নিউজ ডেস্ক: কোথাও বসন্ত উৎসব। কোথাও হোলি। তো কোথাও দোল যাত্রা। সকাল থেকে আকাশ-বাতাস মাতাল রঙের নেশায়। দেশজুড়ে এমন পার্বণের জন্য অপেক্ষা বছরভর। ২০২৪ সালের দোল পূর্ণিমা পড়ছে ২৪ মার্চ সকাল ৯.৫৪ মিনিটে। ২৫ মার্চ দুপুর ১২. ২৯ মিনিটে সেই তিথি শেষ হবে। উদয়া তিথি অনুসারে ২৫ মার্চ সোমবার পালিত হবে দোল পূর্ণিমা।
রঙের উৎসবে কম বেশি সামিল হন সকলেই। তবু পশ্চিমবাংলায় এই দোলের মাহাত্ম্য একেবারে অন্যরকম। দোল পূর্ণিমা হিন্দু ধর্মের জন্যে খুব শুভ বলে মনে করা হয়। কোথাও পালন হয় বসন্ত উৎসব, তো কোথাও হয় রাধা- কৃষ্ণের বিশেষ পুজো।
শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) বসন্ত উৎসব চালু করেছিলেন। তাই রঙিন এই উৎসবের দিকে মুখিয়ে থাকেন অনেকেই।
অন্যদিকে বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, দোল পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীনীদের সঙ্গে রং খেলায় মেতেছিলেন। সেই জন্যে নবদ্বীপেও আয়োজন করা হয় বিশেষ দোল উৎসবের। আবির খেলায় মেতে ওঠেন সকলে। নবদ্বীপের পাশাপাশি পবিত্র মায়াপুরের ইস্কনের মন্দিরে দেশ-বিদেশের থেকে লোকেরা আসেন দোল উৎসবে।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন জায়গাতেও মহাসমারোহে দোল পালন হয়। উত্তরপ্রদেশের মথুরা-বৃন্দাবন হোক বা রাজস্থানের জয়পুর, উদয়পুর। সব জায়গাতেই হোলি রাজকীয় জাঁকজমকের সঙ্গেই পালিত হয়।