Friday, September 20, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

job

Success Story: প্রথমবারেই ইউপিএসসি-তে সফল! কিন্ত বাঙালি মেয়ে আইএএস না হয়ে হলেন আইএফএস, কারন জানেন?


নিউজ ডেস্ক: মাত্র ২৩ বছর বয়সে প্রথম প্রচেষ্টাতেই ইউপিএসসি -তে সফল উত্তর ২৪ পরগনার মেয়ে তমালি সাহা। কিন্তু যেখানে আইএএস হওয়ার কথা ছিল তাঁর, তা না হয়ে বাংলার মেয়ে বেছে নিলেন ভিন্ন পথ।

জুওলজি নিয়ে স্নাতক তমালি ২০২১ সালে প্রথমবার ইউপিএসসি-তে বসেই সফল হন। লিখিত পরীক্ষায় ১৪০০-র মধ্যে তমালি পান ৬১২ নম্বর। আর পার্সোনালিটি টেস্টে ৩০০-র মধ্যে পান ১৯৫ নম্বর। মানে সব মিলিয়ে মোট ১৭০০-তে ৮৯৭। সর্বভারতীয় স্তরে ৯৪ স্থান অর্জন করেন তিনি। র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী আইএএস-এ যোগ দেওয়া তাঁর কাছে কোনও বাধা-ই ছিল না, কিন্তু এ মেয়ে একটু ব্যতিক্রমী। আইএএস-এর বদলে আইএফএস (Indian Forest Service)-কে বেছে নেন তমালি।

জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে কলেজ পাশ করেছিলেন তিনি। তারপরেই পরীক্ষায় বসেন। এরপর মাত্র ২৩ বছর বয়সে আইএফএস (Indian Forest Service) ক্যাডারে নির্বাচিত হন তিনি। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারে রয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তমালি বলেন, ''প্রকৃতি ভালবাসি আমি, তাই ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিস আমার জন্য একেবারে ঠিক হয়েছে।''

উল্লেখ্য, দেশ তথা বিশ্বের অন্যতম কঠিন পরীক্ষাগুলির তালিকায় নাম রয়েছে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC) পরীক্ষার। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে গেলে ধৈর্য ও পরিশ্রম দুয়ের সঙ্গে প্রস্তুতি নিতে হয় পরীক্ষার্থীদের। বারবার পরাজিত হলেও ফের হাল না ছেড়ে এগিয়ে যেতে হয়। উত্তর চব্বিশ পরগনার প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাস হওয়ার কারণে ছোট থেকেই নানান প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। তবে, প্রথম থেকেই তাঁর মনে সংকল্প ছিল, তিনি দেশের উচ্চপদস্থ অফিসার পদে কাজ করবেন। বিদ্যালয়ের পড়াশোনার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তমালি। তারপর একনিষ্ঠ পরিশ্রম শুরু করেন ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য। তাঁর লক্ষ্য ছিল অবিচল ও মন ছিল স্থির। লক্ষ্যকে পাখির চোখ করে ভারতবর্ষের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তমালি।

তবে, মনে যদি থাকে জেদ ও একাগ্রতা তাহলে সমস্ত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে স্বপ্ন ছোঁয়া সম্ভব। সেকথাই ফের প্রমাণ করেছেন বঙ্গতনয়া তমালি সাহা। বর্তমানে সকল ছাত্রছাত্রীদের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন অফিসার তমালি সাহা।

Sweta Chakrabory | 13:14 PM, Wed Sep 18, 2024

RG Kar incident Impact: আরজি কর কাণ্ডের জের! পুলিশের চাকরি ফিরিয়ে দিলেন মৃত সার্জেন্টের স্ত্রী


নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar incident Impact) জের। কলকাতায় নির্যাতিতা চিকিৎসকের বিচার চেয়ে যখন গোটা রাজ্য উত্তাল, তখন পুলিশের তরফ থেকে দেওয়া চাকরি প্রত্যাখ্যান করলেন প্রয়াত সৌরভবাবুর স্ত্রী ঝর্ণা দত্ত।

জানা গিয়েছে, ঝর্ণা দত্তের স্বামী সৌরভ দত্ত কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট ছিলেন। রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় তাঁর। সৌরভের মৃত্যুর পর কলকাতা পুলিশে ঝর্ণাকে চাকরির আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু ঝর্ণা সেই চাকরি নেবেন না বলে জানিয়ে দেন। তবে অনুরোধ করেন, মেয়ে স্নিগ্ধার জন্য চাকরিটি যদি সংরক্ষিত রাখা যায়। কলকাতা পুলিশের তরফে ঝর্ণাকে তা আশ্বস্তও করা হয়েছিল। কিন্তু তিলোত্তমার মৃত্যু ঝর্ণা ও তাঁর মেয়ে স্নিগ্ধাকে এতটাই নাড়া দেয় যে তিনি সিদ্ধান্ত বদল (RG Kar incident Impact) করেন। 

এ প্রসঙ্গে ঝর্ণা দত্ত বলেছেন, ''আমি আগেই চাকরি প্রত্যাখ্যান করেছি। মেয়ের জন্য সংরক্ষিত রাখার অনুরোধ করেছিলাম। ভেবেছিলাম মেয়ে সাবালক হয়ে বাবার চাকরি করবে। কিন্তু চলতি আবহে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলাম। নীতি আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে মেয়েকে কলকাতা পুলিশে চাকরি করতে পাঠাতে পারব না। পুলিশের উর্দিকে আমি সম্মান করতাম। এই উর্দি ছিল আমাদের পরিবারের তীর্থস্থান। আমাদের অন্ন জোগাত এই উর্দি। অত্যন্ত যত্ন নিয়ে উর্দি পরিষ্কার করতাম। তাতে এখন কালো দাগ লেগেছে। এখানে মেয়েকে চাকরি করতে পাঠাতে পারব না।''

আসলে সাহস সংক্রামক। তাই যেন আবারও প্রমাণ করলেন কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট প্রয়াত সৌরভ দত্তর স্ত্রী ঝর্ণা। তিনি স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন আরজি কর কাণ্ডের জেরেই এই সিদ্ধান্ত তাঁর। ঝর্ণার দাবি, আত্মহত্যা বলে সৌরভের মৃত্যুকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তাঁর মৃত্যুর পিছনে কে বা কারা ছিল তা আজও জানা যায়নি। আর আর জি করের ঘটনাও (RG Kar incident Impact) তো ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। আত্মহত‌্যা বলে চালানোর চেষ্টা হয়েছে। ঝর্ণার কথায়, ‘আরজি করের মতো ঘটনা আর যাতে না-ঘটে, বরং সেই চেষ্টাই করা হোক।’

Sweta Chakrabory | 13:15 PM, Thu Sep 05, 2024

UPSC Rule Change: ইউপিএসসি-তে এবার আধার ভিত্তিক ভেরিফিকেশনের অনুমতি, বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের


