জ, কোকরাঝাড়, কালিয়াবোর, লখিমপুর, ডিব্রুগড়, বারপেটা, শিলচর, গুয়াহাটি, জোড়হাট সহ মোট ১৪ টি লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে গঠিত। ১৪ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১১ টি আসন অসংরক্ষিত, দুটি তফসিলি উপজাতি প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত এবং একটি তফসিলি জাতির প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।

Sweta Chakrabory | 16:02 PM, Thu Apr 18, 2024
upload
upload