Thursday, September 19, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

baruipur

Baruipur Rajbari: ৩০০ বছরের সাবেক পুজোয় রুপোর পাখায় বাতাস, রুপোর সম্মার্জনীতে ধুলো পরিষ্কার, রীতি মেনে চলছে সব


নিউজ ডেস্ক: জমিদারি না থাকলেও, কোনও অংশে বনেদিয়ানাতে খামতি নেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের রায়চৌধুরী (Baruipur Rajbari) বাড়ির দুর্গাপুজোয়। রুপোর পাখায় বাতাস হোক কিংবা রুপোর ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা সাফ, সবই চলছে রীতি মেনে। জেলার অন্যতম পুরনো পুজো এটি। বয়স ৩০০ বছরের বেশি। ব্রিটিশ শাসক লর্ড কর্নওয়ালিশের আমলে জমিদারির পত্তন হয় রায়চৌধুরীদের। সেই থেকেই শুরু হওয়া দুর্গাপুজো নিজস্ব জৌলুস নিয়ে আজও অমলিন।
বাড়ির নিয়ম অনুযায়ী, রুপোর পাখা দিয়ে দেবীকে হাওয়া দিতে-দিতে এবং রুপোর ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা পরিস্কার করতে-করতে প্রতিমাকে বিসর্জন করতে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্য আরেক নিয়ম হল দশমীতে নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো। সরকারিভাবে নীলকণ্ঠ পাখি ধরা ও বিজয়া দশমীতে তা ওড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, আজও এটাই প্রধান বিশেষত্ব এই বনেদি বাড়ির পুজোর। দশমীতে নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ালে, সে গিয়ে কৈলাসে শিবকে খবর দেবে দেবী দুর্গা মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসের দিকে রওনা দিয়েছেন। এই বিশ্বাস থেকে আজও বিসর্জনের পর বারুইপুরের আদি গঙ্গার সদাব্রত ঘাট থেকে নীলকণ্ঠ পাখি উড়িয়ে আসছে রায়চৌধুরীরা (Baruipur Rajbari)। প্রতি বছর দশমীতেই প্রতিমা বিসর্জন হয়। রায়চৌধুরী বাড়ির প্রতিমা বিসর্জন হওয়ার পর এলাকার বাকি প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে বর্তামানে এই পুজোর দায়িত্বে থাকা রায়চৌধুরী (Baruipur Rajbari) পরিবারের সদস্য অমিয়কৃষ্ণ রায়চৌধুরীর কাছ থেকেই জানা গিয়েছে, শাতব্দী প্রাচীন পুজোর ইতিহাস। তিনি জানিয়েছেন, ''তিনশো বছর আগে রাজা রাজবল্লভ রায়চৌধুরী এই দুর্গাপুজোর সূচনা করেছিলেন। এখনও তিন জন পুরোহিত রীতি মেনে এখানে পুজো করেন।''
মহালয়ার পরদিন অর্থাৎ প্রতিপদ থেকেই শুরু হয়ে যায় দেবীর আরাধনা। এখনও সপ্তমী ও অষ্টমীতে পাঁঠা বলি হয় সেখানে। নবমীতে হয় আখ ও চাল কুমড়ো বলি। উৎসবের দিনগুলি সমস্ত আত্মীয়স্বজন আসেন এই বাড়িতে (Baruipur Rajbari)। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখনও বহু মানুষ আসেন এই পুজো দেখতে। সূদূর জয়নগর, মন্দিরবাজার, কুলতলি থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী আসেন তিনশো বছরের বেশি প্রাচীন এই দুর্গাপুজো দেখতে। সত্যি বলতে কি, চারপাশে হাজার একটা বারোয়ারী পুজোর ভিড়, থিমের চমক থাকলেও আজও অমলিন বারুইপুরের রায়চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপুজো।

Sweta Chakrabory | 16:30 PM, Fri Sep 13, 2024

Baruipur: রোহিঙ্গার খোঁজে এবার কেন্দ্রের তথ্যানুসন্ধানী দল , খোঁজ মিলল আদেও,নাকি হাতছাড়া?

নিউজ ডেস্ক: মায়ানমারের গৃহযুদ্ধের আঁচ ছড়াচ্ছে এরাজ্যেও। রোহিঙ্গার খোঁজে এবার কেন্দ্রের তথ্যানুসন্ধানী দল এল দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে। শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পৌঁছয় বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের হাড়দহ এলাকায়। এই এলাকায় বেশ কিছু রোহিঙ্গা পরিবার বসবাস করছে বলে কেন্দ্রীয় দলের কাছে খোঁজ ছিল।

সেই সূত্র ধরে এই গ্রামে ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল আসে। শনিবার তল্লাশি চালিয়ে সেখানে রোহিঙ্গাদের খোঁজ মেলে নি। তবে বসবাসের জায়গায় রাতের খাবারের চিহ্ন মিলেছে। তদন্ত আরও জোরালো করতে শনিবার বারুইপুর ও কুলতলি এলাকার বেশ কয়েকটি স্থানে যাবে কেন্দ্রের প্রতিনিধিদলটি। তদন্তের সাপেক্ষে এই সফরের বিস্তারিত রিপোর্ট দেবে কেন্দ্রীয় দলটি।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে মায়ানমারের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিদ্রোহীরা একের পর এক প্রদেশ দখল করে নিয়েছে। রাজধানী নেপিডো এবং আগের রাজধানী ঈয়াঙ্গনের মতো বড় শহর দুটি বাদে মাঝারি মানের বেশিরভাগ শহরই এখন বিদ্রোহীদের দখলে। গত মাসে দেশটির রাষ্ট্রপতি মিন্ট সোয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, বিদ্রোহীরা যেভাবে শক্তি সঞ্চয় করে এগচ্ছে তাতে মায়ানমার ভেঙে যেতে পারে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাষ্ট্রপতির আশঙ্কা ইতিমধ্যেই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। ভাঙনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণাই বাকি। এখনই প্রায় ৫২ শতাংশ ভূখণ্ড বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির দখলে। ফলে দেশে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অচল হয়ে পড়েছে যানবাহন, বিদ্যুৎ, পানীয় জল এবং জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা।

এই পরিস্থিতিতে লাখ লাখ মানুষ ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তে এসে জড়ো হয়েছে। তারা এই দুই দেশে আশ্রয় প্রার্থী। সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি শতাধিক সেনা জওয়ান ও অফিসারও ভারত ও বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এবার সেই রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর খোঁজেই কেন্দ্রের তথ্যানুসন্ধানী দল তদন্তে নেমেছে।

Sweta Chakrabory | 15:00 PM, Sat Feb 24, 2024
upload
upload