নিউজ ডেস্ক: পূজা খেদকরকে (Puja Khedkar) নিয়ে চলা বিতর্কের মাঝেই ইউপিএসসি পরীক্ষার নিয়মে বড় বদল (UPSC Rule Change) আনতে চলেছে কেন্দ্র। ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC)-কে আধার ভিত্তিক ভেরিফিকেশন বা তথ্য যাচাইয়ের অনুমতি দিল কেন্দ্র। এবার থেকে রেজিস্ট্রেশনের সময় যেমন আধারের তথ্য লাগবে, তেমনই পরীক্ষা ও নিয়োগের সময়ও আধার কার্ড খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হবে।

কেন্দ্রের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ইউপিএসসি-তে এবার আধার ভিত্তিক ভেরিফিকেশনের (UPSC Rule Change) অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের সময় আবেদনকারীর পরিচয় যাচাই করতে আধার অথেনটিকেশন করা হবে। এছাড়া পরীক্ষা ও নিয়োগের বিভিন্ন ধাপেও ই-কেওয়াইসি (e-KYC) পদ্ধতিতে প্রার্থীর পরিচয় যাচাই করা হবে। ইউআইডিএআই(UIDAI)-র নিয়ম ও নির্দেশ মেনেই ইউপিএসসি এই ভেরিফিকেশন করবে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র।

আসলে সম্প্রতি পূজা খেড়কর নামক একজন ট্রেনি আইএএস অফিসারের ভুয়ো নথি ও তথ্য দিয়ে ইউপিএসসি পাশ করা এবং প্রতারণা করে চাকরি পাওয়ার ঘটনা ফাঁস হতেই দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। এরপরেই ২০২২ সালের সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষার মাধ্যমে নিযুক্ত এই ট্রেনি আইএএস অফিসার পূজা খেদকারের প্রার্থীপদ বাতিল করে ইউপিএসসি। পাশাপাশি পূজা খেদকারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে ইউপিএসসি। তদন্তে জানা যায় যে নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, ছবি, স্বাক্ষর, ইমেল আইডি, মোবাইল নম্বর এবং ঠিকানা পরিবর্তনের মাধ্যমে নিজের পরিচয় গোপন করেছেন পূজা। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই মুখ পুড়েছিল ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের।

এরপর ইউপিএসসির তরফে জানানো হয়, পূজার 'অপকর্ম' নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত চালানো হয়েছে। তা থেকে যা সব তথ্য বেরিয়ে এসেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার ইউপিএসসি পরীক্ষায় আধার বাধ্যতামূলক (UPSC Rule Change) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কবে থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে তা এখনও জানানো হয়নি ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের তরফে।

Sweta Chakrabory | 13:42 PM, Thu Aug 29, 2024

Ashwini Vaishnaw: গত ১০ বছরে ৫ লক্ষ চাকরি দিয়েছে মোদি সরকার, দাবি কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর


নিউজ ডেস্ক: গত ১০ বছরে মোদি সরকার ইউপিএ-র তুলনায় অনেক বেশি কর্মসংস্থান করেছে রেলে। সম্প্রতি সংসদে বক্তৃতা দেওয়ার সময় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) দাবি করেছেন, এনডিএ আমলে ইউপিএর তুলনায় ভারতীয় রেলে অনেক বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে। সংসদে ভারতীয় রেলওয়ের দেওয়া তথ্য অনুসারে, নরেন্দ্র মোদি সরকার ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ৫.০২ লক্ষ রেলে কর্মসংস্থান (Railway Jobs) হয়েছে। 

এদিন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব উল্লেখ করেছেন যে, ইউপিএ সরকার ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ৪.১১ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করেছিল, যা বর্তমান সরকারের চেয়ে কম। চাকরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (Railway Jobs) অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন যে, আগস্ট ২০২২ থেকে অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত, ১.১ কোটিরও বেশি প্রার্থী আরআরবি (RRB) পরীক্ষা দিয়েছে। এর মধ্যে রেলওয়ে দ্বারা ১,৩০,৫৮১ জন প্রার্থী নিয়োগ করা হয়েছিল। একইসঙ্গে রেলমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন যে, এই প্রক্রিয়া চলাকালীন প্রশ্নপত্র ফাঁস বা অনুরূপ সমস্যার কোনও ঘটনা ঘটেনি, স্বচ্ছ ভাবে পরীক্ষার মাধ্যমেই নিয়োগ ঘটেছে। এছাড়াও এদিন তিনি উল্লেখ করেছেন যে, রেল দুর্ঘটনা ২০১৩-১৪ সালে ১১৮ থেকে ২০২৩-২৪ সালে ৪০-এ নেমে এসেছে। এছারাও অন্য একটি প্রশ্নের উত্তরে, তিনি জানিয়েছেন,রেল মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২০১৪ সাল পর্যন্ত ১,৭১১টি দুর্ঘটনা রিপোর্ট করেছে, যার ফলে ৯০৪ জন মারা গেছে। কিন্তু অন্যদিকে এনডিএ ক্ষমতায় আসার পর গত ১০ বছরে, ৬৭৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং ৭৪৮টি প্রাণহানি ঘটেছে। ফলে দুর্ঘটনার সংখ্যা ৬০ শতাংশ এবং প্রাণহানি সংখ্যা ১৭ শতাংশ কমেছে। 

অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী (Ashwini Vaishnaw) জানিয়েছেন যে, মোদি সরকার আসার পরেই রেল মন্ত্রক রেল নিরাপত্তাকে শীর্ষ অগ্রাধিকার দিয়েছিল। নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য ২০২২-২৩ সালে ব্যয় করেছিল ৮৭,৭৩৬ কোটি টাকা এবং ২০২৪-২৫ সালে সেই টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,০৮,৭৯৫ কোটিতে। এখনও পর্যন্ত ৯,৫৭২ টিরও বেশি কোচে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। শিশু সুরক্ষার ক্ষেত্রে মেল কোচে দুটি নিম্ন বার্থের সঙ্গে দুটি শিশুর বার্থ সংযুক্ত করেছে, যাতে যাত্রার সময় শিশু সহ মায়েদের ভ্রমণ সহজ হয়। এ বিষয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ইতিবাচকই ছিল।

Sweta Chakrabory | 12:20 PM, Sat Aug 03, 2024

Agniveer Budget: অগ্নিবীরের বাজেট বুম, তিন বছরে ১৫৯ কোটি থেকে বেড়ে হল ৫,২০৭ কোটি

নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অল্প সময়ের জন্য সৈনিক ভর্তির উদ্দেশ্যে সরকার অগ্নিবীর (Agniveer Indian Army) প্রকল্প চালু করেছে সরকারের উদ্দেশ্য অল্প সময়ের জন্য তিন বাহিনীতে তরুণ সৈনিক ভর্তি করা। ইতিমধ্যেই ভারতীয় সেনায় প্রায় এক লক্ষ অগ্নিবীর ভর্তি করা হয়েছে। বেশি সংখ্যায় তরুণ প্রজন্মকে ভর্তি করলে সেনায় তারুণ্য ও সংখ্যা বল দুটোই বাড়বে। এই লক্ষ্যেই সরকার অগ্নিবীরের(Agniveer Budget) বাজেটেও রেকর্ড হারে বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

