Friday, September 20, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

donald trump

US President Election 2024: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ঘোষণা


নিউজ ডেস্ক: মৃত্যুর দোরগোড়া থেকে ফিরে ফের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। দিনদুয়েক আগেই নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ‘গুলিবিদ্ধ’ হয়েছিলেন। এবার সরকারিভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পদপ্রার্থী হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রথম ব্যক্তি যিনি যুক্তরাষ্ট্রে তিনবার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হচ্ছেন। সেই সঙ্গে তিনি বেছে নিলেন নয়া রানিং মেট, অর্থাৎ ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে। তিনি নিজেই সেই নাম প্রস্তাব করেন। ট্রাম্পের সহাকারী হওয়ার জন্য নির্বাচনে লড়বেন ৩৯ বছর বয়সি জেডি ভ্যান্স।

চলতি বছরের শেষেই আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন (US President Election 2024) রয়েছে। তবে ট্রাম্পই (Donald Trump) যে আসন্ন নির্বাচনে তাঁর দল রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী, তা এক প্রকার নিশ্চিতই ছিল। সোমবার সেই খবরেই সিলমোহর পড়ল। এদিন মিলাউকিতে ছিল রিপাবলিকানদের সম্মেলন। সেখানে কার্যত নায়কের মতো করে বরণ করে স্বাগত জানানো হয় মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে আসা ট্রাম্পকে। রিপাবলিকান পার্টির এই জাতীয় সম্মেলনেই আনুষ্ঠানিক ভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে মনোনীত করা হয়। সম্মেলনে ভোটাভুটিতে প্রায় আড়াই হাজার প্রতিনিধির সবকটি ভোটই পেয়েছেন ট্রাম্প। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেও ১ হাজার ২১৫টি ভোটের (US President Election 2024) দরকার ছিলো ট্রাম্পের। নিজের ছেলে এরিক ট্রাম্প যখন ফ্লোরিডার প্রতিনিধিদের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন তখনই চূড়ান্ত হয়ে যায় ট্রাম্পের প্রার্থিতা। তুমুল করতালি, হর্ষধ্বনি ও বাদ্য বাজিয়ে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানান সকলে।

এর আগেও একাধিক বার সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন ওহাইওর সেনেটর জেডি ভ্যান্স। পেশায় আইনজীবী ভ্যান্স ২০২৩ সালে ওহাইওর সেনেটর হিসাবে নির্বাচিত হন। একটা সময় তাঁকে ট্রাম্পের (Donald Trump) সবচেয়ে বড় সমালোচক বলে মনে করা হত। এমনকি ট্রাম্পকে ‘আমেরিকার হিটলার’ বলেও অভিহিত করেছিলেন ভ্যান্স। তবে ২০২১ সাল থেকে ভ্যান্স এবং ট্রাম্পের মধ্যে বরফ গলতে শুরু করে। ফলে একসময় ট্রাম্পের ঘোরতর বিরোধী ভ্যান্স এবার 'বন্ধুর' ভূমিকায় থাকবেন।

এ প্রসঙ্গে সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প একটি পোস্ট করে লেখেন, ‘‘ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে জেডি আমাদের সংবিধানের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন। আমাদের সেনাবিহিনীর পাশে দাঁড়াবেন। আমেরিকাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমার পাশে থাকবেন।’’

Sweta Chakrabory | 11:44 AM, Tue Jul 16, 2024

Donald Trump: গুলিবিদ্ধ হওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের তালিকা দীর্ঘ

নিউজ ডেস্ক: পেনসিলভেনিয়ায় দলের প্রচার করার সময় ট্রাম্পের (Donald Trump) কান ঘেঁষে বেরিয়ে গেল গুলি। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকায় ভোটের প্রচারে রাজনৈতিকদের জনসংযোগের সময়, এমনকি রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন গুলিবিদ্ধ হওয়ার গুলিবিদ্ধ হওয়ার নজির রয়েছে। ভোটের এক বছর আগে জনসংযোগে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন জন এফ কেনেডি।তাঁর ভাইপো রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র,ট্রাম্পের সাহসকে কুর্নিশ জানিয়েছেন রবার্ট জুনিয়রের বাবা রবার্ট এ কেনেডি প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে ছিলেন তিনিও গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন

খুন হওয়া প্রথম প্রেসিডেন্ট আব্রাহম লিঙ্কন  

আমেরিকায় (America) প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সর্বপ্রথম নিহত হয়েছিলেন আব্রাহাম লিঙ্কন। যিনি ওই দেশে  কয়েক শতক ধরে চলে আসা ঘৃণ্য দাস প্রথা সমাপ্ত করেছিলেন। ১৮৬৫ সালের ১৪ এপ্রিল ওয়াশিংটনে থিয়েটার দেখার সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে মাথার পিছনে গুলি করা হয়েছিল। পরের দিন হাসপাতালে ১৪ই এপ্রিল তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর ১৮৮১ সালের ২ জুলাই ওয়াশিংটনে একটি স্টেশনে ট্রেন ধরতে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন জেমস গারফিল্ড। সবে মাত্র ছয় মাস হয়েছিল তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। তাঁর বুকে গুলি লেগেছিল দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর মৃত্যু হয় জেমস গারফিল্ডের। মার্কিন প্রেসিডেন্টদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ইতিহাস এখানেই থেমে থাকে নি। এরপর ১৯০১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের বাফেলোতে একটি সভার পর লোকজনের সঙ্গে হাত মেলানোর সময় উইলিয়াম ম্যাককিনলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। কিছুদিন চিকিৎসাত থাকার পর ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ তম প্রেসিডেন্টের।

খুন হওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টদের তালিকা দীর্ঘ  

১৯৩৩ সালে মায়ামিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে গিয়েছিলেন ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট । হুডখোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তিনি।তাঁকে লক্ষ্য করেও পরপর গুলি ছুটে আসে। যদিও বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি।১৯৫০ সালে হোয়াইট হাউসের কাছে বেয়ার হাউসে ছিলেন তৎকালীন (America) প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস ট্র্যুম্যান সেই বাড়িতে ঢুকে গিয়ে গুলি চালান দুইআতায়ী। আমেরিকার ৩৩ তম প্রেসিডেন্ট প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন সেবার।আততায়ী এবং হোয়াইট হাউসের এক রক্ষী নিহত হয়েছিলেন এরপর ১৯৬৩ সালের নভেম্বরে আমেরিকার ডালাসে জনসংযোগে গিয়েছিলেন ৩৫ তম প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি।তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জ্যাকলিন কেনেডি। হুডখোলা লিমুজিনে চড়ে জনসংযোগ করছিলেন তিনি সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে পার্কল্যান্ড  মেমোরিয়াল হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁ প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগন, জেরাল্ড ফোর্ড, জর্জ ডব্লিউ বুশকে লক্ষ্য করেও গুলি করা হয়েছিল কিন্তু তাঁরাও প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) মতই

প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরাও অতীতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন (Donald Trump)

ট্রাম্পের মতই আমেরিকার (America) প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের লক্ষ্য করে অতীতে গুলি করা হয়েছে ১৯১২ সালে মিলওয়াওকিতে প্রচারে গিয়েছিলেন থিওডোর রুজভেল্ট। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছিল ডেমোক্র্যাটের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী দৌড়ে ছিলেন রবার্ট এফ কেনেডি। ১৯৬৮ সালে তাঁকেও গুলি করে খুন করা হয় সেই রবার্টের ছেলে রবার্ট জুনিয়র বলেন,“ট্রাম্পের (Donald Trump) সাহস অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তাঁর পরিবারকে আমি বার্তা পাঠিয়েছিতিনি সুস্থ রয়েছেন, জেনে আমি স্বস্তি পেয়েছি। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।”

 

 

Pankaj Kumar Biswas | 19:17 PM, Sun Jul 14, 2024
upload
upload