Thursday, September 19, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

birbhum

Kaushiki Amavasya 2024: কৌশিকী অমাবস্যায় সেজে উঠেছে কঙ্কালীতলা, কথিত আছে এই তীর্থে এলে মনস্কামনা পূর্ণ হয়


নিউজ ডেস্ক: কৌশিকী অমাবস্যায় (Kaushiki Amavasya 2024) সেজে উঠেছে বোলপুরের কঙ্কালীতলা। এবার সোমবার ভোরে এই তিথি শুরু হয়ে পরের দিন সকাল পর্যন্ত থাকছে। আগের দিন যেহেতু ছু’টি তাই রবিবার থেকেই ভক্তের ঢল নামেছে কঙ্কালীতলায়। মহাপীঠ তারাপীঠের মতোই বোলপুরের কঙ্কালীতলা সতীপীঠ। অমাবস্যার বিশেষ তিথি কৌশিকী অমাবস্যাকে ঘিরে সেজে উঠেছে কঙ্কালীতলা।

কথিত আছে, কঙ্কালীতলায় সতীর কাঁক অর্থাত্‍ কোমর পড়েছিল। তখন থেকেই এই তীর্থের নাম কঙ্কালীতলা। এই পুজোর সঙ্গে জড়িত আছে নানা পৌরাণিক কাহিনি। কৌশিকী অমাবস্যার (Kaushiki Amavasya 2024) পবিত্র লগ্নে তারাপীঠের মন্দিরের ন্যায় কঙ্কালী মন্দিরেও বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। কথিত আছে সাধক বামাক্ষ্যাপা, ১২৭৪ বঙ্গাব্দে কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠ মহাশ্মশানে শ্বেতশিমূল বৃক্ষের তলায় সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। মা তাঁকে নিরাশা করেনি। ধ্যানমগ্ন বামাক্ষ্যাপা এদিন তারা মায়ের আবির্ভাব পান। এছাড়াও শোনা যায়, এই তিথিতে কৌশিকী রূপে মা তারা বিশেষ সন্ধিক্ষণে, শুম্ভ- নিশুম্ভ নামক অসুরদের দমন করেছিলেন। সেই নাম থেকেই 'কৌশিকী অমাবস্যা' নামটি এসেছে। আবার আজকের এই দিনে দশ মহাবিদ্যার দ্বিতীয়া স্তরের অন্যতম দেবী ‘তারা’ মর্ত ধামে আবির্ভূত হন৷ অন্যদিকে কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amavasya 2024) তিথি উপলক্ষ্যে সেজে উঠছে তারাপীঠ মন্দিরও।

তারাপীঠে সব থেকে বড় উৎসব কৌশিকী অমাবস্যা। এই উৎসব মানেই লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম। বিশেষ এই তিথিতে পুণ্যলাভের আশায় ফিবছর লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী ভিড় জমান। যা সামাল দিতে কালঘাম ছোটে পুলিসের পাশাপাশি মন্দির কমিটির। এবার আরজিকর কাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিতেও মায়ের কাছে পুজো দেন অনেক ভক্ত। সোমবার সন্ধ্যা হতেই মন্দিরের চেহারা পাল্টে যাবে। নানা রঙের আলোর ছটা গর্ভগৃহের দেওয়ালে ফেলা হবে। সেই সঙ্গে গোটা মন্দির চত্বর ফুল ও আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে তারাপীঠের জনবহুল মোড়গুলিতে ওয়াচ টাওয়ারের পাশাপাশি জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হচ্ছে। যাতে ভিড়ে যাঁরা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না, তাঁরা এই স্ক্রিনের মাধ্যমে দেবীর পুজো ও আরতি দর্শন করতে পারবেন। সেই সঙ্গে পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ২৭০০ পুলিশ কর্মী। বিশেষ নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে শ্মশান চত্বরকে।

এদিকে সতীপীঠ বোলপুরের কঙ্কালীতলাতেও এবার ভিড় বাড়বে বলে আশাবাদী মন্দির কমিটি। তাই তাদের পক্ষ থেকেও নিরাপত্তার সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আগত ভক্ত ও সাধুসন্তদের সুবিধার্থে প্যান্ডেল খাটানো হয়েছে। একাধিক অস্থায়ী হোমযজ্ঞ করার জায়গায় ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে গোটা মন্দির চত্বরজুড়ে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ।

Sweta Chakrabory | 18:21 PM, Mon Sep 02, 2024

Birbhum: বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে রাজ্য জুড়ে চলছে হকার উচ্ছেদ অভিযান, তুলকালাম বীরভূমে


নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই কলকাতা থেকে কোচবিহার— সারা বাংলায় ফুটপাথ দখলমুক্ত করার অভিযানে নেমেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সেই অভিযানের তৃতীয় দিন। তাই সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় সরকারি জমি দখল করে তৈরি বেআইনি অস্থায়ী নির্মাণ সরাতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। এই নিয়ে বীরভূমের (Birbhum) কয়েক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা। রামপুরহাটে-সিউড়িতেও শুরু হয় তুলকালাম। আর এর পরেই হকার উচ্ছেদের (Hawker Eviction) প্রতিবাদে পুরসভার সামনে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি।

 বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ রামপুরহাটে ফুড পার্কে বুলডোজার নিয়ে জবরদখল উচ্ছেদে নামে স্থানীয় প্রশাসন। রামপুরহাট পুরসভার ১৭ এবং তিন নম্বর ওয়ার্ডে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রশাসনের তরফে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়ার সময়ই ওই ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর এবং কয়েক জন ব্যবসায়ীর সঙ্গে বচসা বাধে পুলিশের। ধাক্কাধাক্কিও হয়। বিক্ষুব্ধদের দাবি, কোনও আগাম নোটিশ না দিয়েই পুলিশ উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে। যদিও পুলিশি তৎপরতায় পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।

রামপুরহাটের পাশাপাশি বিক্ষোভের ছবি উঠে আসে সিউরিতেও। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরেই গতকাল থেকে সিউড়ি শহর জুড়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে পুরসভা৷ কেবল সিউড়ি নয় বৃহস্পতিবার জেলার একাধিক পুরসভায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।

এবার হকার উচ্ছেদ নিয়ে সরব বিজেপি। উচ্ছেদ অভিযানের (Hawker Eviction) প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয় বিজেপি। তারপরেই পুরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা সহ অন্যান্যরা। বিজেপির দাবি, সরকারি জমি জবর দখল হওয়া উচিৎ নয় এবং সরকারি জমি দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিলে আমাদের সমর্থন থাকবে। কিন্তু জাতীয় হকার নীতি অনুযায়ী সরকার এভাবে হঠাৎ করে উচ্ছেদ করতে পারেনা। জমি ডিমারকেশন করতে হয়। সাতদিন নুন্যতম সময় দেওয়া উচিৎ। প্রশাসন এভাবে হঠাৎ করে বুলডোজার চালাতে পারেনা। হকারদের পুনর্বাসন করতে হবে সরকারকে। একপেশে পদক্ষেপ নিয়ে হকার উচ্ছেদ করা যাবেনা। সিউড়ির মীনভবন পর্যন্ত রাস্তা আগে করা উচিৎ। পুনর্বাসন না দিলে বিজেপির আন্দোলন চলবে। এ প্রসঙ্গে জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ তোলেন যে, টাকার বিনিময়ে হকারদের বসানো হয়।

এ প্রসঙ্গে রামপুরহাটের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘আমাদের কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। আমাকে দোকান থেকে জিনিসপত্রও বার করতে দেয়নি। তার আগেই ভেঙে দিল। ছোট দোকানগুলো ভাঙছে (Hawker Eviction)। কিন্তু বড় দোকানগুলোতে কিছু করা হচ্ছে না। আমরা গরিব মানুষ। আমি কোথায় গিয়ে ব্যবসা করব? ছেলেমেয়েদের মুখে কী ভাবে খাবার তুলে দেব? কালকে রাতে শুনেছিলাম ভাঙবে। একটু তো সময় দিতে হবে।’’

Sweta Chakrabory | 15:41 PM, Thu Jun 27, 2024

Hanuman Jayanti: হনুমান জয়ন্তীতে কীর্তন চলাকালীন রমজানের নেতৃত্বে হামলা

  নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) পর এবার হনুমান জয়ন্তীর (Hanuman Jayanti) অনুষ্ঠানেও দুষ্কৃতীদের হামলা। রামনবমীতে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) হামলা হয়েছিল। হনুমান জয়ন্তীতে ঘটনাস্থল বীরভূম (Birbhum) জেলায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বীরভূম জেলার সিউড়ি (Siuri) বিধানসভার বারুইপুর গ্রামে হরিসভা চলাকালীন হনুমান মন্দিরে হামলা করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় দুষ্কৃতী জনৈক রমজান ও তাঁর ভাইদের বিরুদ্ধে। মন্দিরের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত ও স্থানীয় মহিলাদের শ্লীলতাহানি (Molestation) ও মারধর করার অভিযোগ রয়েছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সূত্রে খবর দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রামবাসীদের দাবি সকল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে। ঠিক কী হয়েছিল: জানা গেছে এদিন সন্ধ্যায় বারুইপুর গ্রামের হনুমান মন্দিরে সন্ধ্যার সময় হরিনাম সংকীর্তন হচ্ছিল। সেই সময় গ্রামেরি এক দুষ্কৃতী রমজান তাঁদের ভাই ও সাগরেদদের নিইয়ে এসে হরিনাম সংকীর্তন বন্ধ করতে বলে।

দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের রীতি হিসেবে চলে আসা সংকীর্তনে রমজানের কী সমস্যা জানতে চাওয়া হলে সে বলে বন্ধ করতে বলেছি তাই বন্ধ করতে হবে। কার সমস্যা কী সমস্যা সেসব পরে হবে। রমজানের গা জোয়ারি কথায় প্রতিবাদের এগিয়ে আসেন সংকীর্তনের উপস্থিত মহিলারা। রমজান। তাঁর ভাই ও দলবল মহিলাদের কাপড় ধরে টানাটানি করে। কয়েকজন জুতো পড়ে মন্দিরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। মহিলা ও পুরুশ সকলে প্রতিবাদ করে তাঁদের মারধর করে ওই দুষ্কৃতীরা। পুলিশের পদক্ষেপ: এর পর গ্রামবাসীরা পুলিশকে ফোন করে। কিন্তু পুলিশ আসতে দেরী করে বলে অভিযোগ। ধরপাকড়ের নামে মাত্র দুজনকে পুলিশ পাকড়াও করে। বাকিরা পালিয়ে যায়।

এর পর বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ শান্তি রক্ষার্থে গ্রামে উপস্থিত হন। তাঁরা স্থানীয়দের কোন প্ররোচনায় পা দিতে বারণ করেন। এবং গ্রামবাসীদের সজাগ থাকতে বলেন।

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ পাশেই একটা ফাঁড়ি আছে। কিন্তু ফাঁড়ি দুষ্কৃতীদের ধরবে কী ওটাই অসামাজিক কাজের আখড়া। দুজনকে ধরেছে বলেছে। আমাদের দাবি, “এফআইআর দায়ের করে সকলকে গ্রেফতার করতে হবে। দারসারা তদন্ত করলে চলবে না। আগেও এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানিমূলক কথার জন্য কিছু দুষ্কৃতি সাহস পেয়েছে। এই পরিস্থিতি বাংলার জন্য ক্ষতিকারক।”

Sweta Chakrabory | 11:57 AM, Wed Apr 24, 2024

Birbhum: বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে


নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট(lok sabha vote 2024), হাতে গুনে আর কয়েকদিন বাকি। ইতিমধ্যেই ভোট প্রচারের মাধ্যমে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছে সব দলের প্রার্থীরাই। আর এরই মধ্যে আবারও আঙুল উঠল রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। এবার অভিযোগ বিজেপি(BJP) কর্মীর ওপর রাতের অন্ধকারে হামলা।

ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে বীরভূমের(birbhum) মহম্মদ বাজার এলাকায়। মহম্মদ বাজারের(mohammad bazar) কপিস্টার গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারকাটা গ্রাম থেকে দলীয় বৈঠক সেড়ে বাড়ি ফেরার সময় তিন বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরেই রবিবার রাতে আহত বিজেপি কর্মীদের ভর্তি করা হয়েছে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে(suri super speciality hospital)।

তাদের অভিযোগ অন্ধকার রাস্তায় বাইক নিয়ে আসার সময় কয়েকজন তৃণমূলের(TMC) কর্মী তাদের পথ আটকায় এবং বাঁস ও রড দিয়ে মারধর করা হয় তাদের। এরপর কোনক্রমে সেখান থেকে তারা পালিয়ে আসে মহম্মদ বাজারে। পরে তাদের আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।

ঘটনার খবর পৌঁছাতেই তাদের দেখতে হাসপাতালে এসে পৌঁছান বীরভূম বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা(Dhruba saha)। তবে কেবল জেলা সভাপতি নয়। সোমবার সকাল হতেই আহতদের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরও(debashis dhar)।

এ প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, "সম্মানীয় সাধারণ সম্পাদক নরেন মিস্ত্রী উনি মিটিং করে ফিরছিলেন,এই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পার্টির সাধারণ সম্পাদককে আক্রমণ করে। আমাদের সভাপতি প্রসেনজিৎ দত্ত ও আমদের যুব নেতা আক্রান্ত হয়। আমরা থানায় কমপ্লেন করেছি, এবং তাদের কালকের মধ্যে যদি অ্যারেস্ট(arrest) না করা হয়,ভারতীয় জনতা পার্টি আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব। "

Sweta Chakrabory | 13:14 PM, Mon Apr 08, 2024
upload
upload