গ্নিবীরের বাজেট বরাদ্দ (Agniveer Budget)

২০২২-২৩ প্রাথমিকভাবে অগ্নিবীর প্রকল্পের জন্য ১৫৯.৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। শুধুমাত্র প্রকল্প চালু জন্য প্রাথমিক বাজেট ছিল এটি।

২০২৩-২৪ সালে ধাক্কায় এই বছর বাজেট বরাদ্দ (Agniveer Budget) বাড়িয়ে,৮০০ কোটি টাকা করা হয়। এবারের বাজেট বরাদ্দ ছিল নিয়োগ, পরিকাঠামো বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন খাতে খরচ বাবদ

২০২৪-২৫ চলতি বছর বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করে ৫,২০৭.২৮ কোটি টাকা করা হয়। নিয়োগ পরিকাঠামো বৃদ্ধি সহ অগ্নিবীর প্রকল্পে আরওকিছু উল্লেখ্যযোগ্যপরিবর্তন ও উন্নয়নের জন্য এই উদ্যোগ সরকারের।

অগ্নিবীরের উপর সরকারের ভরসা  (Agniveer Indian Army)

সরকার চাইছে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ৪ থেকে ৫ লক্ষ অগ্নিবীর ভারতীয় সেনার ৩ বিভাগে ভর্তি করা হবে। এর ফলে সৈন্য বাহিনীর সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাবে। ফলে ভারত প্রত্যেক সময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকবে। সরকার পরপর বাজেট (Agniveer Budget) বৃদ্ধি করার পিছনে যুক্তি হল, অগ্নিবীদের প্রয়োজনীয় অস্ত্র উর্দি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস প্রদান করা। এর জন্য সেনায় প্রচুর পরিমাণে  অস্ত্রশস্ত্র প্রয়োজন। সরকার সব দিকে নজর রেখেই পরপর বরাদ্দ বাড়িয়ে চলেছে। প্রাথমি বাজেটে সরকার পরিকাঠামগত উন্নয়নের দিকে নজর দিয়েছিল। ধীরে ধীরে সরকার অগ্নিবীদের কৌশলগত বৃদ্ধির সংক্রান্ত বিনিয়োগের দিকে নজর দিতে শুরু করে।

অগ্নিবীর প্রকল্পে সরকারের আস্থা

অগ্নিবীর প্রকল্পে ক্রমাগত (Agniveer Budget) বিনিয়োগ বৃদ্ধি সরকারের এই প্রকল্পের সাফল্যের দিক নির্দেশ করে। বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বোঝা যায় সরকার অগ্নিবীরদের  (Agniveer Indian Army) উপরে যথেষ্ট আস্থা রেখেছে। প্রসঙ্গত চীন ও পাকিস্তান দু দিক থেকেই ভারতের উপর যুদ্ধের মেঘ ঘনিয়ে আসছে। একদিকে লাইন অফ একচুয়াল কন্ট্রোলে ড্রাগনের ক্রমাগত আগ্রাসন বৃদ্ধি অন্যদিকে ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তানের পাঠানো জঙ্গিদের তান্ডব ও মাদক পাচারের সমস্যা ঠেকাতে অতিরিক্ত বাহিনীর প্রয়োজন বোধ করে সেনা। প্রয়োজনে অগ্নিবীদের দুই ফ্রন্টে পাঠানোর জন্য তৈরি করা হচ্ছে

Pankaj Kumar Biswas | 17:26 PM, Wed Jul 24, 2024

Bangladesh Protest: স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বাংলাদেশ, খুলল অফিস, ফিরল ইন্টারনেট

নিউজ ডেস্ক: কারফিউ (Bangladesh Protest) শিথিল হতেই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার রাত থেকে ফের শুরু হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। বুধবার থেকে খুলেছে অফিস-কাছারি বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি অফিসগুলিকে চার ঘন্টা দফতর খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এদিনই খুলেছে বিভিন্ন কলকারখানা। সরকারি এবং সরকারি ব্যাংক ফের খুলেছে।

স্বাভাবিক হচ্ছে বাংলাদেশ (Bangladesh Protest)

টানা এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হিংসাত্মক আন্দোলনের পর বুধবার কারফিউ আংশিক শিথিল হতেই রাস্তাঘাটে শুরু হয়েছে যান চলাচল। ধীরে ধীরে ফের স্বাভাবিক হওয়ার পথে বাংলাদেশ ঢাকার রাজপথেও গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে আগের তুলনায় প্রসঙ্গত কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় জামাত ও বিরোধী দল বিএনপি (Quota Protest) ছাত্র আন্দোলনের আড়ালে হিংসাত্মক গতিবিধি বাড়িয়ে তুলতে শুক্রবার রাত থেকে গোটা বাংলাদেশে কারফিউ জারি করা হয়েছিল। মাঝে অবশ্য কিছুক্ষণের জন্য শিথিল করা হয় কারফিউ রবিবার থেকে মঙ্গলবার টানা তিন দিন পর্যন্ত সারা দেশে ছুটি ঘোষণা করেছিল হাসিনা সরকার। তবে সেই ছুটি আর বাড়ানো হয়নি বুধবার থেকেই চার ঘন্টা অফিস কাছারি খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। না হলে সংকট বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছিল এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম দুই থেকে তিন গুণ বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ বাংলাদেশের বাসিন্দাদের। কারফিউ শিথিল করে ফের স্বাভাবিক ছন্দে জনজীবন চালু করা সরকারের উদ্দেশ্য।

৮০০ জন গ্রেফতার (Quota Protest)

কারফিউ শিথিল হলেও ঢাকা সহ বিভিন্ন বড় শহরের রাস্তায় এখন টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং পুলিশ। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন ধরে (Bangladesh Protest) হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে বাংলাদেশে মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ৮০০ জনের বেশি (Quota Protest) বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হিংসাত্মক আন্দোলনে মৃত্যু হয়েছে ১৬৮ জনের

 

Pankaj Kumar Biswas | 17:16 PM, Wed Jul 24, 2024

Job in America: আমেরিকার চাকরি ত্যাগ! বাবা-মায়ের জন্যই দেশে কেন রয়ে গেলেন এই যুবক জানেন?

