নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কারচুপির অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে জামিন পেলেও এবার সম্পত্তি নিয়ে ফের ফাঁসলেন আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। একটি সূত্রে খবর, ২০১৪ সালে রাজনীতিতে প্রবেশের ১ বছর আগে এবং রাষ্ট্রপতি হওয়ার ২ বছর আগে পর্যন্ত তাঁর মোট সম্পত্তির মূল্য বৃদ্ধি হয়েছিল ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলের আইনজীবী এমন অভিযোগ এনেছেন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, লেটটিয়া জেমস নামের এক ডেমোক্র্যাট নেতা ট্রাম্পের সংস্থার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের অভিযোগ আনেন।
একটি সরকারি হিসেব দেখিয়ে তাঁর দাবি, ২০১১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যে কোনও বছরে ট্রাম্পের বাৎসরিক সম্পত্তির মূল্য বৃদ্ধি ২.৬ বিলিয়ন ডলারের অধিক হবে না। বরং এর চেয়ে অনেকটাই কম হওয়ার সম্ভাবনা। এদিকে স্টেট ফাইলিং অনুসারে, উক্ত ১০ বছরের আর্থিক বিবৃতি সংশোধন করা হলে ট্রাম্পের বিবৃত সম্পত্তির মোট মূল্য বছর প্রতি ১৭% থেকে ৩৯% পর্যন্ত কমবে। জেমস-এর আইনজীবী জানান, ট্রাম্পের সংস্থা অসাধু উপায়ে সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ করেছে, এরপর সেগুলি ব্যাঙ্ক এবং বীমাকারীদের প্রতারণা করার জন্য ব্যবসায়িক লেনদেনে বারবার ব্যবহার করেছে।
২৫০ মিলিয়ন ডলারের জরিমানা-সহ ট্রাম্প এবং তাঁর সন্তানদের নিউইয়র্কে ব্যবসা করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার আবেদন জানিয়েছেন জেমস। যদিও অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। রাজনৈতিক প্রতিহংসার আরোপ এনে তাঁর প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কলিপ্ত করার চেষ্টা চলছে বলে পালটা দাবি করেন ট্রাম্প। যদিও সম্পত্তির পরিমাণ বাড়িয়ে দেখানো নিয়ে কিছু মন্তব্য করেননি ট্রাম্প, বরং জেমসের বিরুদ্ধেও একটি মামলা করেছেন তিনি।