নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী শহর কেপটাউনকে বিশ্বের প্রথম জলহীন শহর হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। কারন কেপটাউন এর সরকার ১৪ এপ্রিল, ২০২৪ এর পরে জল সরবরাহ করতে অপারগতা প্রকাশ করে। এরপরেই সেখানে সরকারী সরবরাহে জলে স্নান করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পাশাপাশি যারা জল অপচয় করেন, এরকম দশ লক্ষ মানুষের জল-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার প্রস্তুতি চলছে। ঠিক করা হয়েছে ভারতে যেভাবে পেট্রোল পাম্পে গিয়ে পেট্রোল কেনা হয়, একইভাবে কেপটাউনে জলের ট্যাঙ্কার থাকবে যেখানে ২৫ লিটার জল পাওয়া যাবে, বেশি জল চাইলে বা জল লুটপাটকারীদের মোকাবেলা করার জন্য পুলিশ ও সেনা সদস্যদের মোতায়েন করা হবে।
তবে বিশ্বে এই দুঃখজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন যে কাউকেই করতে হতে পারে, তাই অল্প পরিমাণে জল ব্যবহার করে, এখন থেকেই জলের অপচয় বন্ধ করা উচিত। একসময় রেলপথে লাতুরেতে (মহারাষ্ট্র) জল পাঠানো হত। পৃথিবীর মাত্র ২.৭% জল পানযোগ্য। আশেপাশের সব বাঁধের জলের স্তর কমে যাওয়ায় ভূগর্ভস্থ জলের স্তর গভীর হয়েছে।
তাই একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমরা জলের অপচয় বন্ধ করে জল সংরক্ষণ করা উচিৎ।
আমারা চাইলে খুব সহজেই এটি একটি তালিকার মাধ্যমে মেনে চলতে পারি, যেমন :-
● প্রতিদিন গাড়ি/বাইক ধোবেন না।
● উঠান/সিঁড়ি/মেঝে ধোয়া এড়িয়ে চলুন বা ধোয়ার সময় কম জল ব্যবহার করুন।
●একটানা ট্যাপ চালু রাখবেন না |
● অন্যান্য অনেক ভাল ব্যবস্থা করে জল সংরক্ষণ করুন |
● ঘরে ফুটো ট্যাপ ঠিক করুন।
● গাছের টবে ন্যূনতম জল দিন।
●রাস্তায় জল ছিটাবেন না।
কারন জলই জীবন। বর্তমানে বিশ্বে দ্রুত গতিতে দূষণ ছড়াচ্ছে। ব্যাপক হারে গাছ কাটার ফলে, নদনদী জলাধার সব শুকিয়ে মরুভূমির বালিয়াড়ি তে পরিণত হচ্ছে। মাটির তলে জল স্তর বহু নিচে চলে গেছে। তাই এখন থেকে হ্রাস না ধরলে নিজেরা না শুধরলে ভবিষ্যতে পানীয় জলের ঘাটতিতে ভুগবে সকলেই।