নিউজ ডেস্ক: বছরে দেড় কোটি টাকার বেতনের চাকরি পেয়েও আমেরিকায় (Job in America) গেলেন না বাংলার এই যুবক। বললেন, ‘বাবা-মা একলা হয়ে যাবেন’। কিন্তু সাধারণত কেরিয়ার নিয়ে সকলেই বিশেষ নজর দিয়ে থাকেন। মোটা টাকার বেতনের চাকরি তাও আবার বিদেশের মাটিতে, তাকে অস্বীকার করে ব্যাতিক্রমি দৃষ্টান্ত রেখেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটির ছাত্র আয়ুষ শর্মা। তাঁর এই এই সিদ্ধান্তে চোখে জল এনে দিয়েছে পরিবারের। বাবা-মায়ের জন্য মোটা প্যাকেজ এবং বিদেশ দুটোকেই ত্যাগ করেছেন তিনি।

আয়ুষ শর্মা আমেরিকায় (Job in America) মোটা টাকার বেতনের চাকরির ডাক পেয়েছেন। ভারতীয় মুদ্রায় সেই দেশের টাকা বছরে প্রায় দেড় কোটি টাকার সমান। কিন্তু বাবা-মাকে এই দেশে রেখে এই লোভনীয় চাকরিতে যোগ দিতে রাজি হননি তিনি। কেউ কেউ হয়তো ভাবতে পারেন ভীতু, বাইরে থাকার অভ্যাস নেই, ঘরের কোণে থাকতে পছন্দ করেন। রাজ্য-দেশের গণ্ডির বাইরে বের হতে পারলেন না! কিন্তু বিষয়টা তা নয়, আয়ুষ মূলত দেশ ছেড়ে বিদেশের মাটিতে গিয়ে কোনও রকম কাজ করতে চান না। দেশে থেকে বাবা-মাকে পাশে নিয়ে দেশের জন্য কাজ করতে চান।

আয়ুষের বাড়ি কলকাতার বাগুইআটিতে। তিনি ক্যালকাটা পাবলিক স্কুলে পড়াশুনা করতেন। এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। মা গৃহবধূ এবং বাবা বীমা সংস্থায় চাকরি করেন। পরিবার অত্যন্ত মধ্যবৃত্ত। ছোট বেলা থেকেই মেধাবী ছাত্র ছিলেন তিনি। কিন্তু জানা গিয়েছিল প্রথমে যে আইটি কোম্পানির কাজ, ওয়ার্ক ফ্রম হোম হবে কিন্তু পরে জানা গিয়েছে আমেরিকার (Job in America) অফিসে গিয়েই করতে হবে কাজ, তাই চাকরি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু কেন চাকরিতে যোগদান করেননি জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেছেন, “প্রথম কারণ হল বাবা-মা। তাঁদের বাড়িতে রেখে বিদেশে যাওয়া সম্ভবপর নয়। আমি চলে গেলে তাঁরা একলা হয়ে পড়বেন। বর্তমানে দেশে কিছু করতে চাই। এখন ওয়ার্নার্স ব্রাদার্সের চাকরিটা করবো। এখানে বাৎসরিক প্যাকেজ ২৪ লাখ। এই চাকরি বেঙ্গালুরুতে গিয়ে করতে হবে। তবে দেশের মধ্যেই থাকব এটা ভালো। বাবা-মা সমস্যায় পড়লে দ্রুত ফিরতে পারব।”

Sweta Chakrabory | 17:09 PM, Mon Jul 22, 2024

Indian students: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ থেকে নিরাপদে দেশে ফিরল ৪৫০০ জন ভারতীয় পড়ুয়া


নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে এখনও স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি। বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনে (Bangladesh Protest) এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন বহু মানুষ। জারি হয়েছে কার্ফু। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয়েছে সেনা। এমত পরিস্থিতিতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নয়াদিল্লি বিষয়টি নিয়ে কী ভাবছে। এ প্রশ্নে তিনি এক লাইনে জবাব দিয়েছিলেন, ‘‘এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’’ 

রণধীর জয়সওয়ালের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কূটনৈতিক মহল বলছে, ভারতের সঙ্গে দীর্ঘতম সীমান্ত ভাগ করে নেওয়া দেশে প্রবল রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার ঘটনায় (Bangladesh Protest) সাউথ ব্লকের গভীর অস্বস্তি এবং উদ্বেগকেই আড়াল করতে চেয়েছেন রণধীর। কারণ এখন এ নিয়ে রা কাড়াও ভারতের পক্ষে বুমেরাংয়ের সমান। গত ছমাসেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ জুড়ে ভারত-বিরোধিতার যে ঢেউ দেখা গিয়েছে, তা-ই নতুন মোড়কে ফিরে এসেছে এখন। ঢাকার রাজপথে গর্জন শোনা গিয়েছে, ‘ভারত যাদের মামাবাড়ি, বাংলা ছাড়ো তাড়াতাড়ি।’ ফিরে এসেছে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক, ‘ভারতীয় আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে, ‘ভারতের তাঁবেদার সরকার’ আওয়ামী লীগকে হটানোর ডাক। আর এ সবই ঘটেছে নয়াদিল্লির নাকের ডগায়। 

সব মিলিয়ে শীর্ষ নেতৃত্ব স্তরে ‘সোনালি অধ্যায়ের’ একটি ছবি দক্ষিণ এশিয়া দেখতে পেলেও, দুদেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বিভিন্ন স্তরে আরও বাড়ানোর কথাই যে এ বার ভাবতে হবে, তা ঘরোয়া ভাবে স্বীকার করছে নয়াদিল্লি। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশি ছাত্রদের জন্য আরও বেশি স্কলারশিপ বাড়ানো, নজরদারি বহাল রেখে ভিসা আরও শিথিল করা, ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করার মতো বিষয়গুলিতে কত দূর এগোনো যায়, সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। 

অন্যদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন (Bangladesh Protest) ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশে আটকে পড়েছিলেন কয়েক হাজার ভারতীয় পড়ুয়া। জানা গিয়েছে, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক, অভিবাসন দপ্তর, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF)-এর সঙ্গে সমন্বয় রেখে ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরাচ্ছে বিদেশ মন্ত্রক। হিসেব বলছে ৪৫০০ জন ভারতীয় শিক্ষার্থী বাংলাদেশ থেকে নিরাপদে দেশে ফিরেছে। তবে শুধু ভারতীয় পড়ুয়াই নয়, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপের বহু পড়ুয়ারাও বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে এসেছেন। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ফেরত এক ভারতীয় পড়ুয়া বলেছেন, ''অনেক শিক্ষার্থী বিমানের টিকিট বুক করেছিলেন। কিন্তু যেহেতু সেখানে কার্ফু রয়েছে, তাই তাঁরা বিমানবন্দরে যেতে পারেননি। বেশ কয়েকটি ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে। এখনও অনেক ভারতীয় ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়গুলির হস্টেলে রয়েছেন।''

প্রসঙ্গত, রবিবার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট আন্দোলনের (Bangladesh Protest) পক্ষে রায় দিয়েছে। সেই রায় অনুযায়ী সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে যে ৫৬ শতাংশ সংরক্ষণ ছিল, তা কমিয়ে ৭ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে। যেখানে এতদিন ‘মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের’ জন্য ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ ছিল, তা কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। বাকি ২ শতাংশ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য এবং বিশেষ ভাবে সক্ষম ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। সুপ্রিম রায়ে আন্দোলনের জয়জয়কার হলেও বাংলাদেশ এখনও অশান্ত। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সে দেশে পড়তে যাওয়া বিদেশি পড়ুয়ারা। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ভারতীয় (Indian students)। বিষয়টি সামনে আসতেই ভারতের তরফে শুরু হয় তৎপরতা। এরপর ধাপে ধাপে তাঁদের ভারতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়।

Sweta Chakrabory | 15:52 PM, Mon Jul 22, 2024

MBBS: চিকিৎসা থেকে গবেষণা, এমবিবিএস করে কাজ করা যায় নানা ক্ষেত্রে, জেনে নিন খুঁটিনাটি

নিউজ ডেস্ক: ডাক্তারের একটিমাত্র সঠিক সিদ্ধান্ত মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে, আবার ভুল সিদ্ধান্ত মানুষকে মারতেও পারে। এমনই ধারণা দিয়েছিলেন বিখ্যাত দার্শনিক অ্যারিস্টটল। তাই চিকিৎসা বিজ্ঞান বা চিকিৎসক মানব সমাজে অপরিহার্য। সেদিক থেকে বিচার করলে একজন ভাল চিকিৎসকের কখনও কাজের অভাব হয় না। তাই কেরিয়ার অপশন হিসেবে ডাক্তারি বহু যুগ থেকেই প্রথম সারিতে পড়ে। এমবিবিএস (ব্যাচেলর অফ মেডিসিন এবং ব্যাচেলর অফ সার্জারি) ডিগ্রির মাধ্যমে, প্রচুর ভাল কেরিয়ারের সুযোগ তৈরি হয়। চিকিৎসক হতে চাইলে সবার আগে এমবিবিএস ডিগ্রি (MBBS) প্রয়োজন। এই ডিগ্রি থাকলে একজন চিকিৎসক যেকোনও দিকে বিশেষজ্ঞ হতে পারেন।

ছোটবেলায় চিকিৎসকের সেট নিয়ে খেলার সময় থেকেই মনে মনে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখে অনেকেই। সেই স্বপ্নকেই বাস্তব করার তাগিদে চলতে থাকে পড়াশোনা। তবে, দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করার পর চিকিৎসকের পেশায় যাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন নিট প্রবেশিকা পরীক্ষা পাশ করা। এক কথায় বলা যায় চিকিৎসক হওয়ার প্রথম ধাপ নিট পরীক্ষা। নিট পরীক্ষা দিয়ে ভারতে এমবিবএস পড়ার সুযোগ পাওয়া যায়। এমবিবিএস পাঁচ বছরের ডিগ্রি কোর্স। পড়ার শেষে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে হয়। তারপর মেলে নিজের কাজ।

চিকিৎসা পরিষেবায় কাজ করার স্বপ্ন বহু পড়ুয়াই দেখে থাকেন। সেই কারণে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেই তাঁরা ব্যাচেলর অফ মেডিসিন, ব্যাচেলর অফ সার্জারি অর্থাৎ এমবিবিএস ডিগ্রির অধীনে স্নাতকস্তরে পড়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। ডিগ্রি কোর্সে পড়ার সুযোগ পাওয়ার পর কোন বিষয় নিয়ে উচ্চশিক্ষার পথে এগোবেন, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলতে থাকে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

জেনারেল প্র্যাকটিশনার: এমবিবিএস (MBBS) স্নাতকরা সাধারণ চিকিৎসক হিসাবে কাজ করতে পারেন। মানুষ প্রথমেই অসুস্থ বোধ করলে একজন জেনারেল ফিজিশিয়ানের কাছে যান। তারপর তাঁর পরামর্শ মতো বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে চিকিৎসা করান। এমবিবিএস পাশ করে একজন চিকিৎসক সাধারণ যে কোনও রোগের চিকিৎসা করতে পারেন। এটা চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রাথমিক পাঠ।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক: এমবিবিএস স্নাতকরা বিভিন্ন বিশেষায়িত ক্ষেত্র যেমন কার্ডিওলজি, নিউরোলজি, গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি, ডার্মাটোলজি ইত্যাদিতে উচ্চতর শিক্ষার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা নির্দিষ্ট শারীরিক সিস্টেম বা চিকিৎসা শাখায় গভীর দক্ষতা অর্জন করেন।

সার্জন: এমবিবিএস স্নাতকরা সার্জারি প্রশিক্ষণ নিয়ে সার্জন হতে পারেন। তারা সাধারণ সার্জারি থেকে শুরু করে অর্থোপেডিক্স, নিউরোসার্জারি, এবং কার্ডিয়াক সার্জারি সহ বিভিন্ন শাখায় কাজ করতে পারেন।

পেডিয়াট্রিশিয়ান: শিশুদের স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষজ্ঞ পেডিয়াট্রিশিয়ান হওয়ার জন্য এমবিবিএস স্নাতকরা প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। তারা শিশুদের শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য কাজ করেন।

সরকারি এবং বেসরকারি সেক্টরে সুযোগ সরকারি স্বাস্থ্যসেবা: এমবিবিএস (MBBS) স্নাতকরা সরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং বিভিন্ন সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্পে চাকরি পেতে পারেন। এ ধরনের চাকরিতে স্থিতিশীলতা এবং সমাজের সেবা করার সুযোগ রয়েছে।

বেসরকারি হাসপাতাল: বেসরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলিতে এমবিবিএস স্নাতকদের জন্য প্রচুর সুযোগ রয়েছে। এই সেক্টরে কেরিয়ারের উন্নতি এবং উচ্চতর আয়ের সুযোগ রয়েছে।

শিক্ষা এবং গবেষণা: মেডিকেল কলেজ এবং গবেষণা ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতা এবং গবেষণা করতে পারেন এমবিবিএস স্নাতকরা। এই ক্ষেত্রে গবেষণা কার্যক্রমে অবদান রাখা এবং নতুন প্রজন্মের চিকিৎসক তৈরি করার সুযোগ রয়েছে।

প্রশাসনিক কাজ: এমবিবিএস স্নাতকরা স্বাস্থ্য প্রশাসনেও নিজেদের কেরিয়ার গড়তে পারেন। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিচালনা, নীতি নির্ধারণ এবং প্রশাসনিক কাজের ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা প্রয়োজন হয়।

বিকল্প কেরিয়ার মেডিক্যাল লেখক: এমবিবিএস স্নাতকরা (MBBS) চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়বস্তু নিয়ে লেখালেখির কাজ করতে পারেন। তাঁরা চিকিৎসা জার্নাল, বই এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মের জন্য বিষয়বস্তু তৈরি করতে পারেন।

মেডিক্যাল কনসালটেন্ট: বিভিন্ন কোম্পানি এবং সংগঠনের জন্য মেডিকেল কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন এমবিবিএস স্নাতকরা। তাঁদের চিকিৎসা জ্ঞান কোম্পানির পণ্য উন্নয়ন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নীতি প্রণয়নে সহায়ক হতে পারে।

পাবলিক হেলথ: পাবলিক হেলথ নিয়েও অনেক সময় এমবিবিএস স্নাতকরা কাজ করেন। তাঁরা জনস্বাস্থ্য নীতি, স্বাস্থ্য প্রচারণা এবং রোগ প্রতিরোধ কর্মসূচিতে কাজ করতে পারেন।

Sweta Chakrabory | 08:58 AM, Sat Jul 20, 2024

Jobs: মোদি জমানায় বাড়ল কর্মসংস্থানও! কী বলছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট?

নিউজ ডেস্ক: ডেস্টিনেশন ২০৪৭। প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে এনডিএ-র সর্বসম্মত নেতা বিজেপির নরেন্দ্র মোদি। এই মোদি জমানায়ই তরতরিয়ে হচ্ছে ভারতের উন্নতি। বিভিন্ন সময় নানা সমীক্ষায় করা রিপোর্টে উঠে এসেছিল এই ছবি। এবার জানা গেল, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে দেশে নয়া কর্মসংস্থানের (Jobs) সৃষ্টি হয়েছে ৪ কোটি ৭০ লাখ।

সোমবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) তরফে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে নয়া কর্মসংস্থান সৃষ্টির এই খবর। এই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হারও। ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে যেখানে এই হার ছিল ৩.২ শতাংশ, গত অর্থবর্ষে (২০২৩-’২৪) এই হারই বেড়ে হয়েছে ৬ শতাংশ। ‘ক্লেমস’ তথ্যভান্ডারে জমা পড়া নানান তথ্য বিশ্লেষণ করে ২৭টি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের হার খতিয়ে দেখেছে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। এই ক্ষেত্রগুলির মধ্যে রয়েছে কৃষি, মৎস্য, খনি এবং শিল্পোৎপাদন। প্রসঙ্গত, এই ‘ক্লেমস’ তথ্যভান্ডারেই বিশ্লেষণ করা হয় শিল্পোৎপাদন ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত পরিসংখ্যান।

মোদি জমানায় যে ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার বেড়েছে, সম্প্রতি তা জানিয়েছিল বেসরকারি সংস্থা ‘সিটিগ্রুপ ইন্ডিয়া’। তারা জানিয়েছিল, ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির (RBI) হার ৭ শতাংশ। এই রিপোর্টেই বলা হয়েছিল, বর্তমান আর্থিক বৃদ্ধির হার বজায় থাকলে বছরে ৮০ থেকে ৯০ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হতে পারে। সোমবার কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক জানিয়ে দেয়, ‘পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে’ এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ‘ক্লেমস’ তথ্যভান্ডারের পরিসংখ্যান অনুসারে দেশে নতুন করে চাকরি হয়েছে ৮ কোটি।

প্রসঙ্গত, ‘পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে’র সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতে বেকারত্বের হার কমেছে ৩.২ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে এই হার ছিল ৬.১ শতাংশ। এই সংস্থা এই রিপোর্ট তৈরি করেছিল জুলাই-জুন পর্বে। গত মাসে সরকার যে ফর্মাল এমপ্লয়মেন্ট ডেটা প্রকাশ করেছিল, তাতেও দেখা গিয়েছে, ২০২৪ অর্থবর্ষে ৩১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ফর্মাল ওয়ার্কফোর্সে যোগ দিয়েছেন। এই সময় এমপ্লয়িজ স্টেট ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশনে যোগ দিয়েছেন ২১ মিলিয়ন মানুষ। আর এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড স্কিমে যোগ দিয়েছেন ১০ মিলিয়ন মানুষ। অর্থনীতিবিদ সুপর্ণ মৈত্র বলেন, “রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) পরিসংখ্যানকে অস্বীকার করা যায় না। নিশ্চয়ই দেশে কর্মসংস্থানের (Jobs) হার বৃদ্ধি পেয়েছে।”

Sweta Chakrabory | 11:59 AM, Wed Jul 10, 2024

Informal Sector: গত ৭ বছরে অসংগঠিত ক্ষেত্রে বাংলায় কাজ হারিয়েছেন ৩০ লক্ষ মানুষ! রিপোর্টে উঠে এল ভয়ঙ্কর তথ্য

নিউজ ডেস্ক: বাংলায় কাজ নেই বিরোধীদের, এই অভিযোগে সিল মোহর দিল সমীক্ষা। ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অফিসের (NSO) তথ্য বলছে, সাত বছরে অসংগঠিত ক্ষেত্রে (Informal Sector) বাংলায় (West Bengal) কাজ হারিয়েছেন ৩০ লক্ষ মানুষ। সেখানে মহারাষ্ট্রে এই সাত বছরে আরও ২৪ লক্ষ মানুষ কাজ পেয়েছেন। অসংগঠিত ক্ষেত্রে ২০২১-২২ অর্থবর্ষ ও ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বার্ষিক সার্ভের রিপোর্ট গত শুক্রবার প্রকাশ করেছে এনএসও।

সরকারি তথ্য বলছে, গত সাত বছরে দেশের অর্ধেকের বেশি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অসংগঠিত ক্ষেত্রে (Informal Sector) লাখে লাখে মানুষ কর্মহীন হয়েছেন। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ শীর্ষে রয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষের সার্ভের সঙ্গে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের সার্ভের তুলনা করে দেখা যাচ্ছে, ২৮টি রাজ্যের মধ্যে ১৩টি রাজ্যে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ হারিয়েছেন মানুষ। তিনটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলেও অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ হারিয়েছেন অনেকে। যার মধ্যে সবার উপরে রয়েছে বাংলা (West Bengal)। এখানে ২০১৫-১৬ থেকে ২০২২-২৩ অর্থাৎ সাতবছরে কর্মহীন হয়েছেন ৩০ লক্ষ মানুষ। অসংগঠিত ক্ষেত্রের মধ্যে পড়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা, যা নিজস্ব কিংবা অংশীদারি ভিত্তিতেও হতে পারে। এছাড়া হকার এবং ফেরিওয়ালার মতো বৃহৎ পুঁজির ব্যবসা নয় এমন মানুষরা রয়েছেন।  ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে যেখানে বাংলায় অসংগঠিত শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৩৫ লক্ষ, সেই সংখ্যা সাত বছর পর কমে হয়েছে ১ কোটি ৫ লক্ষ।

বাংলার (West Bengal) বিপরীত ছবি ধরা পড়েছে মহারাষ্ট্রে। এই সাত বছরে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে প্রথমে রয়েছে মহারাষ্ট্র। ২৪ লক্ষ কর্মী সংযোজন করেছে তারা। গুজরাটে জীবিকা লাভ করেছেন অতিরিক্ত ৭ লক্ষ ৬২ হাজার মানুষ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওড়িশা (৭ লক্ষ ৬১ হাজার), রাজস্থান (৭ লক্ষ ৫৬ হাজার)। পশ্চিমবঙ্গের পরেই কাজ ও ব্যবসা বন্ধের তালিকায় রয়েছে কর্নাটক। সেখানে ওই একই সময়ে ১৩ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। তামিলনাড়ুতে ১২ লক্ষ, অন্ধ্র প্রদেশে ৬ লক্ষ ৭৭ হাজার, কেরলে ৬ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষ এই সাত বছরে অসংগঠিত ক্ষেত্রে (Informal Sector) কাজ হারিয়েছেন। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে দিল্লিতে এই সাত বছরে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ হারিয়েছেন ৩ লক্ষ মানুষ। তবে বাংলা এ ক্ষেত্রে সবাইকে পিছনে ফেলেছে। সরকারি বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োগ আটকে রয়েছে বাংলায়। রাজ্যে বেসরকারি ক্ষেত্রেও চাকরি হচ্ছে না বলে বিরোধীদের অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অফিসের রিপোর্ট চিন্তায় ফেলেছে বঙ্গবাসীকে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী এখনও উৎসব আর মেলা-গানেই আটকে থাকবেন বলে অভিমত বিরোধীদের।

Sweta Chakrabory | 17:14 PM, Tue Jul 09, 2024

Kerala: কেরলে সরকারী চাকরিতে বাড়ছে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা

নিউজ ডেস্ক: কেরলে ৩১.৫% চাকরি রয়েছে মুসলিম ও খ্রিষ্টানদের হাতে। বিধানসভায় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে ৫,৪৫,৪২৩ জন কর্মচারী (Govt Jobs) কাজ করেন। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী (Kerala) রাজ্যে ৭৩,৭৭৪ জন মুসলিম সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। অন্যদিকে রাজ্যে৩,৭১৪ জন উচ্চ বর্ণের খ্রিস্টান সরকারি কর্মচারী রয়েছেন।

কেরলে সরকারি চাকরি কাদের হাতে (Kerala)

জানা গিয়েছে ল্যাটিন চর্চার সদস্য ২২,৪৫২ জন কর্মী কেরল সরকারে (Govt Jobs) কাজ করছেন এদের মধ্যে ২৩৯৯ জন খুব অল্প সময়ে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন। ৯২৯ জন কর্মীকে নাদাখ্রিস্টান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মোট৯৯,৪৯৯ জন খ্রিস্টাকেরলের (Kerala) বিভিন্ন ধরনের সরকারি কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত। অর্থাৎ সরকারি কর্মীদের মধ্যে ১৮.২৫% খ্রিস্টান সরকারি কাজের সঙ্গে যুক্ত। বাইবেল না কুরান অনুসারে খ্রিস্টান এবং ইসলাম ধর্মে বর্ণবৈষম্য না থাকলেও কেরলে খ্রিস্টান ও মুসলিমদের মধ্যে চরম বর্ণ বৈষম্য রয়েছে। মুসলিম ও খ্রিস্টান মিলিয়ে সরকারি কাজের সঙ্গে যুক্ত ১,৭৩,২৬৮ জন কর্মী অর্থাৎ সরকারি কর্মীদের ৩১.৫% ব্যক্তি এই দুই ধর্মের সঙ্গে যুক্ত। জৈন ধর্মের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা মাত্র ২৭। তফসিলি জনজাতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা ১০,৫১৩। তফসিলি জাতির সরকারি কর্মীদের সংখ্যা ৫১,৭৮৩। এই রাজ্যে ৭,১১৩ জন ব্রাহ্মণ সরকারি কর্মী রয়েছেন অর্থাৎ তাদের সংখ্যা মাত্র ১.৫%। এই রাজ্যের যাদব ২৬ জন এবং ২৮ জন ক্ষত্রিয় সরকারি কর্মী রয়েছেন। প্রায় ১,১৫,০০০ এঝাভা জাতি যুক্ত সরকারী কর্মী রয়েছেন। এই জাতি এই রাজ্যে দলিত সম্প্রদায়ভুক্ত। এবং নায়ের সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা প্রায় ১,০৮,০০০

কেরলে বাড়ছে ধর্মপরিবর্তন

প্রসঙ্গত কেরলে ৪৯ শতাংশ মানুষ ব্রাহিমিক ধর্মে বিশ্বাস করেন। এদের মধ্যে প্রায় ২২ শতাংশ খ্রিস্টান এবং ২৭ শতাংশ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। প্রসঙ্গত কেরলে বিরোধীরা বাম-কংগ্রেস জোট সরকারকে তাদের রাজ্যের দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য নিয়মিত বিধানসভায় আক্রমণ করে। প্রসঙ্গত কেরলে শিক্ষিতদের সংখ্যা বেশি হলেও ধর্ম পরিবর্তন একটি বড় সমস্যা হতে দাঁড়িয়েছে। খ্রিস্টান মিশনারি এবং বেশ কিছু তাবলিগ ইসলামী সংস্থা নিম্ন বর্ণের মানুষদের ধর্ম পরিবর্তনের জন্য প্রলোভন ও চাপ দেয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমে এই ধরনের বহু ঘটনা সামনে এসেছে। এমনকি কেরলের (Kerala) একটি অংশের মানুষের মস্তিষ্কে উগ্রপন্থাও ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বহু সংগঠন। এ নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকারকে রিপোর্ট দিয়েছে।

Pankaj Kumar Biswas | 14:25 PM, Fri Jul 05, 2024

Job Hiring: ভারতের ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরে বেড়েছে কর্মী নিয়োগ! জুনে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেশের উৎপাদন ক্ষেত্রে

নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের জুনে তাৎপর্যপূর্ণভাবে স্ফীতকায় হয়েছে ভারতের উৎপাদন সেক্টর। ফেভারেবল ডিমান্ড কন্ডিশনসের মধ্যে নয়া ব্যবসার ফ্লো বজায় রয়েছে। সোমবার এইচএসবিসি ইন্ডিয়ার তরফে যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই এমনই দাবি করা হয়েছে।

মে থেকে জুন মাসে এইচএসবিসি ইন্ডিয়া ম্যানুফ্যাকচারিং পারচেজিং ম্যানেজার্স সূচক (India Manufacturing PMI) বেড়ে গিয়েছে বেশ খানিকটা। মে মাসে এই সূচক ছিল ৫৭.৫। জুনে সেটাই বেড়ে হয়েছে ৫৮.৩ শতাংশ। পারচেজিং ম্যানেজার্স সূচকের ভাষায় ৫০-এর ওপরে প্রিন্ট হলেই ধরে নেওয়া হবে সেটি প্রসারিত হয়েছে। আর যদি কোনও সেক্টর ৫০-এর নীচে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে সেটি সঙ্কুচিত হয়েছে (India Manufacturing PMI)। জুন মাসের তথ্য জানাচ্ছে, সেলসের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রসারণ ঘটেছে। বাজারে চাহিদা ভালো থাকায় উপকৃত হয়েছিলেন দেশের উৎপাদনকারীরা। প্রত্যাশিতভাবেই বেড়েছে রফতানির পরিমাণও।

বিজ্ঞাপনী প্রচারের প্রভাবও পড়েছে কর্মসংস্থানের (Job Hiring) ক্ষেত্রে। রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, এই সময়সীমায় ব্যাপক কর্মসংস্থান হয়েছে। এইচএসবিসির গ্লোবাল ইকনমিস্ট মৈত্রেয়ী দাস বলেন, “গত ১৯ বছরেরও বেশি সময়ে মধ্যে এই সময় ফার্মগুলো দ্রুততমভাবে কর্মী নিয়োগ করেছে। ইনপুট বাইয়িং অ্যাক্টিভিটিও বেড়েছে এই মাসে।” রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, গত জুন মাসে স্টাফ এক্সপেন্সও বৃদ্ধি পেয়েছে। এর সঙ্গেই বেড়েছে মেটিরিয়াল এবং পরিবহণ খরচ – যার জেরে সামগ্রিকভাবে বেড়েছে অপারেটিং এক্সপেন্স। অপারেটিং এক্সপেন্স বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে বিক্রয়মূল্যও।

এই মাসে বিক্রয়মূল্য বেড়েছে গত দু’বছরে সর্বোচ্চ। তিনি বলেন, “প্রাইস ফ্রন্টের দিক থেকে দেখতে গেলে জুন মাসে ইনপুট কস্ট সামান্য বেড়েছে। ম্যানুফ্যাকচারাররা কাস্টমারদের কাছে বেশি দাম পেয়েছেন। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এটা সম্ভব হয়েছে।” স্বাভাবিকভাবেই বেড়ছে লাভের মার্জিনও। জুন মাসে নয়া রফতানি অর্ডারও বেড়েছে। এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এটা সম্ভব হয়েছে। সার্ভে রিপোর্টের জেরে (Job Hiring) আশার আলো দেখছেন ম্যানুফ্যাকচারাররা। আগামী বছরে এই হার আরও বাড়বে বলেই ধারণা তাঁদের (India Manufacturing PMI)।

Sweta Chakrabory | 17:54 PM, Wed Jul 03, 2024

PM Narendra Modi: বঙ্গে দুর্নীতি নিয়ে সরব মোদী

নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কোচবিহারের(CoochBehar) সভার আগে রাজ্যের বিজেপি(BJP) কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। ভার্চুয়াল বার্তায় তার মুখে শোনা গেল বাংলায় ঘুষের রেট চার্ট। কোথাও ১ লাখ তো কোথাও ৫০ হাজার। কোন চাকরিতে কেমন ঘুষ সেই প্রসঙ্গ উঠে এল প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) কথায়। এমনকি নিয়োগের ক্ষেত্রে ঘুষের (Education Scam) টাকা ফেরানোর ফের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। বঙ্গ সফরের আগে ফের দুর্নীতি প্রসঙ্গকে জন মানসে উস্কে দিলেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী।

বিজেপি কর্মীদের প্রধানমন্ত্রীর বার্তা এদিনের ভার্চুয়াল বার্তা প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ED)। চাকরির জন্য নেওয়া ঘুষের টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। কেউ এক লাখ টাকা দিয়েছিল কেউ দিয়েছিল পঞ্চাশ হাজার। বিভিন্ন ধরনের চাকরির বিভিন্ন ধরনের রেট ছিল। আমি খোঁজ খবর নিতে বলেছি। যদি প্রমাণ হয়ে যায় গরিবের টাকা গিয়েছে ঘুষখোরদের পকেটে। তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত গরীবদের টাকা ফেরত দেব। এর জন্য আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।”

দুর্নীতি দমনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রধানমন্ত্রী প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন বাংলা থেকে ইডির বাজেয়াপ্ত করা প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত গরীব মানুষদের মধ্যে আইনের বাধা পেরিয়ে ফেরত দেওয়া যায় সেই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছেন তিনি। এরপর ফের এদিন বঙ্গ বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় ফের প্রধানমন্ত্রী ফের টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দেন। বঙ্গে চাকরি দুর্নীতির সূত্রপাত প্রসঙ্গত বাংলায় চাকরি চুরির অভিযোগ ২০১৬ সালের পর থেকে জোরালো হতে শুরু করে। শিক্ষা, পুরসভা, স্বাস্থ্য, খাদ্য দফতর সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। শিক্ষা ও পুরসভার নিয়োগ মামলাটি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।

আদালতের নির্দেশে রাজ্যের একের পর এক মন্ত্রী, আমলা, বিধায়করা গ্রেফতার হয়েছেন বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি মামলায়। শুধু নিয়োগ দুর্নীতি নয় গরীবের রেশন পর্যন্ত চুরির অভিযোগ উঠেছে। এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। সিবিআই (CBI) ও ইডি (ED) দুর্নীতির তদন্ত চালাচ্ছে।

তবে ২০১৬ এর আগে দুর্নীতির অভিযোগ যে ছিল না তা নয়। তার আগে বিভিন্ন ধরনের চিট ফান্ড মামলায় একাধিক তৃণমূল নেতার নাম আসে এবং তারা গ্রেফতার হন। ২০১১ থেকেই দুর্নীতির সূত্রপাত বলে অভিযোগ।

Sweta Chakrabory | 12:37 PM, Thu Apr 04, 2024

MGNREGA Scam: ১০০ দিনের দুর্নীতিতে অ্যাক্টিভ ইডি! শাসক শিবিরে আতঙ্ক 

নিউজ ডেস্ক: সোমবার রাতে দিল্লী থেকে ফেরেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিমানবন্দরে বলেন, " মমতাকে টাইট দিতে গেছিলাম। দিয়ে এসেছি। তাঁর এই মন্তব্যের পরেই মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়ে যায় ইডির অভিযান। একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে সল্টলেক, হুগলি ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ-সহ চারটি জেলার ৬টি জায়গায় চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চলছে তল্লাশি। তৃণমূলের অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারি কলকাঠি নেড়েছেন। দিল্লী গিয়ে তিনি অভিযোগ করতেই নয়া তদন্ত শুরু হয়েছে দাবি তৃণমূল নেত্রী শশি পাঁজার।
শশি পাঁজা এদিন বলেন, " শুভেন্দু দিল্লি গিয়েছিলেন। কেন গিয়েছিলেন তা বলেননি। কিন্তু দিল্লি থেকে হুঙ্কার ছেড়েছেন। তার পরেই ইডি হানা দিল। বোঝা যাচ্ছে বিজেপির কথা তদন্তকারী সংস্থা চলছে"।

যদিও ইডির দাবি, ২০১৯, ২০ এবং ২১ সালে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা ও হুগলির ধনেখালি থানা মিলিয়ে মোট পাঁচটি অভিযোগ দায়ের হয়। তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ইডির দাবি, “কেন্দ্রের মনরেগা প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে। কোথাও ভুয়ো জব কার্ড, কোথাও ভুয়ো বিল, কোথাও জাতিগত শংসাপত্র জালিয়াতি করে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে একশো দিনের কাজের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। দুর্নীতি-চক্রের মানি ট্রেল খুঁজতে গিয়ে একাধিক সরকারি আধিকারিকের নাম উঠে আসে। তার ভিত্তিতেই ৬টি জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে ইডি।

Editor | 12:40 PM, Tue Feb 06, 2024
upload
upload